News update
  • Hadi is no more, state mourning on Saturday: CA     |     
  • Bangladesh capital market falls; weekly turnover lowest     |     
  • Sharif Osman Hadi No More     |     
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     

মার্চেও মিলছে না আইএমএফের অর্থ, জুনে উঠবে দুই কিস্তির প্রস্তাব

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক অর্থনীতি 2025-02-17, 5:46pm

ertert453-8123a80803623177a4ec826b46a4f8061739792794.jpg




দ্বিতীয়বারের মতো পিছিয়ে গেল আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির চতুর্থ কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব। শিগগিরই আর এই অর্থ সহায়তা পাচ্ছে না বাংলাদেশ সরকার, অপেক্ষা করতে হচ্ছে বাড়তি আরও অন্তত তিন মাস। আগামী জুনে একসঙ্গে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব উঠবে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে অর্থ মন্ত্রণালয়–সংক্রান্ত অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।

চলতি মাসের ৫ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে বাংলাদেশের জন্য ঋণের চতুর্থ কিস্তি হিসেবে ৬৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার সহায়তার প্রস্তাব ওঠার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায় আগামী ১২ মার্চ। এখন জানা গেলে, ওই তারিখেও উঠছে না সেই প্রস্তাব।

অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জুনে দুই কিস্তির (চতুর্থ ও পঞ্চম) অর্থ ছাড়ের প্রস্তাব একসঙ্গে উঠবে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের সভায়।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আপনারা তো ভাবছেন ভিক্ষা করে টাকা-পয়সা নিয়ে আসি। আসলে অনেক শর্ত মেনে এবং আমাদের নিজস্ব তাগিদে অর্থ আনতে হয়। 

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এখন আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতি ভালো। চলতি হিসাব, আর্থিক হিসাব ও প্রবাসী আয় ইতিবাচক। তাই আমরা মরিয়া হয়ে উঠছি না। আমরা বলেছি যে, আমাদের কিছু কাজ আছে। কিছু শর্ত আছে; তা বললেই আমরা পালন করব, এমন নয়।

আগামী মার্চে আইএমএফ পর্ষদে কিস্তি ছাড়ের প্রস্তাব উঠছে কি না, এমন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, মার্চে নয়। আমরা বলেছি যে একটু অপেক্ষা করব। আগামী জুনে দুই কিস্তির প্রস্তাব একসঙ্গে উঠুক।

আমরাই কি পেছানোর কথা বলেছি, নাকি আইএমএফ, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বলেছি। তারাও চেয়েছে।

উল্লেখ্য, আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচি শুরু হয় ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি। এরপর তিন কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি আইএমএফের কাছ থেকে প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার পাওয়া যায়। ওই বছরের ডিসেম্বরে আসে দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর গত জুনে এসেছে তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে আইএমএফের কাছ থেকে প্রায় ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। আরটিভি