News update
  • Dhaka seeks global pressure on Myanmar for lasting peace     |     
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     
  • Rain, thundershowers likely over 8 divisions: BMD     |     
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     

ইসবগুল খাওয়ার সঠিক নিয়ম কী?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক স্বাস্থ্য 2025-02-09, 2:22pm

werewrwerqw-00f1a9b5f9ce474a3282ec68596c31a11739089335.jpg




ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার নানা উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু সকালে খালি পেটে এটি খাওয়ার অভ্যাসে এটি আরও বেশি কার্যকরী হওয়ার সুযোগ পায় শরীরে। যা কয়েকটি রোগের প্রতিরোধী হিসেবে শরীরের রক্ষা কবচ তৈরি করে। কিন্তু খাওয়ার আগে জানতে হবে ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার সঠিক নিয়ম।

জেনে নিন ইসবগুলের ভুসি খাওয়ার উপকারিতা ও সঠিক নিয়ম সম্পর্কে-

১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে: কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাইলসের সৃষ্টি হয়। পাইলস রোগীদের সারা বছর ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ৫ থেকে ১০ গ্রাম ইসবগুল এক কাপ হালকা ঠান্ডা বা হালকা গরম পানিতে আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কিংবা সকালে খালি পেটে খেয়ে নিলে উপকার পাওয়া যায়।

২. উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ইসবগুলের শরবত দারুণ পথ্য হিসেবে বিবেচিত।

৩. ডায়রিয়া উপশমে: দিনে দুবার ৭ থেকে ২০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসি খেলে ডায়রিয়া উপশম হয়। রোগীকে ইসবগুলের শরবত খাওয়ালে মিলবে উপকার। ডায়রিয়া থেকে সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা সবসময় ইসবগুলের শরবত খান।

৪. হজমে সাহায্য করে: হজম প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিকতা দূর করতেও ইসবগুলের ভুসি দারুণ কাজ করে। ভাজাপোড়া খাওয়ার কারণে হজমের সমস্যা দেখা দিলেও ইসবগুলের শরবত কাজে আসে। পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতেও রোজ সকালে খালি পেটে এটি খেতে পারেন

৫. আমাশয় থেকে রক্ষা করে: বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসবগুল আমাশয় রোগের জীবাণু নষ্ট করতে পারে না। তবে আমাশয়ের জীবাণু পেট থেকে বের করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।

খাওয়ার সঠিক নিয়ম-

১. প্রতিদিন ইসবগুল খাওয়ার বিষয়ে চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে এক থেকে দুই চা চামচ পর্যন্ত ইসবগুল খাওয়া যেতে পারে।

২. ২৪০ মিলিলিটার পানি, অর্থাৎ বড় এক গ্লাস পানির মধ্যে খুব ভালো করে এটি মিলিয়ে এটি খেতে হবে।

৩. ইসবগুল এক ধরনের ডায়েটারি ফাইবার, যার কিছু পানিতে দ্রবীভূত হয়, কিছু হয় না। অন্ত্রের ভেতরে থাকাকালীন ইসবগুলের ভুসি প্রচুর পরিমাণ পানি শোষণ করে, কোনো কিছুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষ তৈরি করে না এবং অন্ত্রের দেয়াল পিচ্ছিল করে দেয়।

৪. যেহেতু এটা কার্যকারিতার জন্য অন্ত্র থেকে পানি শোষণ করে, তাই দুই চা-চামচ ভুসি, পানি বা দুধে গুলিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই খেয়ে ফেলা ভালো। দীর্ঘক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে এটা বাইরে থেকেই পানি শোষণ করে নেবে, অতএব কার্যকারিতাও কমে যাবে।

৫. ওজন কমানোর জন্য ২ চামচ ইসবগুল ২৪০ মিলিলিটার পানি ও ১-২ চামচ লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে। এর ফলে বেশ খানিকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ইসবগুল খাদ্যনালি পরিষ্কার করে ও শরীরে চর্বি কমায়।

তবে, অতিরিক্ত ইসবগুল সেবনের ফলে ক্ষুধা কমে যাওয়া, ডায়রিয়াও হতে পারে। ইসবগুল বিভিন্ন ওষুধের কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। তাই ওষুধ সেবনের ২ ঘণ্টা আগে অথবা ২ ঘণ্টা পর সেবন করতে হবে।