News update
  • Bumper harvest of Jujube in Ramu Upazila     |     
  • Govt urged to offer scholarships to Palestinian students     |     
  • Caretaker Govt Review Hearing on Supreme Court Cause List     |     
  • Bangladesh Single Window to Launch by March: Lutfey Siddiqi     |     
  • UNRWA chief: Ceasefire is the start, not the solution     |     

কমছে পেঁয়াজের দাম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-03-21, 8:42am

images-14-53619cb870098ff797adf0abb6bd63831710989175.jpeg




দেশের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনের এলাকা পাবনার সুজানগর ও সাঁথিয়ার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের ব্যাপক কমেছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা মণের পেঁয়াজ বুধবার বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।

পবিত্র রমজান মাসে বেশি দামে বিক্রির আশায় অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। সেই পেঁয়াজ এখন বাজারে। পাশাপাশি নতুন পেঁয়াজও এসেছে বাজারে। তাতে বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এই দরপতন ঘটেছে বলে মনে করেন স্থানীয় কৃষক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

তারা বলেন, সুজানগর উপজেলা সদরে প্রতি রোববার ও বুধবার পাইকারি পেঁয়াজের হাট বসে। বুধবার এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এরপর থেকেই সারাদেশে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এই হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়।

পেঁয়াজের দরপতনের একই চিত্র মিলেছে সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলা হাটেও। এ হাটে প্রতি মণ পেঁয়াজ দেড় হাজার থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কাঙ্খিত দাম না পেয়ে অনেক কৃষক হতাশ হয়ে পেঁয়াজ ফের নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন পেঁয়াজ বাজারে উঠতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগার কথা। কিন্তু তার আগেই অনেক কৃষক তড়িঘড়ি করে পেঁয়াজ বাজারে তুলছেন। রমজানে বেশি দামের আশায় পেঁয়াজ হাটে তুলেছেন তারা। আবার বেশি দামের আশায় অনেকে পেঁয়াজ মজুত করেছিলেন। রমজান শুরুর পর থেকেই মজুত পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করে। তাতে দরপতন ঘটে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, দুই জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয় পাবনায়। একটি মুড়িকাটা জাতের আগাম পেঁয়াজ, অপরটি হালি পেঁয়াজ। চলতি মৌসুমে ৯ হাজার ৭৬৫ হেক্টর জমিতে মুড়িকাটা জাতের পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল। এবার ১ লাখ ১৮ হাজার ৮৮৮ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়েছে। অন্যদিকে ৫৩ হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে হালি পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে এই পেঁয়াজ বাজারে আসছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন।

এদিকে পেঁয়াজের দরপতনে দুই উপজেলার কৃষকের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। দাম আরও কমে গেলে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বলছে, পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। তবে বর্তমানে যে দামে বিক্রি হচ্ছে, তাতে লোকসান হবে না বলেও জানায় সূত্র সূত্র আরটিভি নিউজ।