
Chhoto Baliatali Dakhil Madrasah Super A.B.M. Fayezullah addressing a press conference at Kalapara on Friday.
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দাতার ওয়ারিশদের বিরোধকে কেন্দ্র করে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ছোট বালিয়াতলী দাখিল মাদ্রাসার সুপার আ.ব.ম ফায়েজ উল্লাহ। শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় কলাপাড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জমিদাতা পরিবারের সদস্য আবদুল জব্বার খান, শাহিন খান, মাদ্রাসার সহকারী মৌলভী রউফুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমান।
লিখিত বক্তব্যে আ.ব.ম ফায়েজ উল্লাহ বলেন, তিনি ছোট বালিয়াতলী এম.এম.এ দাখিল মাদ্রাসায় সুপার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বেশ কিছুদিন যাবৎ তাকে উদ্দেশ্যে করে এবং তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কতিপয় অসাধু ব্যক্তি মন্তব্য করে আসছেন।
মাদ্রাসা সুপারের দাবী, মুসুল্লীয়াবাদ গ্রামের ইউসুফ আলী সিপাইর পিতা মরহুর সেকান্দার আলী সিপাই ও অন্য একজন দাতা ১৯৭৯ সালে ছোট বালিয়াতলী এম.এম.এ দাখিল মাদ্রাসায় ১৩ শতাংশ জমি দান করেন। দান করার পর হইতে অদ্যাবধি ওই জমি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে বুঝাইয়া না দেওয়ায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাদের ওয়ারিশদের বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। ওই বিরোধের জের ধরে বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ইউসুফ আলী সিপাই সহ তাহার দলীয় কিছু লোকজন তার বিরুদ্ধে একটি মানববন্ধন করেন। ওই মানববন্ধনে তারা উল্লেখ করেন, অবৈধভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছে ও অবৈধভাবে ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে এবং ওলামালীগের সভাপতিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। আসলে এসব অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা।
তিনি আরও বলেন, সরকারের বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুসরন করে কমিটি গঠন ও অনুমোদিত হয়েছে এবং যথাযথ নিয়োগের নিময়-নীতি অনুসরন করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। কোন প্রার্থীর কাছ থেকে আদৌ কোন টাকা গ্রহন করা হয়নি। এছাড়া মাদ্রাসার সভাপতি কোনদিন ওলামা'লীগের সভাপতি কিংবা ওলামা'লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিলনা। যাহা সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে জানতে চািলে ইউসুফ আলী সিপাই বলেন, আমার বাবা মাদ্রাসার জমি দাতা। মাদ্রাসায় জমি দেওয়ার পরই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মাদ্রাসার সুপার মাদ্রাসার কমিটি গঠন ও কর্মচারী নিয়োগ ঘুষ নেয়ার অপরাধ ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলছেন। - গোফরান পলাশ