News update
  • UN Report Calls for New Thinking to Secure a Sustainable Future     |     
  • BNP moves to finalise seat sharing as alliance friction grows     |     
  • BNP plans universal 'Family Card' for all women: Tarique Rahman     |     
  • Tangail saree weaving gets recognition as intangible cultural heritage     |     
  • Chuadanga farmers thrive as cauliflower yields hit new high     |     

ভুল চিকিৎসার অভিযোগ: নবজাতকের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা দিতে রুল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক আদালত 2025-08-11, 1:12pm

a325c6cf5d39fe0d759a3b5cddf2f577242d9e7ddb209962-88cf88671664caf1ff041eb2e41d52061754896342.jpg




রাজধানীর ডেলটা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্ডিসের চিকিৎসা করতে গিয়ে এক নবজাতকের হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগের ঘটনায় ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চিকিৎসায় অবহেলায় দায়ীদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এছাড়া নবজাতকের হাত ভেঙে দেয়ার ঘটনার তদন্ত করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এর আগে নবজাতকের হাত ভেঙে দেয়ার ঘটনায় শিশুটির বাবা নূরের সাফাহ্ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

শিশুটির বাবা নূরের সাফাহ্ জানান, গত ৩ এপ্রিল সাত দিনের নবজাতকের বিলিরুবিনের মাত্রা বেশি থাকায় ডেলটা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. এ কে খাইরুল আনাম চৌধুরীর অধীনে ভর্তি করানো হয়। পরে বাচ্চার বিলিরুবিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এসেছে জানিয়ে রিলিজ দেন চিকিৎসক। রিলিজ দেয়ার সময় বাচ্চা ঘুমাচ্ছিল এবং পুরো শরীর কাঁথা দিয়ে মোড়ানো ছিল। তখন চিকিৎসক জানান, বাচ্চার ডান হাতে ক্যানোলা পরানোর কারণে ব্যথা আছে। তাই এই হাত যেন কম নাড়ানো হয়। কিন্তু বাসায় এনে কাঁথা থেকে বের করে খাওয়ানোর চেষ্টা করার সময় দেখা যায়, বাচ্চার ডান হাত কনুইয়ের ওপরে ভাঙা। এতে টাচ করলেই সে মারাত্মকভাবে কান্না করছে।

নূরের সাফাহ্ জানান, হাত ভাঙা থাকার ব্যাপারটি বুঝার সঙ্গে সঙ্গেই পুনরায় তাকে ডেলটা মেডিকেল কলেজে নেয়া হয়। তাদেরকে দেখানোর পর ডিউটি চিকিৎসক জানান, সে নিজে চেক করে দিয়েছিলেন ডিসচার্জ করার আগে এবং তাদের দাবি, বাসায় নেয়ার পর টানাটানি করে হাত ভেঙে গেছে।

তিনি বলেন, ‘এক্সরে করার অ্যাডভাইস দিয়ে আমাদের শ্যামলীর পঙ্গু হাসপাতালে যেতে বলা হয়। তখন আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়ে চলে আসি। কারণ বাচ্চার চিকিৎসা আমাদের কাছে জরুরি ছিল।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘রাতের কোনো এক সময়ে শিশুর হাত ভেঙেছে এবং সেটা স্বাভাবিক দেখানোর জন্য তাকে কোনো ধরনের সিডেটিভ ব্যবহার করে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল যেন আমরা না বুঝতে পারি।’