আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক সালানা জলসা বন্ধকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (৩ মার্চ) পঞ্চগড় শহরে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আরিফুর রহমান (২৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি শহরের ইসলামবাগ এলাকার ফরমান আলীর ছেলে। তিনি শহরের একটি প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করতেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশসহ আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েকশ রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। সংঘর্ষ চলাকালে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ব্যবসায়ীদের কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এবং ২০টি বাড়িতে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় ১৭ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জনসংযোগ দপ্তর।
পুলিশ ও সংগঠনগুলোর সূত্রে জানা যায়, আহম্মদ নগর এলাকায় কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের শুক্র, শনি ও রোববার সালানা জলসার আয়োজন করা হয়েছে। জলসা বন্ধ ঘোষণার দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পঞ্চগড় শাখা, সম্মিলিত খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ পরিষদ, ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি, ইমাম-মোয়াজ্জিন কল্যাণ সমিতি, পঞ্চগড় কওমি ওলামা পরিষদ ও জাতীয় ওলামা মাশায়েক আইম্মা পরিষদের শত শত লোকজন মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো বাঁশ ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
এর আগে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চগড় জেলা সম্মিলিত খতমে নবুয়ত সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি মুফতি আ ন ম আবদুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ প্রমুখ।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল লতিফ মিয়া বলেন, আন্দোলনের বিষয়টি তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমরা শুরু থেকে তৎপর ছিলাম, এখনও আছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা কাদিয়ানিদের আহমদ নগর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করেছি। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।