News update
  • $10mn Approved for Climate Resilience in CHT: ICIMOD     |     
  • At least 143 dead in DR Congo river boat fire tragedy     |     
  • Dhaka has worst air pollution in the world Saturday morning     |     
  • Container ships to ply between Mongla and Chattogram ports     |     
  • France to Break Away from UK & US in Recognising Palestine as Nation State     |     

কলাপাড়ায় মসজিদের অর্থ সম্পদ লোপাটে অভিযুক্তরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

দুর্নীতি 2025-01-25, 12:06am

kalapara-central-jame-masjid-51040e0f84c4bdf9e7ab6008a5a05ae61737741975.jpg

Kalapara central jame masjid



পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ক’প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের বিপুল অর্থ সম্পদ লোপাটের অনুসন্ধান কার্যক্রম দুই বছরেও শেষ করতে পারেনি দুদক। এতে অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। তবে দুদক সূত্রের দাবী, অনুসন্ধান প্রায় শেষের পথে। শীঘ্রই দুদক বাদী হয়ে অভিযুক্তদের নামে মামলা দায়ের করবে বলছে সূত্রটি।

এর আগে গত ২৮ আগষ্ট ২০২৩ মসজিদের বিপুল অর্থ সম্পদ লোপাটের অভিযোগে আদালতে দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক প্রধান কার্যালয়। এরপর আওয়ামীলীগ নেতাদের মসজিদের অর্থ সম্পদ কেলেংকারীর অনুসন্ধানে দুদক, পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালকের সমন্বয়ে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে সংস্থাটি। অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনায় ইতিমধ্যে সকল তথ্য, উপাত্ত, প্রমান দুদকের হাতে পৌঁছলেও অবৈধ উপায়ে মসজিদ কমিটির সম্পত্তি বিক্রীর রেজুলেশন সহ কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সরবরাহে পর পর তিনবার স্মারক যুক্ত চিঠি দিলেও গড়িমসি করছে মসজিদ কমিটি। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে ক’প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় কথা বলছে সূত্রটি।

গত ২৬ ফ্রেব্রুয়ারী ২০২৩ পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে সাবেক পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসান, তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া নাসরিন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ, সাব-রেজিষ্ট্রার সহ অজ্ঞাত নামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মসজিদের ১০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন মসজিদের কার্যকরী পরিষদের সদস্য মো. আব্দুল হান্নান বেপারী। বিজ্ঞ জেলা জজ আদালত ১ মার্চ ২০২৩ অভিযোগ আমলে নিয়ে দুদক, মহাপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত), সেগুন বাগিচা, ঢাকাকে  তদন্তের নির্দেশ দেন ।

সূত্র মতে, অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতারা মসজিদের অনুকূলে উপজেলা প্রশাসনের সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান অধিদপ্তরের বরাদ্দ, ধর্ম মন্ত্রনালয় ও জেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দের সমুদয় টাকা আতœসাৎ করেছেন। এসকল সরকারী অনুদানের স্মারক নম্বর, চেক নম্বর ও গ্রহনের তারিখ মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওয়াকফ্ অর্ডিন্যান্স ১৯৬২ এর ৫৬ (১) ধারা মোতাবেক মসজিদের কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রিতে ওয়াক্ফ এর অনুমতি নেয়ার বিধান থাকলেও তা উপেক্ষা করে ১১টি ছাপকবলা দলিলের মাধ্যমে আসামীরা স্ত্রী, স্বজনের নামে নামমাত্র মূল্যে বিক্রী দেখিয়ে বিপুল সম্পদ আতœসাৎ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। তবে আসামীদের মধ্যে আওয়ামীলীগ নেতা রাকিবুলের দেশ ত্যাগ এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদের ইহকাল ত্যাগ করায় ন্যায় বিচার নিশ্চিত সহ মসজিদের স্বার্থ রক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

দুদকের একটি সূত্র জানায়, ওয়াকফ্ অর্ডিন্যান্স ১৯৬২ এর ৫৬ (১) ধারা মোতাবেক মসজিদের কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রিতে ওয়াক্ফ পরিদর্শকের অনুমতি থাকতে হয়। কিন্তু আসামীরা কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে আওয়ামীলীগের ক্ষমতার দাপটে মসজিদের অর্থ সম্পদ লোপাটে মরিয়া ছিলেন। এছাড়া সরকারী বরাদ্দের বিপুল পরিমান টাকা আত্মসাত করার সত্যতা মিলেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। মসজিদের সম্পদ স্বল্পমূল্যে ক্রয়কারী অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতাদের স্বজনরাও আসামীর তালিকায় যুক্ত হতে পারেন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।    

এদিকে মোটা দাগের এ অনিয়ম-দূর্নীতির বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম রাকিবুল আহসানের বক্তব্য, মসজিদ নির্মান ও সম্পত্তি ক্রয়, বিক্রয়ে কোন ধরনের অনিয়ম হয়নি। ইউএনও কমিটির সভাপতি। মিটিং করে অনুমোদন নিয়ে সবকিছু করা হয়েছে।  

কলাপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ও কলাপাড়া ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম দুদকের পত্র প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ’মসজিদের সকল তথ্য রেকর্ড পত্র সরবরাহে এসিল্যান্ডকে প্রধান করে কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। আগামী ৪/৫ দিনের মধ্যে দুদকের চাহিত সকল তথ্য, রেকর্ড পত্র সরবরাহ করা হবে।’

এ বিষয়ে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পটুয়াখালী’র সহকারী পরিচালক মো. রাসেল রনি বলেন, ’মসজিদের সকল তথ্য রেকর্ড পত্র চেয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি, ইউএনওকে পর পর তিনটি পত্র দেয়া হয়েছে। চাহিত রেকর্ড পত্র পেলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রধান কার্যালয়ে রিপোর্ট দেয়া হবে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’ - গোফরান পলাশ