News update
  • Europe Is Now the Fastest Warming Continent—Report     |     
  • Israeli strikes in Lebanon killing civilians: UN rights office     |     
  • US trade agenda: gratitude for BD’s ‘constructive’ response      |     
  • Brisk Daily Chores May Boost Heart Health     |     
  • Govt Introduces New Policy for Outsourced Workers     |     

আরও চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-10-23, 3:11pm

ertewtwer-02d81a5566e649d31222cf58ae1532751729674673.jpg




দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়াতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে আবারও ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এবার ১২টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য-১ শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন প্রায় ৫ কোটি পিস ডিমের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ডিমের বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় ও বাজারদর স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সাময়িকভাবে সীমিত সময়ের জন্য ১২টি প্রতিষ্ঠানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদেরকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এ আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। আমদানিকারকদের আমদানির শর্তাদি অনুসরণ করে আমদানির প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। 

 ১২ টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪ কোটি পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটকম ইন্টারন্যাশনাল ৩০ লাখ পিস, সরদার এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট ৫০ লাখ পিস, এসিআই লজিস্টকস লিমিটেড ৫০ লাখ পিস, মের্সাস সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ ৫০ লাখ পিস, এএমআই এন্টারপ্রাইজ ৫ লাখ পিস ও মিতা এন্টারপ্রাইজ ৩ লাখ পিস ডিম আমদানি করতে পারবে।

এছাড়া থ্রী স্টার এন্টারপ্রাইজ ৫০ লাখ পিস, ইমিকো ট্রেডিং কোং ৫০ লাখ পিস, বারাকাহ ইমেক্স অ্যান্ড ট্রেডিং ৩০ লাখ পিস, মান্নাত ট্রেডিং ৫০ লাখ পিস, জারিন ট্রেডিং করপোরেশন ২ লাখ পিস ও এ আর থ্রেড ইন্টারন্যাশনালকে ৩০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সরকার ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও এ ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে। এগুলো হলো-

১) বিশ্ব প্রাণিস্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী বার্ড ফ্লুমুক্ত জোনিং বা কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের স্বপক্ষে রফতানিকারক দেশের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জোনিং বা কম্পার্টমেন্টালাইজেশনের সার্টিফিকেট বা ঘোষণা দাখিল করতে হবে।

২) আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রফতানিকারক দেশের সরকারের মাধ্যমে নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত মর্মে সনদ দাখিল করতে হবে।

৩)  সরকার-নির্ধারিত শুল্ক-কর পরিশোধ ও অন্যান্য বিধিবিধান প্রতিপালন করতে হবে।

৪) ডিম আমদানির প্রতি চালানের অন্যূন ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সংগনিরোধ কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে।

৪) আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরবর্তী ৭ দিন পর পর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।

৫) আমদানির অনুমতির মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

প্রথমত এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু–মুক্ত দেশগুলো থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। এছাড়া ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রফতানিকারক দেশের সরকার নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেয়া বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত থাকার সনদ দাখিল করতে হবে। প্রতিটি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। পাশাপাশি অনুমতি পেলে সাত দিন পরপর এ–সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।

উল্লেখ্য, লাগামহীন ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ১৫ সেপ্টেম্বর কৃষি বিপণন অধিদফতর ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সে অনুযায়ী প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বিক্রি হওয়ার কথা। কিন্তু নির্ধারিত দামে বিক্রি না হওয়ায় গত ৮ অক্টোবর ৭ প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৫০ লাখ পিস ডিম আমদানির অনুমতি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

এতেও বাজার নিয়ন্ত্রণে না এলে গত ১৭ অক্টোবর বাজারে ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ডিম আমদানিতে কর ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেদিন ডিমের ওপর বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫  শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের বাজার মনিটরিং, বিভিন্ন বাজারে ডিম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক, ভারত থেকে ডিম আমদানি ও আমদানি শুল্ক হ্রাসসহ নানা নাটকীয়তার পর কিছুটা স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে ডিমের বাজারে। বর্তমানে প্রতিডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৪ টাকায়। সময় সংবাদ