News update
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     
  • Dhaka’s air quality recorded ‘unhealthy’ Friday morning     |     
  • Dr Yunus proved impact of innovative economics: Peking Varsity Prof     |     
  • Alongside conflict, an info war is still happening in Gaza     |     

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান, যাত্রা শুরু খুলনা-মোংলা রেলপথের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-06-01, 7:30am

untitled_design_-_2024-06-01t081311-84db88159be1633ea322be8f6b4779641717210671.jpg




প্রকল্প পাসের পর একে একে কেটে গেল সাড়ে ১৩ বছর। অবশেষে অপেক্ষার অবসান হতে চলেছে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর, দেশের পর্যটনশিল্পে উন্মোচিত হতে যাচ্ছে সম্ভাবনার আরেক দুয়ার। চার হাজার ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পূর্ণতা পেল বেনাপোল-খুলনা-মোংলা রেলপথ, যদিও প্রকল্পের শুরুতে ব্যয় নির্ধারিত ছিল এক হাজার ৭২১ কোটি টাকা।

দীর্ঘ সময় আর তিনগুণ ব্যয়ের পর আজ শনিবার (০১ জুন) থেকে নতুন রুটে চালু হতে যাচ্ছে ট্রেন চলাচল। নতুন রুটটি উদ্বোধন করতে যাওয়া ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘খুলনা বেতনা এক্সপ্রেস’।

জানা গেছে, খুলনা-মোংলা পোর্ট রেলপথ প্রকল্প একনেকে পাস হয় ২০১০ সালের ২১ ডিসেম্বর। এরপর আনুষঙ্গিক সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে। প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রূপসা ব্রিজের ওপর রেলসেতুসহ প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে ভারতীয় দুটি এবং বাংলাদেশের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লার্সন এন্ড টুরবো লি. (এলএনটি) রূপসা নদীর ওপর রেলসেতু তৈরির কাজ করেছে। বাকি কাজ করেছে ভারতের অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইরকন ইন্টারন্যাশনাল। বাংলাদেশের মুন ব্রাদার্স জয়েন্ট ভেঞ্চার (জেভি) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করেছে সিগন্যালিং এবং টেলিকমিউনিকেশনের কাজ।

বেশ কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। শেষ দফায় প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছিল চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের কাজে হাত দেওয়ার পর সময় লেগেছে সাড়ে ছয় বছর।

প্রকল্পটিতে বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ প্রকল্পের মোট ব্যয়ের এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ এক হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই তৃতীয়াংশ বিনিয়োগ ভারত সরকারের পক্ষে দেশটির এক্সিম ব্যাংকের।

নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর মোংলার সঙ্গে দেশের রেলওয়ের বর্তমান নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন এবং মোংলা বন্দরের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের রেলযোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করা, বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য পর্যটকদের আকৃষ্ট করা, মোংলা পোর্ট পর্যন্ত রেলপথে আরামদায়ক ভ্রমণের সুব্যবস্থা করা, রেলের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে খুলনা-মোংলা পোর্ট রেলপথ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে।

তিনি বলেন, পুরোনো ট্রেন দিয়ে মোংলা-বেনাপোল রুটে ১ জুন থেকে নিয়মিতভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও কোরবানির ঈদের পর এই রুটে নতুন ট্রেন সংযোজন করা হবে এবং ট্রেনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।