চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি বৃদ্ধি, ভর্তুকি মূল্যে বিক্রিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তারপরও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না চালের দাম। এক মাস ধরে দাম বেড়েই চলেছে দেশের প্রধান খাদ্যশস্যের। কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
চালের বাজারের এই নাজেহাল অবস্থায় বেকায়দায় নিম্ন থেকে মধ্যবিত্তরাও। তারা জানান, আমনের ভরা মৌসুম হলেও চালের বাজারে অস্থিরতা কমছে না। এতে চাপ বাড়ছে ভোক্তার ঘাড়ে।
ক্রেতারা জানান, ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজার লুট করছে। আর পকেট কাটছে ভোক্তাদের। বাজার নিয়ন্ত্রণের কথা শুধু মুখে বললেই হবে না, মাঠ পর্যায়েও সরকারকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, মিল পর্যায়ে চালের দাম বাড়ায় এর প্রভাব খুচরা পর্যায়েও পড়ছে। চালের দাম বাড়ান মিল মালিকরা। আর সরকার অভিযান চালায় খুচরা বাজারে। এভাবে দাম কমানো সম্ভব না।
এদিকে, একটি নিত্যপণ্যের দাম কমলে, বাড়ে বেশ কয়েকটির। তবে, স্বস্তি আছে সবজির বাজারে। ৩০ থেকে ৪০ টাকায় মিলছে প্রায় সব ধরনের সবজি।
আলু ও পেঁয়াজের দামও কমেছে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা। বাজারে গেল সপ্তাহে ৩৬০ টাকার সোনালী মুরগি ৩৩০ টাকা আর ব্রয়লার পাওয়া যাচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। সব ধরনের মাছ ও খাসির গোশতের দামও বেড়েছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর হবার কথা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। তারা বলেন, নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে। আরটিভি