News update
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     
  • Dhaka’s air quality recorded ‘unhealthy’ Friday morning     |     

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছেন কেন?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক কুটনীতি 2024-03-19, 9:11am

a6aa31cc-52bd-4256-948d-bb48bfd7acb1_cx0_cy3_cw0_w408_r1_s-1-9e3ad5389279bc30d5445a6c35a85a001710818038.jpg




চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ওয়াই গত সাত বছরে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবেন বুধবার। এই সফর সম্পর্কে কিছু বিশ্লেষক বলছেন, বেইজিং ও ক্যানবেরার মধ্যে অবশিষ্ট বাণিজ্যিক জটিলতার জট খোলার উদ্যোগই প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি, উভয় দেশ বিতর্কিত কনসুলার ও নিরাপত্তা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ায় থাকাকালীন ওয়াং সে দেশের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী পেনি ওয়ং-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন।

আলোচ্যসূচির শীর্ষে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার মদের উপর থেকে চীনের শুল্ক তুলে নেওয়া সংক্রান্ত আলাপ। তীব্র দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক বিতর্কের মধ্যে ২০২০ সালে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বেইজিং।

সেই সময় চীনের কর্তৃপক্ষ বলেছিল, অস্ট্রেলিয়া প্রতিযোগিতা-বিরোধী আচরণের জন্য দায়ী। কোভিড-১৯ অতিমারির উৎস নির্ধারণে এক স্বতন্ত্র তদন্তকে ক্যানবেরা সমর্থন করায় চীন ওই শুল্ক চাপিয়েছিল।

এই পদক্ষেপের ফলে চীনে অস্ট্রেলিয়ার মদ রপ্তানির মূল্য হ্রাস পেয়েছিল; সর্বোচ্চ ৬৬২ মিলিয়ন ডলার থেকে গত বছর তা নেমে দাঁড়ায় মাত্র ৬.৬ মিলিয়ন ডলারে।

গত সপ্তাহে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এক অন্তর্বর্তী বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই শুল্ক কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তুলে নেওয়া হতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ নিশ্চিত করেছেন যে, শনিবার তাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি ওয়াং-এর সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। তিনি আরও বলেন, “আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে” অস্ট্রেলিয়ার মদের জন্য চীনের বাজার পুনরায় খুলে দিতে পারে বেইজিং।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়ায় চীনা বিনিয়োগের উপর বিধিনিষেধ কমাতে চাপ দিতে পারেন ওয়াং এবং কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড প্রগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফক পার্টনারশিপ বা সিপিটিপিপি-তে যোগ দিতে চীনের উদ্যোগে ক্যানবেরার সমর্থন চাইতে পারেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বেনিয়ামিন হারসোভিচ টেলিফোনে ভিওএ-কে বলেন, “উভয় পক্ষই বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে হাঁটতে চায় এবং অস্ট্রেলিয়ার রপ্তানিদ্রব্যকে চীনের বাজারে ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী।”

হারসোভিচ বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-সম্পর্ক উষ্ণ হওয়ার ইঙ্গিত থাকা সত্ত্বেও বহু বিতর্কিত বিষয় নিয়ে বেইজিং ও ক্যানবেরার মধ্যে এখনও মৌলিক মতানৈক্য রয়েছে।

তিনি ভিওএ-কে বলেন, “অস্ট্রেলিয়া সম্ভবত কনসুলার মামলা, বিতর্কিত মানবাধিকার ও ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলির উপর নজর দেবে।” তিনি আরও বলেন, অস্ট্রেলিয়ার বন্দি লেখক ইয়াং হেংজুনের মামলা ক্যানবেরার কাছে “সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।” প্রসঙ্গত, হেংজুনকে গত মাসে চীনের এক আদালত মৃত্যদণ্ড দিয়েছিল।

হারসোভিচ বলেন, বেইজিং ও ক্যানবেরা বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে চাইলেও সার্বিক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে দুই দেশের প্রত্যাশার যে স্তর বা মাত্রা তাতে ফাঁক থাকতে পারে। তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা।