আয়ুর্বেদে আমলকীকে মহৌষধ বলা হয়। আমলকী কাঁচা বা রস করে খাওয়া যায়, সালাতেও রাখা যায়। আবার আচার বানিয়েও রেখে দিতে পারেন। এমনকি আমলকী ছোট ছোট টুকরা করে লবণ ও লেবুর রস মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে পারেন। তবে যেভাবেই খাওয়া হোক, প্রতিদিন আমলকী খেতে পারলে শীতকালীন অনেক রোগবালাই থেকেই দূরে থাকা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে আমলকী খেলে একাধিক রোগ ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়। সাধারণ ঠান্ডা লাগা, হার্টের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এবং ক্যানসারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকিও কমানো যায় আমলকী খেয়ে।
দেখে নিন আমলকীর ৫ উপকারী দিক সম্পর্কে-
১. রোগ প্রতিরোধ: আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ভিটামিন সি সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করে শরীরকে। চিকিৎসকদের মতে, মৌসুমি রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে ভিটামিন সি অনবদ্য ভূমিকা নেয়। তাই প্রতিদিন একটি করে আমলকী খেলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা সহজ হবে।
২. মানসিক অবসাদ দূর: এই ফলটি শরীরের পাশাপাশি মনেরও যত্ন নেয়। পলিফেনলস এবং ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান সমৃদ্ধ আমলকী মানসিক চাপ কমায়। চিকিৎসকদের মতে, উদ্বেগ অবসাদের অন্যতম কারণ হলো অক্সিডেটিভ হরমোনের অত্যধিক ক্ষরণ। আর এই হরমোন ক্ষরণে রাশ টানে আমলকী।
৩. ত্বক এবং চুলের সমস্যা সমাধান: শীতে ত্বক প্রচণ্ড আর্দ্র হয়ে যায়। সেই সঙ্গে চুল ঝরার পরিমাণও বেড়ে যায়। ত্বক এবং চুলের অধিকাংশ সমস্যার সমাধান লুকিয়ে আছে আমলকীতে। প্রতিদিন ডায়েটে আমলকী রাখলে যত্নে থাকে ত্বক। চুলের গোড়া মজবুত করতেও আমলকী খাওয়া জরুরি।
৪. হজমের সমস্যা দূর: আমলকীতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। হজমের সমস্যা ঠেকাতে ফাইবারের জুড়ি মেলা ভার। শীতে হজমের গোলমাল খানিক বেশি হয়। সেখান থেকেই গ্যাসের সমস্যা শুরু হয়। সেসবের ঝুঁকি কমাতে গ্যাসের ওষুধ না খেয়ে প্রতিদিন একটি করে আমলকী খেতে পারেন।
৫. দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে: চোখ ভালো রাখতে এবং দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আমলকীর রস সাহায্য করে। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের যত্ন নেয়। ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।