News update
  • Janaza of six Bangladeshi peacekeepers held at Dhaka Cantonment     |     
  • Bangladesh stock market loses Tk 10,500cr in a week     |     
  • Dhaka’s air turns ‘very unhealthy’ on Sunday morning     |     
  • Project to transform N’ganj into a climate-resilient green city     |     
  • Sustainable, rights-based solutions to Rohingya crisis urged     |     

দুইদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমলো ১৫ টাকা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-12-08, 10:55pm

ghuyuiyi-9f5646b3dad3ee810b0bc2b6e66814f61733676906.jpg




আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও দেশীয় ‘পাতা পেঁয়াজের’ সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ক্রেতা সংকটে কমেছে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। দুইদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত।

হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেও ক্রেতা সমাগম অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটাই কম।

পেঁয়াজের দাম নিয়ে কথা হয় পাইকার রনির সঙ্গে। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর থেকে প্রতিদিন দুই-তিন গাড়ি পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে পাঠিয়ে থাকি। তবে গেলো কয়েকদিন থেকে পেঁয়াজের চাহিদা অনেকটাই কমেছে।’ 

পেঁয়াজের চাহিদা কমার কারণ হিসেবে আরেকজন পাইকার বলেন, ‘দেশীয় পাতা পেঁয়াজের সরবরাহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া ‘মুড়িকাটা’ পেঁয়াজও বাজারে উঠতে শুরু করেছে। যার কারণেই ভারতের পেঁয়াজের চাহিদা কমেছে।’ 

আরেকজন পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম বলেন, ‘স্থানীয় বাজারগুলোতে এক সপ্তাহ আগেও পাতা পেঁয়াজের কেজি ছিল ৬০ টাকার উপরে, সেটা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার নিচে। তাছাড়া মুড়িকাটা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকার মধ্যে। যার কারণেই ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমেছে।’

 তিনি আরও বলেন, ‘আগে প্রতিদিন দুই গাড়ি পেঁয়াজ কিনলেও, এখন দুইদিন পরপর এক গাড়ি করে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তাছাড়া শীতের সময় বেশিদিন পেঁয়াজ রাখলে গাছ বের হচ্ছে, যার কারণেই চাহিদা কমেছে।’

 পেঁয়াজের আমদানি ও দাম কমার বিষয়ে জানতে চাইলে পেঁয়াজ আমদানিকারক আব্দুল্লাহ আল হেলাল বলেন, ‘চাহিদা থাকায় আমরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করে আসছি। আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও বন্দরে ক্রেতা অনেকটা কম আসছে। তাছাড়া স্থানীয় বাজারগুলোতে পাতা পেঁয়াজের সরবরাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে; ফলে প্রতিদিনই কমছে দাম। তাছাড়া মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। এ কারণেই বন্দরের ক্রেতা অনেকটাই কমে আসছে; যার কারণেই আমদানি করা পেঁয়াজের চাহিদা কমেছে।’

আমদানি পেঁয়াজের দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে ইন্দ্র গুজরাট ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ। রোববার (৮ ডিসেম্বর) ইন্দ্র জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬০ থেকে ৬২ টাকা কেজি দরে। যেটা বৃহস্পতিবারের দাম ছিল ৭০ টাকার উপরে। আর গুজরাট ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ বৃহস্পতিবারে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা বিক্রি হলেও, আজ বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৬৭ টাকার মধ্যে।’

হিলি কাস্টমস ও বন্দরের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহের গত দুই কর্মদিবসে ভারতীয় ৬৫ ট্রাকে ১ হাজার ৮৯৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।