News update
  • Bangladesh Faces $1.25 Billion Export Loss from US Tariffs     |     
  • Israel Expands Gaza Assault as UN Warns of ‘Genocide’     |     
  • World Ozone Day Highlights Progress and Future Action     |     
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকেই জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2025-09-17, 5:57pm

133a6c025a0e359b8358892443e0273ffb9d48c8983b8eca-3a1577899dcd12689bd62c438588e54f1758110563.jpg




আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদল।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মুনির সাতৌরির নেতৃত্বে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (এমইপি) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিনিধিদলকে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমরা এরইমধ্যে নির্বাচনের সময়সীমা ঘোষণা করেছি। এটি আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে, রমজানের ঠিক আগেই অনুষ্ঠিত হবে।’

তিনি জানান, দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে নির্বাচনী উত্তেজনা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘ বিরতির পর ছাত্র সংসদ নির্বাচন পুনরায় শুরু হওয়ায় তারা উৎসাহিত হচ্ছেন।

অধ্যাপক ইউনুস বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ ও উৎসবমুখর হবে। কিছু মহল এখনও নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে, কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন আয়োজনেই অটল রয়েছে।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন, দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথমবারের মতো বিপুলসংখ্যক তরুণ ভোটার এবার ভোটাধিকার প্রয়োগে রেকর্ড উপস্থিতি ঘটাবেন।

তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। এটি আমাদের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়, দেশের জন্য একটি নতুন যাত্রা।’

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী আলোচনায় প্রধান উপদেষ্টা ও এমইপিরা সরকারের গৃহীত সংস্কারমূলক পদক্ষেপ, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অব্যাহত সহযোগিতা এবং চলমান রোহিঙ্গা মানবিক সংকট নিয়ে মতবিনিময় করেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্যরা আসন্ন নির্বাচনকে বাংলাদেশের জন্য এক মোড় ঘোরানো সময় হিসেবে অভিহিত করেন। একজন এমইপি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ও তার দলের গত ১৪ মাসের কাজ ছিল ‘অসাধারণ’। অপর এক ডাচ এমইপি মন্তব্য করেন, ‘বাংলাদেশ এখন অল্প কয়েকটি দেশের একটি, যেখানে পরিস্থিতি সঠিক পথে এগোচ্ছে।’

ড. ইউনূস ইউরোপীয় ইউনিয়নের অবিচল সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশে অবস্থানরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার জন্য বাড়তি অর্থায়নের আহ্বান জানান। তিনি বিশেষভাবে সম্প্রতি তহবিল ঘাটতির কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিদ্যালয়গুলো পুনরায় চালু করতে সহায়তা চেয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাস্তবায়িত গুরুত্বপূর্ণ শ্রম সংস্কারের ওপর আলোকপাত করে বলেন, এই পদক্ষেপগুলো বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে সহায়ক হবে।