News update
  • Off-season watermelon brings bumper crop to Narail farmers     |     
  • Climate Change Drives Deadly Floods, Storms, and Water Crises     |     
  • UN Advances Peace, Development Amid Global Challenges     |     
  • S Arabia, Pak ink defence pact after Israeli strike on Qatar     |     
  • No new committee forming, focus on polls candidates: Tarique     |     

অবরোধে শাহবাগে ৫ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ, চরম ভোগান্তি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-07-04, 5:34pm

dsfesewtwt-1ab93856aeff5b4709ee4c03854be9031720092854.jpg




সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টার থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা, যা এখনও চলমান রয়েছে।

পথচারীরা জানান, শাহবাগে বেশ কয়েকটি বড় হাসপাতাল রয়েছে। কিন্তু অবরোধের কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী এবং স্বজনদের বেগ পোহাতে হচ্ছে। এ ছাড়া গাড়ি না পেয়ে অনেকেই হেঁটেই গন্তব্যে যাচ্ছে।

তোফায়েল নামে এক ব্যক্তি জানান, পিজি হাসপাতালে আমার বোন ভর্তি। প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলাম। কিন্তু বাস বাংলামোটরে নামিয়ে দিয়েছে। বাধ্য হয়ে হেঁটেই হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু আবার ফিরে যাবো কিভাবে বুঝতে পারছি না।

ইকবাল নামে আরেকজন বলেন, চাঁদপুর থেকে এসেছি। উত্তরায় যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠেছিলাম। কিন্তু শাহবাগে অবরোধের খবরে গুলিস্তান যেতেই বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে হেঁটেই শাহবাগ পার হয়েছি। দেখি এখন কিভাবে যেতে পারি।

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, টিএসসি ও রাজু ভাস্কর্য ঘুরে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা।

এ সময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র সারজিস আলম ঘোষণা দেন, আমরা আজকে আধা ঘণ্টার জন্য আসিনি। আমাদের দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তা ছাড়ব না।

গত দুদিনও কোটা বাতিলের দাবি নিয়ে মিছিলের পর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন আন্দোলনরত ঢাবি শিক্ষার্থীরা। মিছিল থেকে ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন তারা।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামছেন।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি জানাচ্ছেন। এগুলো হলো, পরবর্তী সময়ে সরকার কোটাব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগের পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করার সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া। আরটিভি