News update
  • IsDB Group Business Forum Drives Sustainable Investment at WIC     |     
  • 163 bank accounts in Nayeemul Islam Khan's family      |     
  • Commonwealth to send election observers: Khosru     |     
  • UD case filed over Metrorail bearing pad victim at Farmgate     |     
  • One killed, 5 injured in gunfight between groups in Natore     |     

অটোমেশন নাকি মান, বেসরকারি মেডিকেলে কেন এতো আসন খালি?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2024-06-01, 1:41pm

dsfasfsaf-e7eafecf856e6e49d56c58d7999b9ecf1717227678.jpg




বেসরকারি মেডিকেল কলেজে প্রথম দফার ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হলেও এখনও বেশ কয়েকটি কলেজের ৮০ শতাংশের বেশি আসন খালি। বিগত বছরের তুলনায় আবেদনকারী বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, অটোমেশন প্রক্রিয়ায় কাঙ্ক্ষিত কলেজ না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছেন না। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর বলছে, অটোমেশন কোনো বাধা নয়, মান রক্ষা করতে না পারায় কোনো কোনো কলেজ শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।

ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম দফার ভর্তি ১৮ এপ্রিল শেষ হলেও ৬৭টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্যে শতভাগ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পেরেছে মাত্র নয়টি কলেজ। এখনও ১২টি মেডিকেল কলেজে ৮০ শতাংশ বা তার চেয়ে বেশি আসন ফাঁকা রয়েছে। বাকি কলেজগুলোতে ফাঁকা আছে ১-১৯ শতাংশ পর্যন্ত আসন। এমনকি বিদেশি শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত আসনের ৩৫ শতাংশই খালি।

চলতি মাসের শুরুতে কিরগিজস্তানের মেডিকেল কলেজে অধ্যয়নরত বেশ কিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ভোগান্তিতে পড়ার পর আলোচনায় আসে বিদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। তবে দেশের মেডিকেল কলেজে আসন ফাঁকা রেখে কেন তারা বিদেশমুখী হচ্ছেন- এমন প্রশ্নের সরাসরি কোনো উত্তর না মিললেও জানা গেছে, দেশটিতে বাংলাদেশের চেয়ে মেডিকেল পড়াশোনার খরচ কম।

বেসরকারি মেডিকেল কলেজ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অটোমেশন প্রক্রিয়ার শিক্ষার্থীরা নিজের পছন্দের কলেজ না পাওয়ায় ভর্তি হচ্ছেন না। এছাড়া অনেক দেশের তুলনায় দেশে ব্যয় বেশি।

বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী প্রশ্ন রেখে বলেন, অনেক মেডিকেল কলেজে সিট ফাঁকা আছে। সবমিলে প্রায় ১২০০ সিট ফাঁকা। তাহলে যারা এখানে বিনিয়োগ করেছে তাদের কী হবে? রাষ্ট্রই তো এখানে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। এখন যারা বিনিয়োগ করেছে তারা ক্ষতির মুখে পড়বে।

অটোমেশনের সমস্যার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘যে শিক্ষার্থী ঢাকায় বড় হয়েছে সে মনে করতেই পারে আমি ঢাকার কোনো মেডিকেলে পড়ব। কিন্তু অটোমেশনে সে পেয়েছে চট্টগ্রাম বা রাজশাহীর কোনো মেডিকেল কলেজ। ফলে সে আগ্রহ দেখাচ্ছে না সেখানে ভর্তি হতে।’ এ কারণে অনেক আসন ফাঁকা থেকে যাচ্ছে বলে মত এই চিকিৎসকের।  

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতর বলছে, অটোমেশন প্রক্রিয়া ভর্তিতে কোনো বাধা নয়, বরং যেসব বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মানরক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে তারাই শিক্ষার্থী পাচ্ছে না।

অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা বলেন,যারা সিট পূরণ করতে পারছে না তাদের আগে আত্মসমালোচনা করতে হবে। মানোন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। আমরাও সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সহায়তা করতে চাই কীভাবে তাদের মান উন্নয়ন করা যাবে। এতে বিদেশে পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীরা দেশে পড়তে আগ্রহী হবে।  

দ্বিতীয় দফায় ভর্তির আবেদনের তারিখ এখনও শেষ হয়নি জানিয়ে অধিদফতর বলছে, সময়সীমা বাড়ানোর ফলে যে হারে শিক্ষার্থীরা আবেদন করছেন তাতে সব আসনই পূর্ণ হয়ে যাবে।

এর মধ্যে ১৯ মে থেকে তিন সপ্তাহের জন্য বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভর্তির আবেদনের পোর্টাল আবার খুলে দেয়া হয়েছে। আর দেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ২১ মে থেকে ৮ জুন পর্যন্ত পুনরায় ভর্তির আবেদন করতে বলা হয়েছে। সময় সংবাদ