News update
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     
  • Storm Alert Issued for Dhaka and Eight Other Regions     |     
  • 58 killed in deadliest US strike on Yemen     |     
  • BNP Opposes Reforms to Constitution’s Core Principles      |     
  • Time to Repair Bangladesh–Pakistan Ties     |     

সবজির স্বস্তি ম্লান চাল-মুরগিতে, ‘সংকট’ কাটেনি সয়াবিন তেলের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক খাদ্য 2024-12-27, 1:40pm

img_20241227_134211-cb71d1492d6d7837fb0c4b9b2bfb046a1735285355.jpg




চাল-মুরগিতে, ‘সংকট’ কাটেনি সয়াবিন তেলের দুই সপ্তাহ ধরে সবজির বাজারে স্বস্তি রয়েছে। বাজারে শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমে গেছে। তবে চাল, মাছ ও মুরগি ও তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় হতাশ সাধারণ ভোক্তারা।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, পণ্য পরিবহনে দলীয় কর্মীর চাঁদাবাজি কমে গেছে। বাজারেও তেমন কেউ ঝামেলা করছে না। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে।

কারওয়ান বাজারের সবজি বিক্রেতা রোকন বলেন, আগের তুলনায় সরবরাহ বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে কোনো কোনো শাক-সবজির দাম। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম আরও কমবে।

বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৫০-৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, মুলা ২০-৩০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, কহি ৫০ টাকা ও পটোল ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, ক্ষিরাই ৫০ টাকা, টমেটো ১২০-১৩০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, শালগম ২৫-৩০ টাকা ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকায়।

এ ছাড়া প্রতি কেজি ধনেপাতা ৩০ টাকা, পেঁয়াজকলি ৩০-৪০ টাকা, নতুন আলু ৫০ টাকা ও পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা এবং লাউয়ের জন্য গুনতে হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা।

দাম কমেছে কাঁচা মরিচেরও। বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৮০ টাকায়, আর পাইকারিতে ৪০-৬০ টাকা। এ ছাড়া বাজারে লালশাকের আঁটি ১০ টাকা, পাটশাক ১০-১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, ডাঁটাশাক ১০-১৫ টাকা, কলমিশাক ১০ টাকা ও পালংশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।

কমেছে পেঁয়াজের দাম

বর্তমানে বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহও বেড়েছে। এর প্রভাবে কমছে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি মুড়িকাটা পেঁয়াজের দাম ছিল ৭০-৮০ টাকা। তবে গতকাল ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়। এ ছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে আমদানি করা ও দেশি পুরোনো পেঁয়াজেও কেজিতে ৩০ টাকা দাম কমেছে। গতকাল এক কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকায় ও দেশি পুরোনো পেঁয়াজ ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়।

ফের উত্তাপ বাড়ছে মুরগির বাজারে

এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে গত সেপ্টেম্বরে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু সে সময় উল্টো দাম বেড়ে অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে এ দুটি পণ্যের বাজার। নানা অভিযান ও সভা শেষে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে এলেও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ফের উত্তাপ বাড়ছে মুরগির বাজারে। যা এখনও চলছেই।

গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে সোনালি ও ব্রয়লার মুরগির দাম। অন্যান্য মুরগির দামও ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৫০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০-২৪০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬৫০ টাকায়।

কমেনি তেলের দাম

৯ ডিসেম্বর সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আট টাকা বাড়ায় ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো। এরপর দুই সপ্তাহ পার হলেও বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। বিক্রেতারা জানান, কোম্পানিগুলো স্বল্পসংখ্যক বোতলজাত সয়াবিন দিচ্ছে, তবে তা ভোক্তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম। বাজারে দুই সপ্তাহ আগে চালের দাম কেজিতে পাঁচ টাকার মতো বেড়েছিল। বর্তমানে সেই দামেই স্থিতিশীল রয়েছে।

চালের বাজারে অস্থিরতা

ভরা মৌসুমেও বাড়ছে চালের বাজারে অস্থিরতা। সব ধরনের চাল কেজিতে সর্বোচ্চ ৪ টাকার মতো বেড়েছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের এক ক্রেতা বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় আমন ধান উঠেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর হতে হবে।

খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে মিল পর্যায়ে চালের দাম বাড়তি। এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারেও। রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বরিশাল রাইছ এজেন্সির বিক্রেতা জানান, চালের দাম অনেক বেড়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহে চিকন চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৮ টাকা এবং মোটা ও মাঝারি চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে।

বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭৪-৭৮ টাকা, আটাইশ ৬০-৬২ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, প্রতি কেজি পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকায়।

স্বস্তি নেই মাছ বাজারে

স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। মাছ বিক্রি হচ্ছে আগের বাড়তি দামেই। বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, চাষের মাগুর ৫০০ টাকা, চাষের কৈ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০ থেকে ২৩০ টাকা ও তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং নদীর পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত মাছ না আসায় দাম বাড়ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে। সময়।