
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সংঘর্ষ থামলেও এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে আশুলিয়ার সিটি ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সংঘর্ষে আহত অনেক শিক্ষার্থী আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে শুরু হয় সংঘর্ষ। প্রায় সাত ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় অন্তত ১৫টি গাড়িতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কাঁচের জানালা, দরজা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষ থামলেও সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকেই দুই বিশ্ববিদ্যালয়েই থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা। আতঙ্কে হল ছেড়ে যাচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী।
এ অবস্থায় সোমবার সকালে সিটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দেন তারা।
সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অফিসের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র নিয়ে গেছে; ক্যান্টিনসহ বহু স্থাপনা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থীকে আটকে রেখেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ড্যাফোডিলের ভিসি স্বশরীরে এসে ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের নিয়ে যাবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রশাসনিকভাবে সমাধান চাই, আপাতত মামলার পথে যেতে চাই না। আনুমানিক ক্ষতির পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা।’
এ ঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।