মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশের ভেতরে থাকা রোহিঙ্গারাও কিভাবে অংশ নিচ্ছে তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে।
এমন অবস্থায় সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছে সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে।
কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের গ্রামবাসীরা বলছেন, সংঘাতের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর কেউ কেউ সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আরাকান আর্মির সাথে ‘যুদ্ধে’ অংশগ্রহণ করছে। কোন কোন সংগঠন আবার মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের(বিজিপি) ফেলে যাওয়া অস্ত্রগুলো নিয়ে প্রবেশ করছেন বাংলাদেশে।
গত মঙ্গলবার এমন ২৩ জনকে আটকের পর বিজিবি তাদেরকে পুলিশে হস্তান্তর করে। তাদের কাছ থেকে ১২টি অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘এই ২৩ জন ব্যক্তি সশস্ত্র ছিলো। যাদের অনেকের কাছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কার্ড ছিলো। তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে’। তবে তারা কেন যাচ্ছে? কিভাবে যাচ্ছে এই প্রশ্ন আমাদেরও’।
এ নিয়ে কক্সবাজারে কর্মরত সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার সাথে আলাপ হয় বিবিসি বাংলার এই সংবাদদাতার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি জানান, ''আটককৃতদের বেশিরভাগ নবী হোসেনের নেতৃত্বাধীন আরাকান রোহিঙ্গা আমি (এআরএ) ও রোহিঙ্গা সলিডারিডি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্য। আটক হওয়ার আগের রাতে আরাকান আর্মির সাথে তাদের যুদ্ধ হয়। এতে তাদের দশজনের মতো মারাও গেছে''।
তিনি জানান, ''তারা আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধে টিকতে না পেরে কেউ কেউ পালিয়ে এসেছেন। তাদেরকেই মূলত স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে দিয়েছে''।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মিয়ানমারের যুদ্ধেই বা কেন জড়াচ্ছে বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো?
এর উত্তর খুঁজতে বিবিসি বাংলার এই সংবাদদাতা কথা বলেন, ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গা, উখিয়া টেকনাফের বাসিন্দা ও সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর সাথে।
এ নিয়ে নানামূখী উত্তর পাওয়া যাচ্ছে তাদের কাছ থেকে। ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মো. জুনায়েদ বিবিসি বাংলাকে জানান, ''এই সংগঠনগুলো সবাই চায় নিজেদের শক্তি দেখাতে। তাদের দশ জনের জন্য দশলাখ মানুষ দুঃখী''।
কোন কোন রোহিঙ্গা সংগঠন সক্রিয়?
স্থানীয় বাসিন্দা ও বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা যাচ্ছে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এই সংঘাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক আরসা, আরএসও এবং নবী হোসেনের নেতৃত্বাধীন আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (এআরএ) গ্রুপ নামে তিনটি পক্ষ কম বেশি সক্রিয়।
গত মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার রহমতের বিল এলাকা থেকে একজনকে অস্ত্র ও বাহিনীর পোশাকসহ একজনকে আটক করে স্থানীয় গ্রামবাসী। পরে তাকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন তার কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।
অত্যাধুনিক রাইফেল ও গোলাবারুদসহ গ্রামবাসীর হাতে আটক হওয়া ঐ ব্যক্তি তখন বিবিসির সংবাদদাতার কাছে নিজেকে নিজেকে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) সদস্য বলে পরিচয় দেন।
এই রোহিঙ্গা সংগঠনটি বেশি সক্রিয় কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে।
এছাড়াও সক্রিয় রয়েছে নবী হোসেনের নেতৃত্বাধীন আরাকান রোহিঙ্গা আর্মির (এআরএ)। গত পাঁচই ফেব্রুয়ারি এআরএ’র অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে একটি ভিডিও আপলোড করা হয় নবী হোসেনের। যেখানে অস্ত্র ও গোলা বারুদের পাশে দাড়িয়ে নবী হোসেন বলছিলেন, ''আমরা মিয়ানমার বিজিপিকে মেরে এই অস্ত্রগুলো পেয়েছি। হে রোহিঙ্গা জোয়ান, তোমরাও আসো, তোমাদের জন্য আমাদের দরজা খোলা''।
গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানান, সোমবার রাতে যে গোলাগুলি হয়েছে তা মূলত নবী হোসেনের বাহিনীর সাথে আরএসও এবং আরাকান আর্মির মধ্যে হয়েছে। আরাকান আর্মি যখন দেখেছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করার জন্য নবী হোসেন গ্রুপ এই যুদ্ধে। তখন আরাকান আর্মি সেটির দখল নিজেদের কাছে নিয়ে নিয়েছে।
মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতে আরেকটি রোহিঙ্গা সংগঠনের নাম আসছে বেশ জোরেশোরে। সেটি হচ্ছে আরসা বা আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মির। যদিও উখিয়া টেকনাফ ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় সংগঠনটির পরিচিতি আল ইয়াকিন নামেই। মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে আরসার এই শত্রুতা পুরনো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অষ্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মো. মিজানুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অধিকার ও নাগরিকত্ব নিয়ে কাজ করত আরসা। এ কারণে আরসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পায়। তবে এটাও ঠিক ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে আরসার হামলার পরই রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে মিয়ানমার সরকার’।
তিনি জানান, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসার পর আরসা মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির কারণে তাদের সাধারণ ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গারা পছন্দ করেনা।
মিয়ানমারে সংঘাতে আরসার অনেক সদস্য ক্যাম্প থেকে যাওয়ার বিষয়টি জানেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা। বিবিসি বাংলার কাছে নাম প্রকাশ না করার শর্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একজন দোকানী বলেন বলেন, ‘এরা মাঝে মাঝেই ওপারে যায়। এবার যুদ্ধের খবর পেয়ে এখান থেকেও অনেকে গেছে বলে আমরা শুনেছি’।
রোহিঙ্গা গোষ্ঠীগুলোর আগ্রহ কেন?
মিয়ানমারের এই সংঘাতে রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তার নানামূখী উত্তরও পাওয়া গেছে।
ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের ভাষ্য, মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ক্ষোভ আগে থেকেই। যখন রোহিঙ্গা সংগঠনগুলো দেখেছে রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি অনেকটা শক্তি নিয়ে যুদ্ধ করছে জান্তাদের বিরুদ্ধে, তখন এসব সংগঠনগুলোর কেউ কেউ যুদ্ধে গেছে।
তবে রোহিঙ্গাদের বাইরে উখিয়া কক্সবাজার এলাকায় এ নিয়ে ভিন্ন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। তারা বলছেন, মূলত সংঘাতময় এলাকায় নিজেদের আধিপত্য তৈরি করে অস্ত্র ও গোলা-বারুদ দখলে নেওয়াই এদের প্রধান লক্ষ্য বলেও জানান উখিয়ার বাসিন্দা রবিউল হোসেন।
তিনি বলেন, ''আরাকান আর্মির সাথে আরএসও যুদ্ধ করছে। নবী হোসেন গ্রুপ মূলত মাদক কারবারি। ওখান থেকে অস্ত্র লুট করবে, কিংবা মাদক পাচার করবে। এ কারণেই তারা ওইপাশে গেছে যুদ্ধ করতে''।
সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার কক্সবাজারের কর্মরত কর্মকর্তা বিবিসি বাংলাকে জানান ‘নবী হোসেন বাহিনী একটা ব্যাটেলিয়ন লুট করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বারুদ সংগ্রহ করছে। এই তথ্য তাদের কাছেও আছে’।
২০১৭ বাংলাদেশে যখন রোহিঙ্গারা আশ্রয় নেয় তখন নবী হোসেনও এসেছিলেন। মাদক চোরা কারবারির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বহু পুরানো। তাকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেছিলো বিজিবি।
উখিয়ার যে কয়েকজনের সাথে সাথে কথা হয়েছে তাদের ভাষ্য ‘মিয়ানমার বাংলাদেশ রুটে মাদক চোরাচালানের অন্যতম হোতা এই নবী হোসেন বা এআরএ গ্রুপ। যুদ্ধের চাইতেও বড় আগ্রহ তাদের অস্ত্র লুট ও মাদক ব্যবসার পরিধি বাড়ানো।
বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলার এই সংবাদদাতা যখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের সাথে রোহিঙ্গাদের সংগঠনগুলোর আগ্রহ নিয়ে জানতে চায়, তখন দু একজনের উত্তর ছিলো তাদের দেশান্তরের পেছনে জান্তা সরকার। এ জন্য প্রতিশোধ নিতে গিয়েছে।
যদিও এই বিষয়গুলো নিয়ে খুব একটা খোলামেলা কথা বলতে চান না সাধারণ রোহিঙ্গারা। তারা জানাচ্ছিলেন, রোহিঙ্গা সংগঠনগুলো এই ক্যাম্পে অনেক সক্রিয়। তারা সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কোন কথা বললে পরবর্তীতে তারা বিপদে পড়তে পারেন।
কক্সবাজারের জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ''মিয়ানমারের যুদ্ধে রোহিঙ্গাদের আগ্রহ কেন সেটা আমাদেরও প্রশ্ন। তাদের আটকের পর রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। সেখানে যদি তারা যদি কিছু বলে তখন আমরা এর কারণ জানাতে পারবো''।
বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলের নিরাপত্তা কী?
ভোর থেকে ভয়াবহ গোলাগুলির পর মঙ্গলবার সকালে ঢেকিবনিয় সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশ প্রান্তে অস্ত্রসহ ঢুকে পড়ে রোহিঙ্গা সংগঠনগুলো। গ্রামবাসী তাদের বাধা দিলে তাদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় তারা।
ঐ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, ‘তারা গোলা বারুদ নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রবেশ করতে চাচ্ছে। তাদের বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছে অন্তত ৭ জন। তারা গোলাবারুদসহ ঢোকার পর প্রশাসনের অধীনে নিয়ে নেয়া দরকার ছিলো’।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মাহফুজুল ইসলাম বলেন, "যুদ্ধ বা উত্তেজনায় মেলা কিছুই হতে পারে। আমরা আমাদের প্রস্তুতি ও সতর্কতা পুরোটাই নিয়ে রাখি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি সকল সংস্থার মাধ্যমে সমন্বয় করে কাজ করেছি। স্থানীয় জনগণকে সতর্ক করেছি’।
গত মঙ্গলবার সকালে উখিয়ার পালংখালীর রহমতের বিল এলাকায় অস্ত্রধারী ১৪ জন সদস্য রহমতের বিলের একটি বাড়িতে ঢুকে পড়তে দেখা যায়। তার কিছুটাই দুরে বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছিলো। ঐ বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায় অন্তত ১০টি রাইফেলসহ বসে আছেন তারা।
পরিচয় জানতেই তারা জানান, তারা সবাই আরএসও সংগঠনের সদস্য। কিন্তু গ্রামবাসী তখন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন অস্ত্রধারী এসব ব্যক্তির খবর প্রশাসনের কাছে আছে। তারা রোহিঙ্গা সংগঠনের সে তথ্যও তারা জানে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
এ নিয়ে বিবিসি বাংলা জানতে চায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলামের কাছে। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমার কাছে আরসা, আরএসও বলে কোন কথা নাই। তারা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, তার বাইরে তাদের কোন পরিচয় নাই। তবে ওই অংশটি পুলিশ কাভার করে না’।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে যে সব প্রশ্ন
গত সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের একটি বাড়িতে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল হামলায় যে দু জন মারা যান তাদের একজন রোহিঙ্গা পুরুষ। রোহিঙ্গা ঐ ব্যক্তি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কার্ডধারী। প্রশ্ন হলও তিনি কিভাবে ক্যাম্পের বাইরে গেলেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি দোকানে বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলার কথা হয় রোহিঙ্গা নাগরিক মো. জুনায়েদের সাথে। তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘ঐ ব্যক্তি মিয়ানমারে তাদের পাশের গ্রামেই থাকতেন। এতদিন তিনি ক্যাম্পেই ছিলেন। ক্যাম্প ছেড়ে কিভাবে তিনি বাইরে গেলেন এ নিয়ে প্রশ্ন তারও।
আমরা যখন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতর ঘুরে দেখেছি তখন এর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তেমন কোন কড়াকড়ি আমরা লক্ষ্য করিনি। দুপুর আড়াইটার দিকে বের হওয়ার সময় কুতুপালং ক্যাম্পের গেটে দিয়ে দেখেছি অনেকেই অনেকটা নির্বিঘ্নে ঢুকছেন ও বের হচ্ছে। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার তেমন কোন চিত্র আমাদের নজরে পড়েনি।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ''এসব বাস্তবতাকে অস্বীকার করার সুযোগ নাই যে আমার রিসোর্সের অভাব রয়েছে। একশোর বেশি জায়গায় তারকাটা কেটে নিয়ে গেছে। এত কিছুর পরও আমরা নিরাপত্তা দেয়ার কাজটি চালাচ্ছি।''
সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা বিবিসি বাংলাকে জানান, মিয়ানমারের চলমান সংঘাতে এরই মধ্যে বেশ কিছু অস্ত্র রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে গেছে, এই তথ্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছেও আছে।
এমন পরিস্থিতিতে বুধবার সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। তার কাছে এ নিয়ে প্রশ্নও করা হয়েছিলো। জবাবে তিনি বলেন, ''অনেক রোহিঙ্গা ঢুকে গেছে এটা সত্য নয়। এটা অতিরঞ্জিত বিষয়। এটা যেন চাউর না হয়।''
বর্তমানে আর কোন রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলেও জানান বিজিবি মহাপরিচালক। বিবিসি নিউজ বাংলা