News update
  • Passenger bus in northern India catches fire: 20 people burn to death     |     
  • Voting start in Ctg Varsity Central Students Union elections      |     
  • Death toll in Mirpur factory, chemical godown fire rises to 16     |     
  • Humanitarians Urge Donors as Global Aid Remains Severely Short     |     
  • Sami’s five-for 33 seals Afghanistan’s 200-run rout of Bangladesh     |     

আমেরিকানরা কি ধর্ম থেকে সরে আসছে?

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ধর্মবিশ্বাস 2024-04-25, 9:20am

skhfsiofo-bd68fcd049736973150b39521190b8991714015293.jpg




যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক দশক ধরে ধর্মনিরপেক্ষতামুখী একটা ধারা চলছে। জরিপ ও অন্যান্য তথ্য-প্রমাণ বলছে এই ধারা অন্যান্য উন্নত দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে দেরিতে এলেও সম্প্রতি গতিশীল হয়েছে।

১৯৬৫ সালে গ্যালাপের জরিপে জানা যায়, ৭০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী বলছেন, ধর্ম তাদের জীবনে “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”। আজকের দিনে অর্ধেকেরও কম আমেরিকান (৪৫%) বলছেন ধর্ম “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”।

২০২৩ সালে এক চতুর্থাংশ আমেরিকান (২৬%) বলছেন তাদের কোনো ধর্ম নেই। ২০১৩ সালে এই সংখ্যা ২১ শতাংশ ছিল বলে জানিয়েছে পাবলিক রেলিজিওন রিসার্চ ইন্সটিটিউট।

একই গবেষণায় জানা গেছে, যারা এখন কোনো ধর্ম পালন করছেন না, তাদের আগামীতেও ধর্ম পালনের ইচ্ছে নেই। শুধু ৯ শতাংশ মানুষ বলেছেন তারা নতুন ধর্ম বেছে নিতে বা নতুন ধর্মীয় চিন্তাচেতনা অবলম্বনে আগ্রহী।

রাজনৈতিক গবেষক ডেভিড ক্যাম্পবেলের মতে, গির্জায় জনসমাগম কমে যাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জীবন ও দৈনন্দিন কার্যক্রমের আমূল পরিবর্তনের নির্দেশক। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দারা অতীতে অন্যান্য ধরনের গোষ্ঠী থেকে বিচ্যুত হলেও তারা সব সময় ধর্ম-সংশ্লিষ্ট ছিল।

পিউ রিসার্চের একটি জরিপে জানা গেছে, ধর্ম পালন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ২৮ শতাংশ নিজেদেরকে নাস্তিক, অজ্ঞেয়বাদী অথবা “সুনির্দিষ্ট কিছুতে বিশ্বাসী নই” বলে অভিহিত করেছেন। এই তথাকথিত “কিছুতে বিশ্বাসী নই” হিসেবে নিজেদের চিহ্নিতকারীদের ৪ শতাংশই নাস্তিক বলে জানা যায়। জরিপে আরও জানা গেছে, “কিছুতে বিশ্বাসী নই” জনগোষ্ঠীর বেশিরভাগ সদস্য ঈশ্বর বা কোনো উচ্চতর পালনকর্তার ধারণায় বিশ্বাসী, কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা নিয়মিত ধর্মীয় আচারে অংশ নেন না।

জরিপে অংশ নেওয়া দুই তৃতীয়াংশ মানুষ বলছেন, তারা ধার্মিক নন, কারণ ধর্মীয় শিক্ষার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ তাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ অথবা তারা সৃষ্টিকর্তার ধারণায় বিশ্বাসী নন।

গ্যালাপ জানিয়েছে, ধর্মীয় আচারে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা সব বয়স গ্রুপেই কমছে।

একটি দেশ যখন ধর্ম থেকে সরে যায়, তখন কি ঘটে? এই প্রশ্নের জবাবে ক্যাম্পবেল কিছু ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক দেশের উদাহরণ দেন।

ক্যাম্পবেল বলেন, “স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলো বড় আকারে ধর্মনিরপেক্ষ, কিন্তু তাদের বিষয়ে বলা হয় যে তারা গণতন্ত্রের চর্চার দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সফল গণতান্ত্রিক দেশগুলোর অন্যতম। এই দেশগুলো একইসঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকাতেও স্থান পায়। সুতরাং বিষয়টি এমন নয় যে একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশের গণতন্ত্র অপেক্ষাকৃত দুর্বল অথবা তারা তুলনামূলকভাবে কম সুখী।” ভয়েস অফ আমেরিকা