News update
  • Tarique Rahman returns home amid rapturous reception     |     
  • Home After 17 Years: Tarique Returns to Gulshan Residence     |     
  • Tarique Calls for United Effort to Build a Safe Bangladesh     |     
  • Tarique leaves for 300 feet area from airport     |     
  • BNP top leaders welcome Tarique Rahman on homecoming     |     

ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনা : যা জানালেন বাংলাদেশি যাত্রী আক্তারুজ্জামান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2023-06-03, 9:27pm

resize-350x230x0x0-image-226078-1685805504-ca9d0a9586a62e9b5795d4421dc8cab21685806071.jpg




ভারতে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় অক্ষত আছেন বাংলাদেশের মো. আক্তারুজ্জামান। তিনি জানিয়েছেন, তারা শুধু বুঝতে পেরেছিলেন বিকট শব্দ হয়েছে। সেই সঙ্গে ট্রেনটি সজোরে ঝাঁকুনি দিয়েছে। সামনে কিছু একটা হয়েছে, এটা বুঝে দেখার চেষ্টা করলেন কিন্তু ব্যর্থ হলেন।

তিনি জানান, একটি সময় তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো। শুধু যাওয়ার সময় চোখের সামনে দেখতে পেলেন হতাহতদের নিয়ে টানাটানি। আহতরা চিৎকার করছেন, তাদের উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছেন রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি স্থানীয়রা।

শনিবার (৩ জুন) এসব কথা বলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সামন্তা এলাকার পাখরাইল গ্রামের বাসিন্দা মো. আক্তারুজ্জামান। স্ত্রী নূর জাহানের চিকিৎসার জন্য করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে ভেলর যাচ্ছিলেন। আক্তারুজ্জামান মহেশপুর সরকারি পদ্মপুকুর শেখ হাসিনা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। শনিবার সকাল ৭ টায় তাদের আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা এখন ভেলরের পথে।

মুঠোফোনে মো. আক্তারুজ্জামান জানান, স্ত্রী নুর জাহানের চোখের সমস্যা। বেশ কয়েক দফা ভারতে চিকিৎসা করিয়েছেন। এবার সিদ্ধান্ত নেন ভেলর গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। সেই ইচ্ছায় গত ১ জুন ভারত যান। এরপর ট্রেনের টিকিট নিয়ে শুক্রবার দুপুর শালিমার স্টেশনে হাজির হন। ৩টা ২০মিনিটে তাদের বহনকরা করমন্ডল ট্রেনটি স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা যখন ওডিশার বালাসোর জেলার বাহাঙ্গাবাজার এলাকায় পৌঁছান তখন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়ে। তারা বিকট শব্দ ও ঝাঁকুনি অনুভব করেন। ট্রেনের মধ্যে থাকা কয়েক হাজার মানুষ কান্নাকাটি শুরু করেন। তারাও বুঝে নেন ট্রেনটি দুর্ঘটনায় পড়েছে।

তিনি জানান, তারা ছিলেন ২-এ এসি বগিতে। তাদের সামনে ছিল আরও কয়েকটি বগি। তারা দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে সামনে কি ঘটেছে দেখার চেষ্টা করেন। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সেখানে উপস্থিত স্থানীয় মানুষগুলো তাদের যেতে দিল না। তারা উদ্ধার কাজ শুরু করে দিলেন। আর যারা ভালো আছেন তাদের সরিয়ে দেওয়া হলো।

তিনি আরও জানান, ট্রেন থেকে তাদের সরিয়ে দেওয়ার পর তারা বাসযোগে কিছুটা দূরে এক এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেন। সেখান থেকে পরদিন সকালে ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়।

আক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বাসে ওঠা পর্যন্ত সময়টুকু তাদের আতঙ্কে কেটেছে। কি হচ্ছে সামনে তা তারা কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। অনেক বাংলাদেশি ছিল এই ট্রেনে। তারা কেমন আছেন সেটাও বোঝা যাচ্ছিল না। শুধু তারা ভালো আছেন, এই খবরটা নিকটতম আত্মীয়স্বজনের কাছে মুঠোফোনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এভাবে কিছু সময় যাওয়ার পর ট্রেনের কর্মকর্তারা এসে তাদের সরিয়ে দেন। গোটা রাত তারা থেকেছেন পাশের একটি শহরে।

শনিবার সকালে মাইকে তাদের ভুবনেশ্বর স্টেশনে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। তারা সেখানে গেলে পন্ডিশ্রি নামে আরেকটি ট্রেনে তুলে দেওয়া হয়েছে। আক্তারুজ্জামান জানান, ঘটনার পর তারা ছিলেন অন্ধকারের মধ্যে। কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। তবে যখন তাদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল তখন দেখতে পান হতাহতদের নিয়ে ছোটাছুটি। যা দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। আহত মানুষের চিৎকার কষ্ট দিয়েছে। শুধু ভেবেছেন এতো বড় একটি দুর্ঘটনায় পড়েও তারা ভালো আছেন।

মো. আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী নুর জাহান জানান, তারা যে কামরায় ছিলেন সেখানে দুইজন বাংলাদেশি ছিল। তবে অন্য কামরাগুলোয় আরও অনেক বাংলাদেশি ছিল। পরের ট্রেনে তাদের তুলে দেওয়ার পর বুঝতে পেরেছেন অনেক বাংলাদেশি দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনে ছিল। তবে কারও কোনো ক্ষতি হয়েছে এমন তথ্য তারা পাননি। মৃত্যুর খবরও তাদের কানে পৌঁছায়নি। সৃষ্টিকর্তার আশীর্বাদে তারা ভালো আছেন, যারা চিকিৎসার জন্য ভারতে আছেন তাদের সকলের জন্য তিনি দোয়া চেয়েছেন। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।