News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

কলাপাড়া পৌরসভার রাজস্ব লুটে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা

ট্যাক্স 2024-10-26, 3:02pm

kalapara-municipality-building-daf866b1c33f9ba739d6fb7503a12f581729933349.jpg

Kalapara Municipality building



পটুয়াখালী: নিয়ন্ত্রনহীন হয়ে পড়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরসভার রাজস্ব আদায় কার্যক্রম। প্রায় কোটি টাকা পানির বিল, অর্ধকোটি টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে রাজনৈতিক দলের নেতা, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন, ভূমি প্রশাসন, স্বাস্থ্য প্রশাসন সহ প্রভাবশালী ব্যক্তি, সরকারী, বেসরকারী অফিসের কাছে। পৌরসভার হাট-বাজার, বাসষ্ট্যান্ডের রাজস্ব আদায় কার্যক্রম নিয়েও রয়েছে নানা গুঞ্জন। পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তার দাবী ৫ আগষ্টের পর থেকে প্রায় দেড় মাস পশুর হাট ও বাস ষ্ট্যান্ড থেকে রাজস্ব পায়নি পৌরসভা। সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্বৃত্তদের কবল থেকে মুক্ত করা যায়নি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম।

এদিকে পৌরসভার পানি শাখার সেপ্টেম্বর’২৪ পর্যন্ত বকেয়া রয়েছে ৭৭ লক্ষ ৬৪ হাজার ১৩৭ টাকা। হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া ৩১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। শুধু মাত্র স্বাস্থ্য প্রশাসনের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া ১২ লাখ, উপজেলা প্রশাসনের কাছে ৪ লাখ ৬০ হাজার, ভূমি প্রশাসনের কাছে ২০ হাজার, আনসার ব্যাটালিয়ান অফিসের কাছে হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে ১৫ হাজার টাকা।  

সূত্রটি আরও জানায়, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে আ’লীগ নেতা মো. দিদারুল আলম বাবুল পৌরসভার বাস ষ্ট্যান্ড ইজারা নেয় নীট ১৬ লক্ষ ২০ হাজার টাকায়। এরপর থেকে মেয়র, কাউন্সিলরদের স্বার্থে খাস কালেকশন করা হয় এ রাজস্ব আয়ের খাত থেকে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এ খাত থেকে ১৬ লক্ষ ৫২ হাজার ১০০ টাকা পায় পৌরসভায়। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এসে স্থবির হয়ে পড়ে এ খাতের রাজস্ব আয়। বর্তমানে এ খাত থেকে প্রতিদিন ৩ হাজার টাকা পৌরসভা পেলেও বাকী টাকা যাচ্ছে দুর্বৃত্তদের হাতে। এছাড়া বাংলা ১৪২৯ সালে নীট ২২ লক্ষ ৪২ হাজার ৫০০ টাকায় পশুর হাট ইজারা নেয় মো. জুয়েল। ১৪৩০ সাল থেকে মেয়র, কাউন্সিলরদের স্বার্থে এ উৎস্যটি থেকে খাস কালেকশন করা হয় ১৩ লক্ষ ১৬ হাজার ৯৫০ টাকা। ১৪৩১  সালে খাস কালেকশন থেকে ৭ই কার্তিক পর্যন্ত পৌরসভা ফান্ডে জমা পড়ে মাত্র ২ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫০০ টাকা। বাকী টাকা অন্য কারও পকেটে।            

কলাপাড়া পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, পৌরসভার বাৎসরিক রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ কোটি টাকা। আর এ রাজস্ব আয়ের উৎস্য হচ্ছে পানি বিল, হোল্ডিং ট্যাক্স, হাট-বাজার ইজারা, বাসষ্ট্যান্ড ইজারা, বিভিন্ন লাইসেন্স-নিবন্ধন ফি, ভূমি হস্তান্তর ফি, ডাম ট্রাক ভাড়া, ভবনের নকশা অনুমোদন ফি, পাবলিক টয়লেট ইজারা, পৌরসভা মার্কেটের কক্ষ ভাড়া থেকে। এসব উৎস্য থেকে কাঙ্খিত রাজস্ব আদায় না হলে বেতন সঙ্কটে ৭৯ জনবলের টিম নিয়ে নাগরিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনায় বিঘœ সৃষ্টি হতে পারে।      

পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা কাব্যলাল চক্রবর্ত্তী বলেন, ’৫ আগষ্টের পর থেকে প্রায় দেড় মাস পশুর হাট ও বাস ষ্ট্যান্ড থেকে রাজস্ব পায়নি পৌরসভা। সামরিক বাহিনীর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও দুর্বৃত্তদের কবল থেকে পুরোপুরি মুক্ত করা যায়নি।’

পৌরসভার প্রশাসক ও কলাপাড়া ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ’নাগরিক সেবা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে পৌরসভা। বকেয়া আদায়ে আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

প্রসংগত, ৩.৭৫ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত কলাপাড়া পৌরসভার নাগরিক সেবা কার্যক্রমের শুরু ১ মার্চ ১৯৯৭। বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। ২০০৯ সালে এটি তৃতীয় শ্রেনী থেকে দ্বিতীয় শ্রেনীতে এবং ২০১৫ সালে এ পৌরসভাটি প্রথম শ্রেনির মর্যাদা লাভ করে। বর্তমানে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে ৩৯ জন এবং মাষ্টার রোলে থাকা জনবল রয়েছে ৪০ জন। পৌরসভা থেকে এসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিমাসে বেতন দিতে হয় সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা। বিপুল অংকের এ টাকার যোগান আসে রাজস্ব আয় থেকে। - গোফরান পলাশ