News update
  • Bumper harvest of Jujube in Ramu Upazila     |     
  • Govt urged to offer scholarships to Palestinian students     |     
  • Caretaker Govt Review Hearing on Supreme Court Cause List     |     
  • Bangladesh Single Window to Launch by March: Lutfey Siddiqi     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     

বাংলাদেশে যেভাবে কোটা ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-07-14, 11:34am

rretwertwe-8d4bfc37b91e03d65d4e3aa02661a9571720935293.jpg




সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে কোটা বাতিল করে কেবল ‘অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ’ রেখে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।

২০১৮ সালে কোটা বাতিলের পরিপত্র জারির আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা, জেলা, নারী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী এবং প্রতিবন্ধী– এই পাঁচ ক্যাটাগরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল।

তবে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে চালু হওয়া প্রথম কোটা ব্যবস্থায় এই পরিমাণ ছিল আরও বেশি।

কোটা কী?

কোটা বলতে কোনো কিছুর নির্দিষ্ট একটি অংশকে বোঝায় যা সাধারণত একটি গোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ থাকে।

মূলত সমাজের পিছিয়ে পড়া বা অনগ্রসর মানুষগুলোকে মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করতে পড়াশোনা, চাকরিসহ নানা ক্ষেত্রে কোটার ব্যবস্থা থাকে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই কোটা পদ্ধতি চালু আছে।

ব্রিটিশ শাসনামলে সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ভারতীয়দের জন্য কোটা ব্যবস্থা চালু ছিল।

পরবর্তী সময়ে পিছিয়ে পড়া মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্যও কোটা বরাদ্দ করা হয়।

দেশভাগের পর পাকিস্তান আমলেও প্রদেশভিত্তিক কোটা বরাদ্দ ছিল।

“কোটা দেয়া হয় যাতে পশ্চাৎপদ বা পিছিয়ে পড়া মানুষগুলো সমাজের যে কাজকর্ম হচ্ছে সেখানে অংশ নিতে পারে,” বিবিসি বাংলাকে বলেন সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান।

কোটা

১৯৭২ সাল থেকেই কোটা ব্যবস্থার শুরু

বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকেই চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা, জেলা ও নারী কোটা ছিল।

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন কর্পোরেশন ও দপ্তরে নিয়োগ এবং কোটা বণ্টনের বিষয়ে ১৯৭২ সালের পাঁচই সেপ্টেম্বর তৎকালীন সরকার একটি নির্বাহী আদেশ জারি করে।

এতে এসব প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ মেধা এবং বাকি ৮০ শতাংশ জেলা কোটা রাখা হয়। এই ৮০ শতাংশ জেলা কোটার মধ্য থেকেই ৩০ শতাংশ কোটা মুক্তিযোদ্ধা এবং ১০ শতাংশ কোটা যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের জন্য বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

অর্থাৎ কোটার বড় একটি অংশই বরাদ্দ করা হয় মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য।

“সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধাদের বেশিরভাগই ছিল– কৃষক, শ্রমিক, মজুর, তাঁতি। এরা কিন্তু সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ ছিল। সেই কারণেই যখন দেশ স্বাধীন হলো তখন মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করার চিন্তা থেকেই বলা হলো যে তারা কোটা পেতে পারে এবং সেই কোটা ব্যবহার করে তাদের পরিবারের উন্নতি হতে পারে। সে কারণেই মুক্তিযোদ্ধা কোটা আসছে।”

কোটা

এর চার বছর পর অর্থাৎ ১৯৭৬ সালে প্রথমবারের মতো কোটা বণ্টনে পরিবর্তন আনা হয়।

এসময় মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো হয় এবং শুধু নারীদের জন্য আলাদা করে কোটার ব্যবস্থা করা হয়।

অর্থাৎ মোট কোটার ৪০ শতাংশ মেধা, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, ১০ শতাংশ যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারী এবং বাকি ১০ শতাংশ কেবলই জেলার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়।

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের কোটায় অন্তর্ভুক্ত করে এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে ১৯৮৫ সালে কোটা পদ্ধতির সংশোধন আনে তৎকালীন সংস্থাপন (বর্তমান জনপ্রশাসন) মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, “১ম ও ২য় শ্রেণির পদসমূহের জন্য মেধাভিত্তিক কোটা হইবে ৪৫ শতাংশ এবং জেলাভিত্তিক কোটা হইবে ৫৫ শতাংশ। এই জেলাভিত্তিক কোটার মধ্য হইতে মুক্তিযোদ্ধাদের ৩০ শতাংশ, মহিলাদের ১০ শতাংশ এবং উপ-জাতীয়দের জন্য ৫ শতাংশ পদ সমন্বয় করিতে হইবে।”

১৯৯০ সালে নন-গেজেটেড পদগুলোর নিয়োগে কোটা পদ্ধতিতে আংশিক পরিবর্তন আনা হলেও প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে তা অপরিবর্তিত থাকে।

কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৯৯৭ সালে।

১৯৮৫ সালের কোটা বণ্টন অপরিবর্তিত রেখে কেবল ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় “উপযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা প্রার্থী পাওয়া না গেলে মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা”র জন্য তা বরাদ্দের আদেশ জারি করা হয়।

এর কিছুদিন পর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কোটার পরিমাণ অনুযায়ী চাকরিতে নিয়োগ পাচ্ছেন না মর্মেও বেশ কয়েকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এসময় নির্দেশনা না মানলে “সংশ্লিষ্ট নিয়োগকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে” বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

বিভিন্ন সময় কোটা ব্যবস্থায় এসেছে পরিবর্তন।

তবে ২০০২ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে আরেকটি পরিপত্র জারি করে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বরাদ্দ কোটা বণ্টনের বিষয়ে আগের জারি করা পরিপত্রগুলো বাতিল করা হয়।

এতে বলা হয়, “মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত ৩০% কোটা অন্য প্রার্থী দ্বারা পূরণ না করে সংরক্ষণ করার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তা সংশোধনক্রমে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যে, ২১ তম বিসিএস পরীক্ষা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত ৩০% কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া না গেলে উক্ত কোটার শূন্যপদগুলো (ক্যাডার ও নন-ক্যাডার) মেধাভিত্তিক তালিকায় শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদেরকে দিয়ে পূরণ করা যেতে পারে।”

অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৩০ শতাংশে যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকার প্রার্থী থেকে নিয়োগের নির্দেশ দেয়া হয়।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠন করলে এই নির্দেশনাও বাতিল করা হয়।

একইসঙ্গে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য নির্ধারিত কোটা পূরণ করা সম্ভব না হলে পদ খালি রাখার নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়।

কোটায় পরবর্তী পরিবর্তন আসে ২০১১ সালে। এসময় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদেরও ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

যেভাবে শুরু কোটা আন্দোলন

সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার চেয়ে কোটার পরিমাণ বেশি থাকায় এটি নিয়ে বরাবরই অসন্তোষ ছিল।

এমন প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকবারই কোটা আন্দোলন হয়। তবে তা ছিল খুবই সীমিত আকারে।

কোটা আন্দোলন প্রথমবারের মতো বড় আকারে রূপ নেয় ২০১৮ সালে।

ওই বছরের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিল এবং এর পুর্নমূল্যায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও দুই সাংবাদিক।

এতে কোটা পদ্ধতিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও উল্লেখ করা হয়।

কিন্তু মার্চ মাসে এসে ওই রিটটি খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

এদিকে আদালতে রিট করার পরপরই ফেব্রুয়ারি মাসে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামে একটি পেইজ খোলা হয় এবং শাহবাগকে কেন্দ্র করে পেইজটি থেকে মানবন্ধনসহ নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া শুরু হয়।

এর মাধ্যমেই মূলত কোটা সংস্কার আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে।

এসময় কোটা সংস্কারের উদ্দেশ্যে ‘বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামে একটি প্ল্যাটফর্মও গঠন করা হয়।

রিট খারিজ হবার পর কোটা পদ্ধতিতে কোনো পরিবর্তন করা হবে না মর্মে আদেশ জারি করা হয়। তবে কোটা কার্যকর করার ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা আনে সরকার।

জনপ্রশাসন থেকে জারি করা ওই আদেশে বলা হয়, “সব ধরনের সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা তালিকার শীর্ষে অবস্থানকারী প্রার্থীদের দিয়ে সেসব পদ পূরণ করা হবে।”

অর্থাৎ আগের একটি আদেশের মাধ্যমে যেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পূরণ না হলে কোটা খালি রাখার কথা বলা হয়েছিল, সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে সরকার এবং মেধা তালিকা থেকে নিয়োগের কথা জানায়।

তবে দাবি আদায়ে অনড় থাকে শিক্ষার্থীরা।

এসময় আন্দোলনকারীদের কর্মসূচিতে টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি চালানোসহ কয়েকজনকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ওই বছর এপ্রিলে এই আন্দোলন সর্বব্যাপী রূপ লাভ করে। শাহবাগ থেকে ডাকা আন্দোলনে অংশ নিয়ে সারা দেশেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

টানা আন্দোলন কর্মসূচির মুখে ১১ই এপ্রিল সংসদে দাঁড়িয়ে সব ধরনের কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা। তবে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় আরও পরে- অক্টোবর মাসে।

এসময় নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।

১৪ তম থেকে ২০তম অর্থাৎ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধা থেকেই নিয়োগের কথাও জানানো হয়।

তবে প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণার পর থেকে পরিপত্র জারি করা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের ওপর হামলা ও গ্রেফতারের বেশ কিছু ঘটনা গণমাধ্যমে আসে।

এদিকে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।

গত পাঁচই জুন তাদের পক্ষে রায় আসে, অর্থাৎ আগের মতো কোটা বহাল হবে বলে জানান আদালত।

এদিকে হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। সেই আবেদন গত চৌঠা জুলাই শুনানির জন্য আসলে রাষ্ট্রপক্ষকে লিভ টু আপিল করতে নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।

এরই মধ্যে পহেলা জুলাই থেকে কোটা বাতিলে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। ‘বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে’ এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

কোটা নিয়ে যা বলছেন বিশ্লেষকরা

১৯৭২ সালে কোটা ব্যবস্থা চালুর পর থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা ছিল। পরবর্তী সময়ে একই কোটায় মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের জন্য সেই কোটা বরাদ্দ করা হয়।

২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল মুক্তিযোদ্ধা কোটার পরিমাণ।

এবারের আন্দোলনেও বারবারই উঠে এসেছে মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিষয়টিই।

“কোটার উদ্দেশ্য হচ্ছে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমতল ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করা। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা অসম আছে কি না এটা একটা বিষয়,” বলেন সাবেক সচিব ও অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী বাদে অন্য কারো জন্য প্রয়োজন আছে কি না- এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।

এসময় কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে নির্বাহী ক্ষমতার প্রসঙ্গও টানেন মি. খান।

তিনি বলেন, “এটা কি সরকারের নির্বাহী ক্ষমতার বিষয় না আদালতের বিষয়? ব্যক্তির অধিকার যদি ক্ষুণ্ণ হয় কিংবা সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটলে সেটা আদালতের বিষয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তেমনটা হয়েছে বলে মনে হয় না। আগেতো নির্বাহী আদেশেই (কোটা) দেয়া হয়ছিল, আর নির্বাহী আদেশেই তা তুলে নেয়া হয়েছে।”

মোটাদাগে কোটা ব্যবস্থাকে সরলভাবে দেখার সুযোগ নেই বলেই মত বিশ্লেষকদের।

যেই পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কোটা রাখা হচ্ছে তা কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে এবং কতটা কাজে লাগছে– সে বিষয়টাতেও নজর দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান।

“কোটা একটা পরিবার কয়বার ব্যবহার করতে পারবে? পশ্চাৎপদ কোনো পরিবারের একজন একবার চাকরি পেয়ে গেলে সে আর পশ্চাৎপদ থাকছে না। এছাড়াও পশ্চাৎপদতার আয়ের সিলিং থাকতে হবে। সব মিলিয়ে কোটা থাকবে কিন্তু কীভাবে পরিচালিত হবে ওটা নিয়ে অনেক ভাবনার বিষয় আছে,” বলেন তিনি। বিবিসি নিউজ বাংলা