News update
  • Global Food Prices Rose in April: FAO     |     
  • Will Cumilla’s long abandoned airport surge back to life     |     
  • Expanding Bangladesh-Afghanistan Trade Prospects     |     
  • End misuse of police, ensure pol neutrality: Noted Citizens     |     
  • Decision on corridor must come from Parliament: Tarique     |     

পরীক্ষার হলে ‘নকলে’ বাধা, শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভেঙে লাঞ্ছিত!

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক পরীক্ষা 2024-07-04, 5:59pm

iuheuiuiweriw-1eee789b8f211a03243e57b421c7f5f31720094386.jpg

লাঞ্ছিতের শিকার শিক্ষক মৃণাল বিশ্বাস। ছবি ভিডি থেকে নেয়া



পরীক্ষার হলে খাতা দেখাদেখি করে লিখতে না দেয়ায় মাথায় পচা ডিম ভেঙে গোপালগঞ্জের সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃণাল বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে।

 সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় জেলা শহরের সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাসে লাঞ্ছিত করার এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ৪ পরীক্ষার্থীকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষক। শিক্ষক লাঞ্ছিতের এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও এতে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলার শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষার্থীরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষক মৃণাল বিশ্বাস জানান, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীদের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। গত ১২ জুন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে ৪০৮ নম্বর কক্ষের পরীক্ষার্থী আল মামুন মুন্সী, মো. হাফিজুর রহমান মিনা, লিটন মোল্লা ও নজরুল ইসলাম দেখাদেখি ও কথা বলাবলি করে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তখন তিনি তাদের বার বার সতর্ক করেন। এতে ওই শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়ে এবং পরীক্ষা শেষের দিনে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

তিনি আরও জানান, ১ জুলাই শেষ হয় চতুর্থ বর্ষের অনার্স পরীক্ষা। পরীক্ষার দায়িত্ব পালন শেষে শহরের উদয়ন রোডের বাসায় যাচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাস অডিটোরিয়াম সড়কে পৌঁছানো মাত্র তাকে পেছন থেকে আঘাত করে মাথায় পচা ডিম ভেঙে লাঞ্ছিত করে ওই পরীক্ষার্থীরা।

অধ্যক্ষ শেখ বেনজীর আহমেদ জানান, শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অনার্স ৪র্থ বর্ষের ১ হাজার ৪৭৬ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এর আগেও দেখা গেছে, পরীক্ষার হলে অনেক পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বর করতে চায়। বাধা দিলেই তারা শিক্ষকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয় এবং লাঞ্ছিত বা মারপিট করার মতো ঘটনা ঘটায়। এটি নৈতিক অবক্ষয়। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করেন তিনি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সেটিকে আমলে নিয়ে রাতেই অভিযান চালিয়েছিলাম। এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। দ্রুতই আমরা দোষীদের গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’