News update
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     
  • Natore’s Baraigram OC closed over negligence in bus robbery case     |     

অবন্তিকার আত্মহত্যার নেপথ্যে উঠে এলো আরও কয়েকজনের নাম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2024-03-16, 7:59pm

shstruu-822261f705cd84ea806dc483187f920f1710597653.jpg




জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার বিষয়ে মুখ খুলেছেন তার মা তাহমিনা শবনম। জানিয়েছেন, অবন্তিকার এই মৃত্যুর নেপথ্যে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীসহ আরও একাধিক ব্যক্তি জড়িত।

একইসঙ্গে মেয়ের এই আত্মহত্যার নেপথ্যে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে নিজেও আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন সন্তানহারা এই মা।

অবন্তিকার মৃত্যুর পর কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁওয়ের বাসায় শনিবার কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের সামনে অনেক কথা তুলে ধরেন তাহমিনা শবনম। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে ছিল অত্যন্ত উদ্যমী। আমার মেয়ে মেধাবী এটাই কি তার অপরাধ? সে তার সেশনে ফার্স্ট, এটাই কি তার অপরাধ? সে জিডি (জেনারেল ডিউটি) পাইলটে টিকেছে, এটাই কি তার অপরাধ?’

তিনি বলেন, ‘আমি প্রক্টর, চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কোনো বিচার পাইনি। আমি বিচার না পেলে শেষ হয়ে যাব। আমার কিছুই নেই। নিজে শেষ হয়ে গেলে আর কিছুই থাকবে না।’

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে অবন্তিকার মা বলেন, ‘মেয়েটা কিছুদিন আগে পুরান ঢাকার কলতাবাজারে ছিল। এখানে ইউনিভার্সিটির ছেলেগুলা ওই বাসা পর্যন্ত গিয়ে জানাইছে যে ওর নামে জিডি আছে। ওরে ওখান থেকে বের করে দিয়েছে। ওই বাসার মেয়েরা তো জানার কথা না। আমার মেয়ে এসে বলতেছে- মা ওরা তো আমাকে এইভাবে মেন্টাল টর্চার করতেছে। আমি পড়তে পারি না।’

তাহমিনা শবনম বলেন, ‘পরে আমি ওর সঙ্গে ঢাকায় গেলাম। আমি যখন গেলাম মেয়েরা তখন চুপ। আমি বুঝতে দেই নাই মেয়েদেরকে যে ওর (অবন্তিকার) পরীক্ষা চলতেছে। মেয়ের পরীক্ষা যখন শেষ, আমি যেদিন চলে আসি মেয়েরা অবন্তিকাকে বলতেছে- তোমার কি পরীক্ষা শেষ? নাকি পরীক্ষা শুরু হবে? তার মানে তাদেরকে ইউনিভার্সিটি থেকে ইন্ধন দিয়ে রাখছে তাকে কীভাবে টর্চার করবে।’

তিনি বলেন, ‘রাফি, আম্মান, মাহিয়া, লাকি, রিমি, আঁখি, বন্যা, দ্বীন ইসলাম এ ঘটনার জন্য মূল দায়ী। আমি জিজ্ঞেস করলাম যে আপনারা ছেলেদেরকে জিজ্ঞেস করেন তারা কেন এমন করছে। সে তো স্টুডেন্ট ভালো। ক্লাসের টপ লিস্টেড মেয়ে। তার সঙ্গে কেন এরকম করছে? বলে যে আপনার মেয়ে একটা মেসেজ দিয়েছে। ওই মেসেজটা কিসের? মেসেজটা কিন্তু আমার কাছে আছে। এই মেসেজে কোনদিন কোনো জিডি হয় না। কোনো কিছুই হয় না। মানে, ও ওর সঙ্গে অ্যাফেয়ার করেছে, এই কথাগুলো। এই কথাগুলো দিয়া তো কখনও জিডি হয় না।’

মা তাহমিনা শবনমের অভিযোগ, এক বছর আগে থেকে অবন্তিকার এক সহপাঠী বিভিন্নভাবে তাকে উৎপীড়ন করত। এ নিয়ে তার মেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে নালিশ করে। কিন্তু সহকারী প্রক্টর ঘটনার বিচার করেননি, উল্টো মেয়েকে ডেকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ওই ছেলের পক্ষ নেন তিনি। তখন ওই ছেলে আরও বেপরোয়া হয়ে পড়ে। আপত্তিকর মন্তব্য করত, হুমকি দিত। এসব ঘটনার বিচার চেয়ে না পেয়ে তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।