জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা আজ সোমবার টোকিওতে একটি দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠক শেষ করেছেন। এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা দুই দেশের বন্ধুত্ব আরও জোরদারের উপর জোর দেন।
ইউক্রেনের দিকে সারা বিশ্বের নজর কেন্দ্রীভূত থাকাকালীন এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হল। প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন উভয়েই বিশ্বের এই অঞ্চলকে নিরাপদ রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
কিশিদা বলেন, “আমি একটি অপেক্ষাকৃত বড় আকারের প্রতিরক্ষা বাজেট নিশ্চিত করার সংকল্প ঘোষণা করেছি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটি জোরালোভাবে সমর্থন করেছেন। এছাড়া, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের জাপান-যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা আরও প্রসারিত ও গভীর করার বিষয়েও আমরা সম্মত হয়েছি।”
বাইডেন বলেন, “আমি জাপানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালীকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী কিশিদার সংকল্পের প্রশংসা করি। একটি শক্তিশালী জাপান এবং একটি জোরালো মার্কিন-জাপান জোট এই অঞ্চলের ভালোর জন্য একটি শক্তি।"
নেতৃদ্বয় বলেন যে তারা ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে রক্ষা করতে নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করা অব্যাহত রাখবেন।
উত্তর কোরিয়া অস্ত্রের উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে চলায় দেশটির উপর নজর রাখার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে কাজ করবে জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র।
আলোচনায় চীনের প্রভাবের বিষয়টিও বিস্তৃতভাবে এসেছে।
কিশিদা বলেন, “আমরা তাইওয়ান প্রণালীতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছি, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য একটি অপরিহার্য বিষয়। আমরা আন্তঃপ্রণালী সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্যও আহ্বান জানিয়েছি।"