News update
  • Public awareness campaign before fuel loading at Rooppur NPP     |     
  • Chief Adviser Dr Yunus pays homage to martyred intellectuals     |     
  • Martyred Intellectuals Day: A Nation’s Loss and Resolve     |     
  • EC seeks enhanced security for CEC, ECs, election officials     |     
  • Humanoid robots take center stage at Silicon Valley summit, but skepticism remains     |     

আফগান আশ্রয়প্রার্থীদের শরণার্থী মর্যাদা বাতিল করেছে পাকিস্তান

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খবর 2022-05-07, 10:43pm




আফগানিস্তানে তালিবানের ক্ষমতা দখলের ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে অর্থনৈতিক ও মানবিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। হাজার হাজার মানুষ বিদেশে আশ্রয় এবং পুনর্বাসনের আবেদন করতে পাকিস্তানে পাড়ি জমিয়েছে।

পাকিস্তানি কর্মকর্তারা বলেন, গত অগাস্টে তালিবান ক্ষমতা পুনর্দখল করার পর থেকে ১ লাখেরও বেশি আফগান শহরবাসী বৈধ ভিসা নিয়ে পাকিস্তানে এসেছেন। যাদের অধিকাংশই স্বচ্ছল ও শিক্ষিত চাকরিজীবী।

তাদের সকলেই শরণার্থী পুনর্বাসন কর্মসূচির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য পশ্চিমা দেশগুলোতে আশ্রয় প্রত্যাশী।

দীর্ঘদিন ধরে পাকিস্তানে অবস্থানকারী আফগান অভিবাসীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা সংশ্লিষ্ট পশ্চিমা দূতাবাসগুলোতে পুনর্বাসনের আবেদন প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব, ইসলামাবাদে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের অসহযোগিতা এবং পাকিস্তানি ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধিতে জটিলতার অভিযোগ তুলেছেন।

কিছু অভিবাসী পরিবার ইউএনএইচসিআরে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হতে চায়। মেয়েদের শিক্ষার ওপর তালিবানের নিষেধাজ্ঞা এবং নারীদের ওপর অন্য নিষেধাজ্ঞার উল্লেখ করে তারা জানিয়েছেন, তারা নিজ দেশে ফেরত যেতে চান না।

“আমি একটি পি-২ ভিসার আবেদন করেছি। প্রক্রিয়াটি ভীষণ ধীরগতিতে চলছে”, একজন আফগান আশ্রয়প্রার্থী বলেন। নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ব্যক্তি বলেন, তিনি হাজারা শিয়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেট সন্ত্রাসী দল হাজারাদের ওপর বারবার হামলা চালিয়েছে।

শিক্ষিত ও সংখ্যালঘু আফগানরা পালাচ্ছেন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রায়োরিটি-২ বা পি-২, প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য হলো ঝুঁকিপূর্ণ আফগানদের সরিয়ে নিতে সহায়তা করা। যেমন সাংবাদিক ও অধিকার কর্মী যারা আগে এক দশকের পুরনো এই বিশেষ অভিবাসী ভিসা প্রোগ্রামের জন্য অযোগ্য বিবেচিত হতেন। এই প্রোগ্রামটি দোভাষী ও যারা আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের সঙ্গে কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।

প্রায় নয় মাস আগে তালিবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে ইসলামিক স্টেট হাজারা স্কুল ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলার পরিমাণ বাড়িয়েছে। শুধুমাত্র গত কয়েক সপ্তাহের সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত হয়েছেন।

ইতোমধ্যে কমপক্ষে ৩০ লাখ আফগান পাকিস্তানে উদ্বাস্তু ও অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বসবাস করছেন। পাকিস্তান গত বছর ঘোষণা করেছে যে, তারা আফগানিস্তান থেকে আর কোনো নতুন শরণার্থীদের গ্রহণ করবে না। তালিবান ক্ষমতা গ্রহণের পরে পাকিস্তান অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

বিকল্প পি-১

ঝুঁকিপূর্ণ আফগানরা যারা পি-২–এর জন্য উপযুক্ত নন তাদেরকে পি-১ শরণার্থী প্রোগ্রামের অধীনে নেওয়া যেতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, উভয় ক্ষেত্রেই আবেদন প্রক্রিয়ার জন্য ১৪ থেকে ১৮ মাস বা তার বেশি সময় লাগতে পারে।

ইসলামাবাদে ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র কায়সার খান আফ্রিদি ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, আফগানরা যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, সেগুলো মোকাবিলায় তার কার্যালয় পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, তবে সব আফগান ব্যক্তি বা পরিবার তৃতীয় কোনো দেশে পুনর্বাসনের জন্য যোগ্য বিবেচিত নাও হতে পারেন। কারণ এই প্রোগ্রামটি “অতীব ঝুঁকিপূর্ণ ও সুরক্ষা প্রয়োজন” এমন উদ্বাস্তুদের জন্য সংরক্ষিত।

ওয়াশিংটন ও সহযোগী দেশগুলো তালিবানের ক্ষমতা দখলের পর কাবুল থেকে ঝুঁকিপূর্ণ ১ লাখ ২৪ হাজার জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিলেও অবশিষ্ট আরও কয়েক লাখ আফগান নিরাপদ কোনো দেশে পুনর্বাসনের উপায় খুঁজছেন।

মেয়েদের শিক্ষার ওপর তালিবানের নিষেধাজ্ঞা আটকে পড়া আফগান পরিবারগুলোর দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। তাদের বাচ্চারা এখনো স্কুলে ফিরতে পারছে না। তথ্য সূত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।