News update
  • EU’s Ocean Leadership Faces Test as Treaty Clock Ticks     |     
  • OIC Condemns Ecuador’s Opening of a Diplomatic Office in Al-Quds     |     
  • No escape, death follows families in Gaza wherever they go     |     
  • Armed forces' magistracy powers extended by 60 days     |     
  • Hamid's departure: Body formed, Kishoreganj SP withdrawn     |     

কাজের ভিসায় অস্ট্রেলিয়া যেতে আগ্রহীদের জন্য সতর্কবার্তা

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2023-09-22, 11:31am

resize-350x230x0x0-image-240829-1695360042-a081c59b0d4e913e96994a475e6bd0c41695360705.jpg




কর্মসংস্থানের জন্য ভিসা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যেতে আগ্রহীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশন জানায়, কতিপয় অসাধু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান কাজের প্রলোভন দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেদেশে চাকরি পেতে আগ্রহীদের কাজের ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ক্যানবেরার বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে দেশটির ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পর্কে সবাইকে অবগত থাকার জন্যও অনুরোধ করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় অস্থায়ী ও স্থায়ী ভিসায় কর্মী নেওয়ার জন্য টেম্পরারি স্কিল শর্টেজ -সাবক্লাস ৪৮২ (টেম্পরারি স্কিল শর্টেজ সাবক্লাস ৪৮২) নামে একটি ভিসা চালু রয়েছে। এই ভিসার ক্ষেত্রে বয়সের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও পেশাদার কর্মীদের অস্ট্রেলিয়ায় কাজের জন্য যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এই ভিসা পাওয়ার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকার অনুমোদিত একজন স্পন্সর (নিয়োগকারী) প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট পেশার শিক্ষাগত যোগ্যতা, বিশেষ করে ট্রেড পেশার জন্য অস্ট্রেলিয়ান কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী সার্টিফিকেট-৩/৪ অথবা ডিপ্লোমা প্রয়োজন হয়।

স্কিল লেভেল ১ মাত্রার পেশার জন্য ব্যাচেলর বা মাস্টার্স পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। যেকোনো পেশার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩-৪ বছরের পূর্ণকালীন কাজের অভিজ্ঞতা দরকার হয়। অভিজ্ঞতা প্রমাণের জন্য চাকরির নিয়োগপত্র, বিগত ২ বছরের বেতন বিবরণী, ব্যাংকের হিসাব বিবরণী প্রয়োজন হয়।

সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে ৫-৬ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। তবে সংশ্লিষ্ট পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও বাস্তব কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে রিকগনিশন অব প্রিয়র লার্নিংয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় নিদিষ্ট সংখ্যক কলেজ থেকে পেশা সংক্রান্ত শিক্ষাগত সনদ অর্জন করা যায়। পেশা বিবেচনায় আইইএলটিএসের স্কোর প্রয়োজন হয় ৫ থেকে ৬। আইইএলটিএস ছাড়াও অন্যান্য স্বীকৃত পরীক্ষা যেমন টোফেল, পিটিই গ্রহণযোগ্য।

বিদেশি কর্মীদের কাজের দক্ষতা অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যাচাই করাতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের কয়েকটি পেশার জন্য দক্ষতা যাচাই করানোর প্রয়োজন হয় না।

সেগুলো হলো- অটোমোটিভ ইলেকট্রিশিয়ান, ক্যাবিনেট মেকার, কারপেন্টার, কারপেন্টার ও জয়েনার, ডিজেল মোটর মেকানিক, ইলেকট্রিশিয়ান (জেনারেল), ইলেকট্রিশিয়ান (স্পেশাল ক্লাস), ফিটার (জেনারেল), ফিটার এবং টারনার, ফিটার-ওয়েল্ডার, জয়েনার, মেটাল ফেবরিকেটার, মেটাল মেকানিস্ট (ফার্স্ট ক্লাস), মোটর মেকানিক (জেনারেল), প্যানেল বিটার, পেস্ট্রি কুক, সিটমেটাল ট্রেড ওয়ার্কার, টুল মেকার, ওয়েল্ডার (ফার্স্ট ক্লাস)। টেমপরারি স্কিল শর্টেজ ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া কর্মীদের বার্ষিক বেতন কমপক্ষে ৭০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার।

ভিসার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে অস্ট্রেলিয়ার হোম অফিসের লিংকে https://immi.homeaffairs.gov.au/visas/getting-a-visa/visa-listing/temporary-skill-shortage-482 সূত্র আরটিভি নিউজ।