News update
  • Tk 3.38cr Project to Restore Sonadia’s Biodiversity     |     
  • Global Emissions Fall Slowly, Experts Urge Renewables Push     |     
  • Hurricane Melissa: UN Appeals $74M to Aid 2.2M in Cuba     |     
  • Doha Summit Stresses Urgent Investment in People and Peace     |     
  • Sand syndicates tighten grip on Bangladesh's northern region     |     

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে ৭ প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-08-25, 2:57pm

54t464365345-9f915d5217896b86e7fcc7206945fc7e1756112251.jpg




রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন থেকে রক্ষায় আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আহ্বান জানিয়ে তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে সাতটি প্রস্তাবও দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজারের ‘হোটেল বে ওয়াচে’ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কক্সবাজারে শুরু হওয়া তিন দিনের অংশীজন সংলাপের মূল অধিবেশনে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০১৭ সালে এবং তারও আগে থেকে সম্পদ এবং সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচাতে মানবিক কারণে বাংলাদেশ তার সীমান্ত খুলে দিয়েছিল। রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূলের ভয়াবহ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন থেকে সশস্ত্র ঘাতকদের থামানো নৈতিক দায়িত্ব।

মিয়ানমার সরকার এবং আরকান আর্মিকে নিশ্চিত করতে হবে যেন আর কোনো রোহিঙ্গা বাংলাদশে না প্রবেশ করে এ কথা জানিয়ে রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনে অবদান রাখার সংকল্প ঘোষণা করে, ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতে ৭ দফা প্রস্তাব দেন তিনি। 

প্রধান উপদেষ্টা সাতটি প্রস্তাব তুলে ধরেন তার প্রথমটিতে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরে যেতে হবে। এ জন্য আমরা সবাইকে আহ্বান জানাবো, তাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনে একটি বাস্তব রোডম্যাপ যত দ্রুত সম্ভব তৈরি করুন। আর সময় নষ্ট না করে এখনই কাজ করতে হবে।’

দ্বিতীয়ত, ‘জীবন রক্ষাকারী কাজ চলমান রাখতে দাতাসংস্থা ও আন্তর্জাতিক অংশীজনদের অপিরিমিত অবদান এখানে প্রয়োজন। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাকে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার। একই সময়ে আমরা অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, ভবিষ্যতের জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই অর্থায়ন করার পদক্ষেপ নিতে।’

তৃতীয়ত, ‘রোহিঙ্গাদের প্রতি সব ধরনের নিপীড়ন এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে। আমরা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ এবং আরাকান আর্মির প্রতি আহ্বান জানাই রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও জীবিকা নিশ্চিত করার। আর কোনও রোহিঙ্গা যাতে বাংলাদেশে না আসে তা মিয়ানমারকে নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব মিয়ানমারের অভ্যন্তর বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরতে দিতে হবে।’

চতুর্থত, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সহিংসতা বন্ধে, জাতিগত নিপীড়ন রোধে পরামর্শ কিংবা সংলাপের জন্য একটা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হবে। আমরা মিয়ানমার সরকার এবং রাখাইন কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই রোহিঙ্গাদের অধিকার নিশ্চিতে, স্বেচ্ছায় নিরাপদ প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার।’

পঞ্চমত, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা বিশেষ করে আসিয়ানকে রাখাইনে নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে হবে। আপনাদের সবার সহযোগিতা এই সংকটের সমাপ্তি টানতে পারে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও সচল হওয়ার আহ্বান জানাই।’

ষষ্ঠত, ‘আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীজনদের অবশ্যই জাতিগত নিধনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’

সপ্তমত, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানাই ন্যায়বিচার, দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে। এখনই সময় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার।’

নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশ এখন স্থিতিশীল এবং নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষণ ঘোষণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি এখানে এসেছি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে। এক বছর আগে আমরা দেশকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে ছাত্রদের নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে এক হত্যাযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। এখন আমরা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি রূপান্তরের জন্য প্রস্তুত।

তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছি। এক বছরে দেশ নির্বাচন আয়োজন করার মতো যথেষ্ট প্রস্তুত এবং স্থিতিশীল অবস্থায় এসেছে। তাই আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজন করার ঘোষণা দিয়েছি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জায়গায় নির্বাচিত একটি সরকার দায়িত্ব নেবে। আমরা আশা করি, রোহিঙ্গাদের নিজেদের ঘরে ফিরে যাওয়ার একটা সমাধান বের করতে পারব।আরটিভি