News update
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     
  • Bangladesh rejects India’s advice; vows free, fair polls     |     
  • Hadi’s condition very critical: Singapore Foreign Minister     |     
  • Asia-Pacific hunger eases, Gaza pipeline fixed, Europe hit by flu     |     

রাশিয়া থেকে তেল কিনতে আপত্তি নেই, বললেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জীবাশ্ম 2022-06-13, 9:40am




এক নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে হন্যে হয়ে জ্বালানির সন্ধান করতে থাকা শ্রীলঙ্কা শেষ পর্যন্ত হয়তবা রাশিয়া থেকেই আরও তেল কিনতে বাধ্য হতে পারে। দেশটির নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংহে বলেন যে, তিনি আগে অন্যান্য উৎস থেকে খোঁজ করে দেখবেন। কিন্তু রাশিয়া থেকে আরও অপরিশোধিত তেল কেনার ব্যাপারে তার আপত্তি নেই। ইউক্রেনে যুদ্ধের কারণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ফলে পশ্চিমা দেশগুলো অনেকাংশেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে।

শনিবার বিস্তীর্ণ বিষয়াদি নিয়ে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, বিক্রমাসিংহে ইঙ্গিত করেন যে, তার দেশের পাহাড় সমান ঋণ সত্ত্বেও তিনি চীন থেকে আরও আর্থিক সহায়তা নিতে ইচ্ছুক। যদিও তিনি স্বীকার করেন যে, শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতি “তাদের নিজেদেরই তৈরি”, তবুও তিনি বলেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তুলছে। তিনি এও জানান যে, চরম খাদ্যাভাব ২০২৪ সাল পর্যন্ত চলতে পারে। তিনি বলেন, রাশিয়া শ্রীলঙ্কাকে গমও দিতে চেয়েছে।

দুই সপ্তাহ আগে, শ্রীলঙ্কা রাশিয়ার কাছ থেকে ৯০,০০০ মেট্রিক টন (৯৯,০০০ টন) অপরিশোধিত তেল ক্রয় করে, যাতে করে তাদের একমাত্র শোধনাগারটি আবারও চালু করা যায়। জ্বালানি মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছিলেন।

বিক্রমাসিংহে এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য করেননি। বরং তিনি বলেন যে, আরও ক্রয়াদেশের পরিকল্পনা আছে কিনা সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তবে তিনি জানান, শ্রীলঙ্কার জরুরিভিত্তিতে জ্বালানি প্রয়োজন। তারা বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল ও কয়লা সংগ্রহের চেষ্টা করছে। সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যই শ্রীলঙ্কার জ্বালানি সরবরাহ করে থাকে।

বিক্রমাসিংহে বলেন, “আমরা যদি অন্য যে কোন উৎস থেকে ব্যবস্থা করতে পারি, তাহলে আমরা সেখান থেকেই নিব। অন্যথায় (আমাদের) হয়ত আবারও রাশিয়ার কাছেই যেতে হবে।” তথ্য সূত্র ভয়েস অফ আমেরিকা বাংলা।