চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শাংফু দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জন-পরিসর থেকে অদৃশ্য হয়ে গেছেন। তাঁর এই হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। এর ফলে তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন যে, লি-র অন্তর্ধান, যা সাম্প্রতিক কয়েক মাসে শীর্ষ-স্তরের কর্মকর্তাদের আকস্মিক শুদ্ধির একনাগাড়ে কয়েকটি ঘটনার মধ্যে ঘটছে, কার্যত চীনের সামরিক বাহিনীর উপর এই দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর নিয়ন্ত্রণ জোরালো করার ইচ্ছাকেই প্রতিফলিত করছে।
তাইওয়ানের তামকাং বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা সামরিক বাহিনী বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ইং ইউ লিন ভিওএ-কে এক ফোন-সাক্ষাৎকারে বলেন, “এই ঘটনা দেখিয়ে দিচ্ছে, পিপল’স লিবারেশন আর্মি হয়ত অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। লি-র মতো শীর্ষ স্তরের কর্মকর্তাদের আকস্মিকভাবে সরিয়ে দিয়ে শি হয়ত সামরিক বাহিনীর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আনুগত্য তৈরি করার আশা করতে পারেন।“
লি মার্চ মাসে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২৯ আগস্ট তাঁকে শেষবার জনসমক্ষে দেখা গেছে। সেই সময় তিনি তৃতীয় বার্ষিক চীন-আফ্রিকা শান্তি ও নিরাপত্তা ফোরামে মূল বক্তব্য প্রদান করেন।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লি “দুর্নীতি”র দায়ে তদন্তাধীন। তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরানো হতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই আমেরিকান কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে উদ্ধৃত করা হয়।
লি কোথায় রয়েছেন, সেই সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেছে বেইজিং। দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং-কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, লি-র ঘটনা সম্পর্কে তাঁর কাছে কোনও তথ্য নেই। পররাষ্ট্র মন্ত্রকের দৈনিক প্রেস শুক্রবারের ব্রিফিং-এ লি-র ঘটনার উল্লেখ নেই।
বর্তমানে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসেবে এখনও লি’র নাম রয়েছে। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের এখনও তিনি সদস্য। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।