প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে সাত সদস্যের ‘জাতীয় ঐকমত্যের কমিশন’ গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ছয় সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো নিয়ে অধিক পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা এবং বিবেচনা গ্রহনের জন্য এ কমিশন গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এ কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কাজ শুরু করবে।
এ কমিশনের সদস্য হিসেবে ৬ কমিশনের প্রধানরা রয়েছেন।
কমিশনে সভাপতি হিসেবে আছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং সহসভাপতি আছেন সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার সংস্কার কমিশনসমূহের সুপারিশসমূহ বিবেচনা ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনক্রমে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ নামে কমিশন গঠন করা হয়েছে।
এ কমিশনের অন্য সদস্য হিসেবে আছেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশন প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের বিচারপতি এমদাদুল হক ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
কমিশনের মেয়াদ ছয় মাস নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের কার্যক্রম, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, বিচার বিভাগ এবং দুর্নীতি সংক্রান্ত যেসব সুপারিশ সংস্কার কমিশনগুলো করেছে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া। এ কমিশনের সার্বিক সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।