News update
  • DG Health Services gives 12 directives to treat dengue cases     |     
  • Stock market shows recovery as investors back: DSE chairman     |     
  • BB to appoint administrators to merge troubled Islami banks     |     
  • Bangladesh Bank allows loan rescheduling for up to 10 years     |     
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     

কেন দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক দূর্ঘটনা 2024-12-27, 8:21pm

252b4b72b7cd7ca982d5fccf4892ed1346902a57c40b654d-c29696f08e47b59227f49e98381e37ce1735309311.jpg




আরও পাঁচটি তাজা প্রাণ ঝরে গেল দেশের অন্যতম সেরা মহাসড়কটিতে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় দাঁড়িয়ে থাকা প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলকে প্রবল গতিতে ধাক্কা মেরে নিয়ে গেল একটি বাস। এতে দুটি যানবাহন দুমড়ে মুচড়ে গেল। নিহত ছাড়াও কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়েছেন এ দুর্ঘটনায়। এ ঘটনার আগ পর্যন্ত সরকারি হিসেবে ৫৫ কিলোমিটারের এক্সপ্রেসওয়েটিতে ৯৮৪টি দুর্ঘটনায় অন্তত ১৩৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু কেন ঘটছে এত দুর্ঘটনা?

দেশের প্রথম এই এক্সপ্রেসওয়ে যোগাযোগে নতুনমাত্রা যুক্ত করলেও ক্রমেই দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠায় যাত্রীদের মাথায় চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। প্রশস্ত সড়ক, ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, ইন্টারচেঞ্জ, ধীরগতির গাড়ির জন্য আলাদা সার্ভিস সড়ক থাকা সত্ত্বেও দুর্ঘটনার হটস্পট এখন এক্সপ্রেসওয়ে।

গত ২২ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আলাদা ৬টি স্থানে ১৩টি যানবাহনে দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও ২১ জন আহত হন। ৫টি দুর্ঘটনাই ঘন কুয়াশার কারণে। পরদিন ২৩ ডিসেম্বর ঘন কুয়াশার ধলেশ্বরী-২ সেতুর ওপর প্রাইভেটকার ও কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষে একজন নিহত ও ৫ জন আহত হন। আর আজ প্রাণ হারালেন আরও পাঁচজন। সরকারি হিসেবে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৫ কিলোমিটারের এক্সপ্রেসওয়েটিতে সব মিলিয়ে ৯৮৫টি দুর্ঘটনায় ১৩৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়েতে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। তবে যাত্রী ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, পুলিশ ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় বাড়ছে দুর্ঘটনা।

এক্সপ্রেসওয়েতে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, এখানে সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮০ হলেও গাড়ি চালানো হয় একশোর উপরে।

একটি বাসের একজন যাত্রী বলেন, গাড়িগুলো প্রতিযোগিতা করে, কে কার আগে যাবে।

মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা মনি করি, বেপরোয়া গতির কারণেই এত দুর্ঘটনা ঘটছে। যেহেতু এখন কুয়াশা পড়ছে তাই গতি কমানো না গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরো বাড়বে।

এদিকে পুলিশ বলছে, যানবাহনগুলো ট্রাফিক আইন না মানার কারণেই দুর্ঘটনা হচ্ছে।

মুন্সীগঞ্জের হাসাড়া হইওয়ে থাকানর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, আমাদের কাজটা হলো দুর্ঘটনার এবং অপরাধটা কমানো। বড় গাড়ির পাশে যদি মোটরসাইকেল বেপরোয়াভাবে চলে তাহলে বড় রিস্ক হয়ে যায়। আমাদের যদি সিস্টেম থাকতো..., এক্সপ্রেসওয়েতে এটা নিয়েন্ত্রণ করার কোনো সিস্টেম নাই।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যমতে, ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম-আইটিএস'র আওতায় ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এক্সপ্রেসওয়ে মনিটরিংয়ের চেষ্টা চলছে। সময়।