News update
  • FAO Warns of ‘Silent Crisis’ as Land Loss Threatens Billions     |     
  • Indices tumble on both bourses amid broad-based sell-off     |     
  • BNP Names 237 Possible Candidates for Polls     |     
  • Bangladeshi leader of disabled people of world Dulal honoured     |     
  • UN Report Warns Inequality Fuels Global Pandemic Vulnerability     |     

অসময়ে সাগরপাড়ে কাঁচা আম, প্রতিটির দাম ২০০ টাকা!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক বিবিধ 2025-01-11, 6:56am

b7d7455e419485a8e032eb3a5f05142c7bc8241e82582070-1-e48932af3d29cb36db6da89dfe62ad1c1736557016.jpg




সাধারণত চৈত্রের শেষ কিংবা গ্রীষ্মের শুরুতে বাজারে দেখা মেলে কাঁচা আমের। তবে এবার পৌষ মাসেই কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা আম। অসময়ের এই ফল বিক্রি হচ্ছে বেশ চড়া দামে।

অনেক পর্যটক দাম শুনে অবাক হয়ে পালাচ্ছেন, আবার অনেকেই ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি কাঁচা ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় কিনে খাচ্ছেন। বিক্রেতা বলছেন, অসময়ে বেশি দামে ক্রয় করার কারণে বেশি দামে পর্যটকদের বিক্রি করতে হচ্ছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ১২টা, কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট; প্রবেশদ্বারের বালিয়াড়িতে বসে কাঁচা আম বিক্রি করছেন জাহিদা বেগম। পর্যটকদের নজর কাড়তে আমগুলোকে সুতা দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে রেখেছেন। আর পর্যটকরা বালিয়াড়ি পেরিয়ে সাগরে নামতেই চোখে পড়ছে এসব কাঁচা আম।

শুধু জাহিদা বেগম নন; একই পয়েন্টের বালিয়াড়িতে কাঁচা আম বিক্রি করছেন আব্দু রহিম। তারা বলছেন, অসময়ে এসব আম টেকনাফে পাওয়া যাচ্ছে। যা প্রতিকেজি ৭০০ টাকায় কিনে আনতে হচ্ছে।

বিক্রেতা জাহিদা বেগম ও আব্দু রহিম বলেন, ‘এখনও আম গাছে মুকুল আসেনি। কিন্তু টেকনাফে কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। তাই টেকনাফ থেকে প্রতি কেজি কাঁচা আম ৭০০ টাকায় কিনে এনেছি। এখন সাগরপাড়ে পর্যটকদের কাছে বিক্রি করছি। কারণ অসময়ে পর্যটকদের কাছে এই কাঁচা আমের চাহিদাও বেশি। তবে দাম শুনে পর্যটকরা না খেয়ে ফিরে যাচ্ছে।’

মূলত পৌষ মাসে সাধারণত কাঁচা আম বাজারে আসার কথা নয়। এ অবস্থায় কক্সবাজার সৈকতে কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। মৌসুমের প্রথম ফল হিসেবে খেতে অনেক পর্যটক ছুটেও আসছেন বিক্রেতার কাছে। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় কেউ কেউ একটি কাঁচা আমকে ৪ ভাগ করে প্রতিভাগ ৫০ টাকায় কিনে খাচ্ছেন। আবার অনেক পর্যটক একটি কাঁচা আমের দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা শুনে অবাক হয়ে পালাচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জ থেকে আসার পর্যটক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘কাঁচা আম দেখে খেতে এসেছি। কিন্তু দাম শুনে তো অবাক। একটা আমের দাম কীভাবে ২০০ টাকা হয়, তাও আবার একটা আমের ওজন হবে ১৫০ গ্রাম থেকে ২০০ গ্রাম। শেষমেশ বিক্রেতার সঙ্গে কথা কাটাকাটি করে আম না খেয়ে চলে যাচ্ছি।’

আরেক পর্যটক রোকেয়া রহমান বলেন, ‘জীবনেও শুনিনি একটা আমের দাম ২০০ টাকা। এই প্রথম কক্সবাজার সৈকতে শুনলাম এক পিস আমের দাম ২০০ টাকা। দাম শুনে পেট ভরে গেছে, আর কাঁচা আম খেতে হবে না।’

আরেক পর্যটক রিয়াজুল কবির বলেন, ‘কাঁচা আম দেখে বেশ খেতে ইচ্ছে করেছে। যার কারণে বিক্রেতার কাছে ছুটে এসে বিপদে পড়লাম। শেষমেশ একটা আমকে ৪ ভাগ করেছে বিক্রেতা, প্রতিটি ভাগ ৫০ টাকা করে বিক্রি করছে। অবশেষে ৫০ টাকায় এক ভাগ আম খেলাম। অসময়ে কাঁচা খেয়ে বেশ ভালোই লেগেছে।

তবে বিক্রেতাদের দাবি, অসময়ে কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে যার কারণে দাম বেশি পড়ছে। তবে বাজারে কাঁচা আম বেশি আসলে দামও কমে যাবে। তখন পর্যটকদের কাছ থেকে আর কথা শুনতে হবে না।’

বিক্রেতা জাহিদা বেগম ও আব্দু রহিম বলেন, ‘দাম শুনে অনেক পর্যটক গালি দিচ্ছে। অনেক পর্যটক বলছে, গলাকাটার জন্য এখানে বসেছেন। কিন্তু করার কিছুই নেই। এক কেজি আম টেকনাফ থেকে কিনে এনেছি ৭০০ টাকায়। তাই বাধ্য হয়ে আমাদের চড়া দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে বাজারে আম বেশি আসলে তখন দাম কমে যাবে। তখন আর পর্যটকদের গালি শুনতে হবে না।’

বিক্রেতারা জানিয়েছে, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, পল্লানপাড়া, মিঠাপানির ছড়া, বাইন্যাপাড়া ও নোয়াখালিয়া পাড়ায় কয়েক বছর ধরে আমের আগাম ফলন হচ্ছে। সময়।