News update
  • No response on request for Hasina’s extradition: Touhid Hossain     |     
  • Deep relations with US, economic ties with China: Touhid     |     
  • Recommendations on July Charter implementation submitted to CA     |     
  • Cyclonic storm ‘Montha’ now severe cyclonic storm; unlikely to hit BD     |     
  • Gaza Families Face Dire Shortages as Aid Efforts Expand     |     

কপিরাইট বিল পাস

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2023-09-12, 8:20am

resize-350x230x0x0-image-239388-1694468882-54a6711224253de40715124e7980b0d11694485201.jpg




জাতীয় সংসদে কপিরাইট বিল- ২০২৩ পাস হয়েছে। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

বিলের ওপর আনা বাছাই কমিটিতে প্রেরণ, জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

২০০০ সালের কপিরাইট আইন বাতিল করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, কপিরাইটের মেয়াদ হবে ৬০ বছর।

অজ্ঞাতনামা বা ছদ্মনামীয় কাজের স্বত্বাধিকারীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করে পাস হওয়া বিলে প্রকাশনা, চলচ্চিত্র, ডিজিটাল কাজ, নাটক, লোককাহিনী, শিল্পকলা এবং অডিও রেকর্ডিংয়ের মৌলিক কাজের অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে।

বিলে অজ্ঞাত বা ছদ্মনামীয় কর্মের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, একক বা যৌথভাবে রচিত, ছদ্মনামে প্রকাশিত কোনো কর্মের ক্ষেত্রে প্রণেতার পরিচয় প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকাশক কর্তৃক জনসাধারণে প্রকাশিত প্রণেতা কিংবা তার আইনানুগ প্রতিনিধি। বিলে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল কর্মের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে যে মেধাসম্পদ তৈরি হয়, তার আইনগত স্বীকৃতি ও সুরক্ষার জন্য কপিরাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, গত দুই দশকে প্রযুক্তির অসামান্য উন্নতির প্রেক্ষাপটে মেধাস্বত্বের ব্যবহার ও প্রযুক্তিনির্ভরতা বহুগুণ বেড়েছে এবং পাইরেসি বৃদ্ধির কারণে মেধাসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সুরক্ষায় বিদ্যমান কপিরাইটের অধিকতর সংশোধন করা প্রয়োজন হওয়ায় বিলটি আনা হয়েছে।

বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতি শক্তিশালী। কিন্তু উদারতন্ত্রের অর্থনীতি এখানে দেখছি না। ১৫ বছর এ সরকার ক্ষমতায় আছে, কিন্তু সাংস্কৃতিক বিপ্লব দেখলাম না।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী আরও বলেন, ঢাকা শহরের একটা অংশ কালচারাল হেরিটেজ হওয়ার কথা ছিল, কালচারাল ক্যাপিটাল হওয়ার কথা ছিল, তা হয়নি। উপজেলা পর্যায়ে সংস্কৃতির জন্য বরাদ্দ নেই। কালচারাল বিপ্লবের জন্য বরাদ্দ নেই।

গণহারে পাইরেসি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ফটোকপির দোকানে দেখা যায়, কারও না কারও বই অনুমতি ছাড়া কপি হচ্ছে। এর সুবিধা আছে ছাত্ররা কম টাকায় বই পায়। একটা সময় বাংলাদেশকে এ প্রশ্নের সম্মুখীন হতেই হবে যে, এই পাইরেসির বিষয়ে সরকার কী করেছে।

শামীম হায়দার বলেন, সিনেমা হারিয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক মানের সিনেমা আসছে না, এক্ষেত্রে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রক্ষাকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সেখানে মানসম্পন্ন সিনেমা, ওয়েব সিরিজ, নাটক হচ্ছে। কিছু সমালোচনা আছে, অশ্লীলতা আছে, নিয়ন্ত্রণের কিছু প্রয়োজন আছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিটি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বিভিন্ন সংস্থা করছে। এগুলো কারার মাধ্যমে সৃজনশীলতা লোপ পেতে পারে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।