News update
  • UNRWA Situation Report on Crisis in Gaza & Occupied West Bank     |     
  • Intimidation or bloodshed cannot halt Bangladesh’s march to democracy     |     
  • Khaleda Zia integral to an important chapter in BD history: Yunus     |     
  • Enthusiasm marks Victory Day celebrations across Bangladesh     |     
  • Dhaka-Delhi ties deep; to be shaped by trust, dignity, mutual respect     |     

বিশ্ববাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক জ্বালানী 2025-01-13, 3:33pm

sdfsdfs-12075f8459499dd19b4bc0eed7ccbf391736760786.jpg




আজও বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। এ নিয়ে টানা তিন দিন বৃদ্ধি পেল তেলের দাম।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার কারণে এবার বাজারে তেলের দাম বাড়ছে। এই নিষেধাজ্ঞার কারণে চীন ও ভারতে রাশিয়ার তেল বিক্রি ব্যাহত হতে পারে, এই আশঙ্কায় তেলের দাম বাড়ছে।

এরই অংশ হিসেবে আজ বিশ্ববাজারে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৪৮ ডলার বেড়ে ৮১ দশমিক ২৪ ডলারে উঠেছে। এর আগে এ তেলের দাম ৮১ দশমিক ৪৯ ডলার পর্যন্ত উঠেছিল। গত ২৭ আগস্টের পর এখন পর্যন্ত এটাই তেলের সর্বোচ্চ দাম।

এদিকে ব্রেন্ট ক্রুডের সঙ্গে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দামও বেড়েছে। এই তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১ দশমিক ৫৩ ডলার বা ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৮ দশমিক ১০ ডলারে উঠেছে। এর আগে এই তেলের দাম ৭৮ দশমিক ৩৯ ডলারে উঠেছিল।

চলতি জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখের পর এই উভয় জাতের তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৬ শতাংশের বেশি বেড়েছে জানিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার রাশিয়ার তেলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব আছে। এবারের নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার গ্যাস কোম্পানি গাজপ্রম নেফট ও সারগাটনেফত গ্যাসও আছে। সেই সঙ্গে আছে রাশিয়ার তেল পরিবহন করা ১৮৩টি জাহাজ। মূলত তেল বিক্রি করে রাশিয়ার যুদ্ধ করার সক্ষমতা যেন হ্রাস পায়, তা নিশ্চিত করতেই বাইডেন প্রশাসন এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

এই নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার তেলের মূল ক্রেতা চীন ও ভারতের তেল কেনা ব্যাহত হবে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা হয়তো আবারও মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল কেনা বাড়াতে বাধ্য হবে। এ কারণে তাদের কেনা তেলের দাম বাড়বে, এমনটাই অভিমত বিশ্লেষক ও ব্যবসায়ীদের।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় তেলবাহী ট্যাংকারের সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার পর রাশিয়ার তেল-বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়বে। কারণ, এসব ট্যাংকারের মধ্যে অনেক ট্যাংকার ভারত ও চীনে তেল সরবরাহ করত। এমনকি এগুলোর মধ্যে কিছু ট্যাংকার ইরানের তেলও পরিবহন করত। এ ছাড়া শীতকালে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের চাহিদা বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে বাড়ে দামও।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন দাম কম থাকার পর ২০২১ সাল থেকে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে। পরে ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি সর্বোচ্চ বেড়ে দাঁড়ায় ১৩৯ মার্কিন ডলারে। একইসঙ্গে সে বছর গড়ে তেলের দাম ১০০ ডলারের ওপরে ওঠে। এরপর থেকে অবশ্য দাম কমতে শুরু করে।

যারই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে ব্যারেলপ্রতি অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম হয় ৯৮ মার্কিন ডলার। আর গড় দাম ছিল ৮৩ ডলার। এরপর থেকে তেলের দাম বাড়ানোর জন্য জ্বালানি তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর প্রভাবশালী সংগঠন ওপেকের পক্ষ নানান সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরও দাম তেমন একটা বাড়েনি। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরও তেলের দামে সেই অর্থে কোনো প্রভাব পড়েনি। কিন্তু নতুন এই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে তেলের দাম। আরটিভি