News update
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     
  • Imported fruit prices surge by up to Tk 100 per kg     |     
  • 35% of air pollution in BD originates from external sources: Experts     |     

কলাপাড়ায় চিকিৎসার অভাবে অন্ধ হওয়ার পথে শিশু তাওহিদ

স্বাস্থ্য 2024-10-22, 12:10am

infant-tawhid-on-course-to-losing-his-vision-due-to-lack-of-treatment-in-kalapara-bb8b30e69303233dc0ee6a69fe9cd7ab1729534202.jpg

Efforts to culture korl fish in poin in Kalapara



পটুয়াখালী:  পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চিকিৎসার অভাবে অন্ধ হওয়ার পথে তিন বছরের শিশু তাওহিদ।  উপজেলার ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে তাওহিদ এর জন্মের পর থেকেই দু’চোখে আবরণ পড়ে যায়। অসহনীয় যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে হাত দিয়ে নিজের চোখ নিজেই খুঁচিয়ে তুলে ফেলতে চায় তাওহিদ। 

স্থানীয়রা জানায়, অর্থের অভাবে চোখের সঠিক চিকিৎসা করাতে না পারায় চিরতরে অন্ধ হতে চলেছে ৩ বছরের শিশু তাওহিদ। তার চোখের আলো ধরে রাখতে প্রয়োজন নিয়মিত উন্নত চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া। এতে অনেক টাকার প্রয়োজন। কিন্তু দিনমজুর পিতার সেরকম সামর্থ্য নেই। এ অবস্থায় তাওহিদের দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখতে আর্থিক সাহায্য প্রয়োজন। শিশু সন্তানকে অন্ধত্ব থেকে বাঁচাতে সরকার সহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহায়তা চেয়েছে শিশুটির পরিবার।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জন্মের পর থেকেই তাওহিদের (৩) দু’চোখে আবরণ, নেত্রনালী থেকে পানি পড়ে, ময়লা জমে অসহনীয় যন্ত্রণা হয়। প্রথমে তাকে স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়। পরে ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসার জন্য ১৫ দিন পর পর নিয়ে যেতে বলা হয় এবং তার বয়স ৬ বছর পূর্ণ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু ব্যয়বহুল চিকিৎসা খরচ বহন করতে না পেরে নিরুপায় হয়ে অসহায় পরিবারটি ঢাকা থেকে ফিরে আসে। পরে অর্থের অভাবে আর কোনো চিকিৎসা করাতে পারেনি শিশুটি। 

ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে এবং ৬ বছর পূর্ণ হলে অস্ত্রোপচার করতে হবে। এই চিকিৎসায় লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে। যেহেতু তার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না, তাই এ অবস্থায় অন্যদের সাহায্য ছাড়া তাওহিদের চোখের চিকিৎসা অসম্ভব।

শিশুটির পিতা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জন্মগতভাবেই আমার ছেলের চোখে সমস্যা। অর্থকরী যা ছিলো তা ব্যয় করে চিকিৎসা করিয়েছি। বর্তমানে অর্থের অভাবে চিকিৎসা বন্ধ রয়েছে। এখন চোখের সামনেই আমার ছেলে অন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আমি কিছুই করতে পারছি না। সকলের সহযোগীতা এখন তাওহিদ এর ভরসা।

শিশু তাওহিদকে সাহায্য পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করুন মো. জাহিদুল ইসলাম (তাওহিদের পিতা) মোবাঃ 01703729995 (বিক্যাশ পার্সোনাল)। - গোফরান পলাশ