News update
  • Miscreants Launch Attack on Air Force Base in Cox's Bazar: ISPR     |     
  • Munshiganj General Hospital catches fire; no injury reported     |     
  • Dhaka’s air records ‘unhealthy’ on Monday morning     |     
  • Dhaka seeks global pressure on Myanmar for lasting peace     |     
  • BSEC Chairman’s resignation urged to stabilise stock market     |     

এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে মন্দির পাহারার প্রয়োজন নেই : প্রধান উপদেষ্টা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2024-08-27, 7:02am

yunus-a2c9a5d635f96695f809ce5272736ec51724720528.jpg




অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সোমবার জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ একটি বিশাল পরিবার, এখানে সরকারের দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষা করা। সোমবার (২৬ আগস্ট) শ্রীকৃষ্ণের পুণ্যময় জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বাংলাদেশের সনাতন সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চান যেখানে সবাই নির্ভয়ে তাদের ধর্মচর্চা করতে পারবে এবং যেখানে কোনো মন্দির পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।

রাষ্ট্রীয় অতিথি যমুনায় একদল হিন্দুনেতার উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব প্রতিটি নাগরিকের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের কাজ হচ্ছে প্রত্যেক নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মানুষের মধ্যে কোনো বিভেদ থাকতে পারে না। আমরা সমান নাগরিক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের অধিকার রক্ষায় বদ্ধপরিকর।’

সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তারা দেশের সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি এবং অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদ চেয়েছেন। নেতারা জানিয়েছেন, তারা দেশের বন্যাকবলিত অংশে জন্মাষ্টমী উদযাপন স্থগিত করেছেন এবং এই অঞ্চলে খাদ্য ও ত্রাণ পাঠিয়েছেন।

সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা পুরান ঢাকার পবিত্র মন্দির ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রশংসা করে বলেন, এটি দেশে একটি অসাম্প্রদায়িক সমাজ গঠন এবং সমাজে ধর্মীয় সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

মন্দিরের জমিসহ হিন্দুদের সম্পত্তি দখলের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তারা। নেতাদের মধ্যে ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কাজল দেবনাথ ও মনিন্দ্র কুমার নাথ, ইসকনের চারু চরণ ব্রহ্মচারী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের বাসুদেব ধর ও সন্তোষ শর্মা এবং ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রীতি চক্রবর্তী।