ডিম খুবই পুষ্টিকর খাবার, তবে ডিমের কুসুম খাওয়ার ক্ষেত্রে সবার জন্য সমানভাবে উপকারী নয়। বিশেষ করে সকালে খাওয়ার সময় কিছু মানুষকে কুসুম বাদ দিতে বা সীমিত রাখতে হয়। যেমন—
দেখে নিন যাদের সকালে ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলা উচিত
১. হাই কোলেস্টেরল রোগী: কুসুমে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি (প্রতি কুসুমে প্রায় ১৮০–২০০ মি.গ্রা.)। যাদের রক্তে এলডিএল (খারাপ কোলেস্টেরল) বেশি, তাদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
২. হার্টের রোগী: হৃদরোগে ভোগা বা যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস আছে, তাদের কুসুম না খাওয়াই ভালো বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সীমিত খেতে হবে।
৩. ডায়াবেটিস রোগী: ডায়াবেটিস রোগীদের কোলেস্টেরল ও ফ্যাট নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। কুসুমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকায় অতিরিক্ত খেলে ক্ষতি হতে পারে।
৪. স্থূলতা বা ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকা মানুষ: ওজন কমাতে চাইলে শুধু ডিমের সাদা অংশ খাওয়াই ভালো, কারণ কুসুমে বেশি ক্যালরি ও ফ্যাট থাকে।
৫. লিভার বা গলব্লাডার সমস্যায় ভুগছেন যারা: ফ্যাটি লিভার, লিভারের অসুখ বা পিত্তথলির পাথর থাকলে কুসুম খেলে হজমের সমস্যা ও অস্বস্তি হতে পারে।
তবে সুস্থ ওজনের, হার্ট-ডায়াবেটিসের ঝুঁকি না থাকা স্বাস্থ্যবান মানুষরা সপ্তাহে কয়েক দিন একটিমাত্র কুসুমসহ ডিম খেতে পারেন। এতে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১২, আয়রন ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়।