News update
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     
  • CPJ denounces Trump administration's action against AP     |     

আগুনে নয়, যে কারণে অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক স্বাস্থ্য 2024-03-01, 7:06pm

kajfaioa-c592fc7c8b039c7d8a9a7a51f6ea1a2e1709298443.jpg




বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজে আগুনের ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ আলম।

শুক্রবার (১ মার্চ) দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের দেখতে যাওয়ার পর র‌্যাবের মহাপরিচালক এই তথ্য দেন।

এম খুরশীদ আলম বলেন, বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনের দোতলায় থাকা ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্ট থেকে আগুন ছড়ানোর খবর শোনা গেলেও নিচের একটি দোকান থেকে আগুন ছড়িয়েছে। সেখানে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে তারা প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণেও এনেছিলেন। পরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ মানুষই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে মারা গেছেন।

তিনি বলেন, ভবনটিতে একটি মাত্র সিঁড়ি আর দুইটি লিফট ছিল। ভবনের নিচ তলার প্রবেশমুখে আগুন লাগার পর কেউ নামতে পারেনি।

খুরশীদ আলম বলেন, কারা সিঁড়িতে সিলিন্ডার রেখেছে তা বের করা হবে। আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে, তারাও রিপোর্ট দেবে।

এদিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. তানভীর আহমেদ জানিয়েছেন, যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগেরই ‘এক্সটার্নাল বার্ন’ কম ছিল। এ অবস্থায় কার্বন মনোক্সাইডের বিষক্রিয়ায় আহত ও মৃতদের ‘ইন্টার্নাল বার্ন’ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে ১০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে একজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি। বাকিরা পোস্ট অপারেটিভ সেন্টারে রয়েছে। তাদের এক্সটার্নাল বার্ন মারাত্মক নয়। তবে সকলের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে এবং ইন্টার্নাল বার্ন হয়েছে। এই মুহূর্তে সবার অক্সিজেন সেচুরেশন ভালো রয়েছে। তবে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পার না হলে বোঝা যাবে না। তারা প্রত্যেকে কার্বন মনোক্সাইড ইনফেল করেছেন। এটি মারাত্মক বিষাক্ত। এটি ইন্টার্নাল অর্গানগুলোকে নষ্ট করে দেয়। অক্সিজেন গ্রহণে বাধা প্রদান করে। ফলে যতক্ষণ না এই গ্যাস বের হচ্ছে রোগীরা শঙ্কামুক্ত নন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক বিফ্রিংয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় দগ্ধ চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরাও শঙ্কামুক্ত নন।

এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনটির দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের ভিতর থেকে ৭৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের কেউই শঙ্কামুক্ত নন।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা অগ্নি নিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি। ভবনটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার। যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।