মাত্র ১২৮ রানের লক্ষ্য আফগানিস্তানের সামনে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসরের প্রথম ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা আফগানদের জন্য এই কটা রান মোটেও বেশি না। তবে লড়াইটা ঠিকই করেছে বাংলাদেশ। লড়াই করলেও শেষ হাসিটা হেসেছে আফগানরা, প্রথম দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সুপার ফোরে।
এদিন দুই আফগান ওপেনারকে টাইগার বোলাররা বলতে গেলে খেলতেই দেননি হাত খুলে। যারা কী না তাণ্ডব চালায় লঙ্কান বোলারদের উপর।
১৪ ওভার পর্যন্ত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বাংলাদেশের হাতে। ৬৫ রানে ৩ উইকেটে হারিয়ে শেষ ৬ ওভারে দরকার ৬৩ রান। ১৫তম ওভারে তাসকিন আহমেদ আসলেন, পরপর দুই চারে দিলেন মোট ৭ রান।
১৬তম ওভারে শেখ মেহেদী ৯ রান দেয়ার পর মোস্তাফিজুর রহমান দেন দুই ছক্কায় মোট ১৭ রান। ম্যাচটা এখানেই বলা যায় শেষ। পরের ওভারে সাইফউদ্দিন এসে দেন ২২ রান।
জয় পেতে লাগত আর ৪ রান, ১৯তম ওভারে মোসাদ্দেক দেন এক ছক্কাসহ ৭ রান। ইবরাহিম জাদরান ৪১ বলে ৪২ রান করলেও নাজিবুল্লাহ জাদরান টর্নেডো বইয়ে দেন শেষ কটা ওভারে। ১৭ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় ৪৩ রান করে ম্যাচ জিতান ৭ উইকেটে।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও শেষ ৬ ওভারের কথাই বললেন। জানিয়েছেন, এই ওভারগুলোতেই হেরে গেছে দল।
‘আমার মতে, বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছে। প্রথম ১৫ ওভারে আমরা ভালোভাবেই ম্যাচে ছিলাম। শেষ ৫-৬ ওভারে তারা ম্যাচটা আমাদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তবে কৃতিত্ব অবশ্যই আফগানিস্তানের, তারা খুব ভালো খেলেছে।’
বোলারদের ব্যর্থতার আগে হতাশ করেন ব্যাটাররা। মোসাদ্দেক হোসেনের অপরাজিত ৪৮ রানের ইনিংসটা ছাড়া ব্যর্থ হয়েছেন সবাই। সাকিব বলছেন ১০-১৫ রানের ঘাটতিতে হেরেছেন ম্যাচ।
‘আমি মনে করি আমরা ১০-১৫ রান কম করেছি। ব্যাটারদের থেকে আমরা আশা করি, যে-ই শুরু পাবে, তাকে নিশ্চিত করতে হবে যে পুরো ইনিংস খেলতে পারে। মোসাদ্দেক আমাদের হয়ে কাজটা করেছে। দুর্ভাগ্যবশত এটি যথেষ্ট ছিল না। আমাদের আরও কিছু কন্ট্রবিউশন প্রয়োজন ছিল, যা পাইনি।
ম্যাচ হারলেও দুই জাদরানকে কৃতিত্ব দিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘আমরা জানি নাজিবউল্লাহ একজন ভয়ঙ্কর খেলোয়াড়। শেষ ৬ ওভারে তাদের ৬০+ রান দরকার ছিল। এমন উইকেটে আমরা ভেবেছিলাম ম্যাচটি আমাদের হাতে আছে। কিন্তু কৃতিত্ব তাদেরই, যেভাবে ব্যাটিং করেছে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।