News update
  • Fire at UN climate talks in Brazil leaves 13 with smoke inhalation     |     
  • 5mmcfd gas to be added to national grid from Kailashtila gas field     |     
  • ArmArmed Forces Day: Tarique's message draws on historic closeness     |     
  • UNGA urges renewed int’l efforts for a resolution of Rohingya crisis      |     
  • First National AI Readiness Assessment Report Published     |     

নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ সরানোর গুঞ্জন, যা জানাল কর্তৃপক্ষ

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ক্যাম্পাস 2025-03-29, 7:25am

acedb58f46de25763061d2ec337f77d6479abc4d77451ccd-66f083886042b543bf0e9675535c14511743211550.jpg




দেশের পিছিয়ে পড়া জেলা থেকে নাম মুছতে ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নেত্রকোনায় মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরের বছর ২০১৯ থেকেই অস্থায়ী ক্যাম্পাস জেলা সদর হাসপাতালের ভবনে শুরু হয় শিক্ষা কার্যক্রম। স্থায়ী ক্যাম্পাসের স্থান অধিগ্রহণ নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের দ্বন্দ্ব থাকলেও মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমসহ সব কাজ এগিয়ে চলছে।

তবে সম্প্রতি কলেজ ক্যাম্পাস সরিয়ে নেয়া হচ্ছে, এমন তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয়দের আলোচনাতেও বিষয়টি স্থান পায়।

গেল কদিন ধরে নতুন নতুন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন দলীয় নেতাকার্মীরা সোচ্চার হয়েছেন মেডিকেল কলেজটি নেত্রকোনাতেই রাখার জন্য। কলেজ না সরানোর জন্য ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যম এবং নেত্রকোনা শহরেও চলছে মিটিং-মিছিল।

তবে কলেজ সংশ্লিষ্ট কেউই স্থানান্তরের বিষয়ে কিছুই জানেন না। 

জমি অধিগ্রহণে জটিলতা  

স্থানীয় এবং কলেজ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা জানা গেছে, কলেজ প্রতিষ্ঠার পর ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। সাবেক আওয়ামী লীগের এমপিদের মধ্যে চলে স্থান নির্ধারণে বিরোধ। নেত্রকোনা-২ আসনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু চেয়েছিলেন মদন সড়কের বালি এলাকায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হোক।

অন্যদিকে নেত্রকোনা-৪ আসনের সাজ্জাদুল হাসানের পছন্দ ছিল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা।

আর সুশীল সমাজ ও সাধারণ নাগরিকরা দাবি তোলেন, কলেজেকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চত্বরেই যেন কলেজ ক্যাম্পাস রাখা হয়। এসব বিরোধে পাঁচটি বছর চলে গেলেও স্থায়ী ক্যাম্পাসের কোনো সুরাহা হয়নি।

তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ পুরোদমে মানসম্মত পাঠদান কাজ অব্যাহত রাখেন। এর ফলশ্রুতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স মূল্যায়ন পরীক্ষায় পাসের হারে ময়মনসিংহকে পেছনে ফেলে নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাহপরিচালকের পরিদর্শনেও কলেজের বিভিন্ন দাবি দাওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কলেজ সরিয়ে নেয়ার বিভ্রান্তিকর তথ্যে আন্দোলন শুরু হয়েছে। যে আন্দোলনের কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি গেল কয়েকদিনে।

মেডিকেল কলেজের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র মো. আতিক জানান, কলেজ স্থানান্তর নিয়ে কোনো স্ট্যাটমেন্ট আসেনি। স্বাস্থ্যের ডিজি স্যার আসছিলেন, তিনি বলেছেন ষষ্ঠ ও সপ্তম ব্যাচকে জামালপুরের সঙ্গে যুক্ত করবেন। এই কলেজ মমেকের চেয়েও পাসের হার বেশি। এখানে একটি হাসপাতালও আছে। তাহলে কেন আমার ভাইয়েরা অন্যত্র যাবে। সব মিলিয়ে মানহীন বলে আমাদেরকে খাটো করা হচ্ছে তাই এই আন্দোলন বলে দাবি এই শিক্ষার্থীর।

কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সাইফুল হাসান বলেন, সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদনে মানহীন কলেজ হিসেবে মোট ৬টি কলেজ বাতিল হতে পারে বলে তথ্য আসে। এরমধ্যে নেত্রকোনার নামও আছে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স মূল্যায়ন পরীক্ষায় আমাদের কলেজ ময়মনসিংহের থেকেও ভালো অবস্থানে আছে, তাহলে এমন বিভ্রান্তি কেন ছড়ানো হচ্ছে।

কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, একটি ব্যাচ অলরেডি বের হয়েছে। মমেকের চেয়ে মূল্যায়নে আমরা এগিয়ে। ৭ম ব্যাচে ৭১ জন নতুন যুক্ত হবে। আমরাতো কোনো সমস্যা দেখছি না। মান খারাপ হলেতো পড়াশোনার দিকে রেজাল্ট খারাপ হওয়ার কথা ছিল। এমন কিছু দেখছি না। মন্ত্রণালয়ও আমাদেরকে কোনো চিঠি দেয়নি বা কিছু জানায়নি।

তিনি আরও বলেন, গেল ১ মার্চ থেকে আমাদের ৩৪ জন পাস করা চিকিৎসক সদর হাসপাতালে ইর্ন্টান শুরু করেছেন। আমাদের অন্যান্য জনবল আউটসোর্সিংয়ে ৪১ জন ও রাজস্ব ১ জন নিয়ে কোন সমস্যাই কেউ দেখাতে পারছেন না। তাহলে কলেজটি বাতিল বা চলে যাওয়ার প্রশ্ন কেন উঠছে? মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এমন গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে সন্দেহ করছেন তিনি।

কলেজ অধ্যক্ষের মতে, কলেজের স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম চালিয়ে নিতে হাসপাতাল সংলগ্ন জায়গাতেই প্রয়োজনীয় ভবন নির্মাণ সম্ভব।

এদিকে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাসও কলেজ স্থানান্তরের বিষয়ে কিছু জানেন না। তিনি বলেন, এমন কোনো খবর বা চিঠি আমি পাইনি। কারা, কোন উদ্দেশ্যে মেডিকেল বাতিল হওয়ার আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা করছেন এটি বুঝতে পারছেন না বলেও জানান তিনি।  সময়