News update
  • Arab-Islamic Summit Warns Israel Attacks Threaten Ties     |     
  • South-South Cooperation: Building Innovation and Solidarity     |     
  • Consensus must; polls to be a grand festival: Prof Yunus     |     
  • Salahuddin sees security risks if polls miss February deadline     |     
  • Qatar denounces Israel before major summit over Doha attack      |     

এলসি খোলায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চায় বিজিএমইএ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2024-08-28, 7:11am

img_20240828_071142-678bbec4407d23c7db5f72f9fdd17af11724807526.jpg




অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা আর দুর্নীতির মাধ্যমে বেনামে ঋণ বের করে নিয়ে যাওয়ায় গ্রুপ এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ ও এলসির ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে ওই ব্যাংকগুলোয় বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর এলসি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানান বিজিএমইএর নেতারা।

এ সময় দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য তিন হাজার কোটি টাকার সফট লোনসহ রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সীমা না কমানোর দাবিও জানায় বিজিএমইএ।

বিজিএমইএর নেতারা জানান, সম্প্রতি রাজনৈতিক অস্থিরতায় অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে তিন হাজার কোটি টাকার সফট লোনের প্রয়োজন। এসব ঋণের সুদসহ আগামী ১ বছরের মধ্যে পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। পোশাকশিল্প মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গভর্নর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার আশ্বাস দেন।

পোশাকশিল্প উদ্যোক্তারা জানান, রিজার্ভের অর্থে গঠিত এ তহবিলে বর্তমানে আড়াই বিলিয়ন রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ধীরে ধীরে এ তহবিল বিলুপ্ত করা হবে। তাছাড়া এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে থাকা ৬ ব্যাংকের এলসি ও ঋণ বিতরণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোয় অনেক ব্যবসায়ী এলসিসহ বিভিন্ন লেনদেনের জড়িত। বিধিনিষেধ আরোপের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব ব্যাংকের বিধি নিষেধ তুলে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। এসব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে আমাদের।

বিজিএমইএর সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) সীমা আরও কমিয়ে আনা হবে। তহবিলের সীমা আরও কমলে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ মুহূর্তে ইডিএফ সীমা আর না কমানোর অনুরোধ জানিয়েছি। আমাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিত ইডিএফের সীমা কমানো হবে না বলে জানিয়েছেন গভর্নর।

বিকেএমইএর সহসভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, গভর্নরের কাছে আমরা তিনটি দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। এর মধ্যে ছিল ৬ ব্যাংকের এলসি খুলে দেওয়া, ব্যবসায়ীদের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ সফট লোনের ব্যবস্থা এবং ইডিএফের তহবিল না কমানো। গভর্নর তিনটি বিষয়েই ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন। আশা করছি, সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ছয়টি ব্যাংকের এলসি সমস্যা সমাধান হবে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।