অফ-ফর্ম থাকলেও, মুশফিকুর রহিম ও অধিনায়ক মোমিনুল হকের উপর আস্থা রাখছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের। তার বিশ্বাস, আগামী ১৫ মে থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি শুরু হতে যাওয়া শ্রীলংকা বিপক্ষে প্রথম টেস্টেই রানে ফিরবেন মুশফিক-মোমিনুল।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রধান ভরসা মুশফিকের এ বছর বড় ফরম্যটে গড়- ২৬। এমনকি সাদা বলের ক্রিকেটেরও সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তিনি, যা ক্রিকেটপ্রেমিদের হতাশ করেছে।
সর্বশেষ ১২ ইনিংসের মধ্যে নয় বারই দুই অঙ্কেে কোটা স্পর্শ করতে পারেননি মোমিনুল। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে চার ইনিংসে তার স্কোর ছিলো যথাক্রমে ০,২,৬ ও ৫।
দলের সেরা দুই ব্যাটারের এমন অফ-ফর্ম বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন-আপকে খারাপভাবে প্রভাবিত করে। কিন্তু দু’জনের ব্যাটে খুব শীঘ্রই রান দেখছেন সিডন্স।
আজ জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের অনুশীলন সেশন শেষে সিডন্স বলেন, ‘প্রতিটি ব্যাটারেরই এমন খারাপ সময় যায়, যখন তারা রান করে না। আমি সত্যিই আত্মবিশ্বাসী, এই সপ্তাহে এখানে রান করবে মুশফিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত দু’দিনে সে যেভাবে খেলেছে, আমি সত্যিই কিছু ভালো লক্ষণ দেখেছি। তার সাথে কয়েকটি ছোট বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করেছি। আমি মনে করি, এটি তার একটি ভালো সিরিজ হতে যাচ্ছে।’
অবশ্য মুশফিকের উপর চাপ বেড়ে গেছে, কারন যখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি, সিনিয়রদের ভবিষ্যত নিয়ে স্পষ্টভাবে জানতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কারনে সিনিয়র ক্রিকেটাররা সব ফরম্যাটে মনোযোগ দিচ্ছে না।
অনেকেই মনে করেছেন. মুশফিকের দিকেই আঙ্গুল তুলেছেন বিসিবি সভাপতি। তবে দলের একমাত্র সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই কোন অভিযোগ ছাড়াই খেলছেন মুশফিক।
কারও নাম উল্লেখ না করে বিসিবি সভাপতি বলেছেন, ‘আমাদের সমস্যা হলো, আমরা চাই সকলে খুশি থাকুক, তারা হাসিমুখে যাক।’
এ ব্যাপারে সিডন্সকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি জানান, বাইরে কি হচ্ছে সেদিকে মনোযোগ নেই মুশফিকের। শ্রীলংকার বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ নিয়েই মনোযোগি সে।
সিডন্স বলেন, ‘আমার মনে হয়, পরের দুই টেস্টের দিকেই বেশি মনোযোগি মুশি। আমি মনে করি না, তার ক্যারিয়ারের কোন ফরম্যাট নিয়ে সে চিন্তিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়, এই দুই টেস্টে রান করা নিয়েই সে চিন্তিত। সে এই মুর্হূতে টেস্টের দিকেই মনোযোগি। সাদা বলের ক্রিকেটে সফল তিনি। রান না করা এবং পরে ফিরে আসা, ভালো ক্রিকেটারদেরই এমন মুর্হূত থাকে। এজন্যই তারা দারুন খেলোয়াড়। মুশি অনেক বেশি সফল টেস্ট খেলোয়াড়। সে রানের মধ্যেই থাকে। তার হয়তো দক্ষিণ সফরটি ভাল যায়নি এবং সে আবারো ঘুরে দাঁড়াবে।’
সিডন্স আরও মনে করেন, মুশফিকের উপর সংবাদমাধ্যমের বেশি চাপ দেয়া উচিত নয়। কারন এই মুর্হূতে ফর্মে নেই মুশফিক।
সিডন্স বলেন, ‘তাই নেতিবাচক কথা বলা বন্ধ করা প্রয়োজন। একটি সিরিজে খারাপ করার কারনে তার উপর চাপ সৃষ্টি করবেন না। সব সময় তার পাশে থাকুন, তাহলে তাদের উপর চাপ থাকবে না।’
এই সিরিজে মুশফিকের সফলতার সাথে মোমিনুলের সেঞ্চুরি দেখছেন সিডন্স। কারন চট্টগ্রামের ভেন্যুতে দুর্দান্ত রেকর্ড আছে অধিনায়কের।
সিডন্স বলেন, ‘চট্টগ্রামে নয়টি সেঞ্চুরি আছে মোমিনুলের। এই সপ্তাহে আরও দু’টি করার সুযোগ থাকছে। এটা তার প্রিয় ভেুন্য। আমরা তাকে ভাল করার জন্য প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি। সে খুবই আত্মবিশ্বাসী।’ তথ্য সূত্র বাসস।