News update
  • Bangladesh in a Catch-22 Situation     |     
  • Global Press Freedom Index Falls to Critical Low     |     
  • Brutal aid blockade threatens mass starvation in Gaza     |     
  • Uncle, nephew picked up by BSF in Patgram     |     
  • Dhaka 3rd worst polluted city in the world Saturday morning     |     

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন অভিমুখে মিছিলে পুলিশের বাধা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ঘৃনা-প্রচারণা 2024-12-10, 9:21pm

ertertwr3-4fe630bd2039a2e0283c606e650870fc1733844119.jpg




বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে ভারতের নয়াদিল্লির চাণক্যপুরীতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ডানপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন আরএসএস। তবে মিছিলে বাধা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে আরএসএস এবং আরও কয়েকটি সংগঠনের মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।

এ বিষয়ে বিবিসি বাংলার শুভজ্যোতি ঘোষ জানান, মিছিলে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ মিলিয়ে তিন থেকে চার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। তাদের প্রায় সবার হাতেই প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে। প্ল্যাকার্ডে ‘বাংলা বাঁচাও, বাঙালি বাঁচাও, বাঁচাও সনাতন’, ‘বাংলাদেশ, একাত্তর মনে করো, জুলুমবাজি বন্ধ করো’, ‘সেভ বাংলাদেশি হিন্দুজ’ লেখা কিছু স্লোগানও দেখা গেছে।

তিনি বলেন, গত এক যুগে দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে ভারতীয়দের এমন বিক্ষোভ করতে দেখা যায়নি। এই বিক্ষোভ বহু বছরের মধ্যে প্রথমবার।

এদিকে বিক্ষোভ মিছিলটি দিল্লির তিন মূর্তি মার্গ গোলচত্বরে গেলে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। হাইকমিশন থেকে বেশ কিছু দূরে ওই এলাকায় পুলিশ লোহার ব্যারিকেড বসায়।

দিল্লির এক সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিক্ষোভের কারণে আমরা বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। কাউকে আইন ভঙ্গ করতে দেওয়া হবে না।

এর আগে, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে আরএসএসের দিল্লি শাখার গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগের সহপ্রধান রজনীশ জিন্দাল এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সেদিন তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের দিন আগামী ১০ ডিসেম্বর ‘দিল্লির নাগরিক সমাজের’ ব্যানারে বাংলাদেশ দূতাবাসে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।

রজনীশ জিন্দাল আরও বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুসহ সব সংখ্যালঘুর ওপর অত্যাচারের ঘটনায় সারা ভারত ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন। ১০ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে দেশের ২০০টিরও বেশি সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। এ সময় তারা বাংলাদেশ হাইকমিশনে স্মারকলিপি পেশ করবেন। এ ছাড়া স্মারকলিপি দেবেন জাতিসংঘ, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছেও।

প্রসঙ্গত, গত ২ ডিসেম্বর ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভের পর কার্যালয় প্রাঙ্গণে হামলা করে আরএসএসের নেতৃত্বে একদল মানুষ। এরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হলে ভারতজুড়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আরটিভি