News update
  • Sharif Osman Hadi No More     |     
  • Tarique Rahman to Return Home With Daughter on Dec 25     |     
  • ILO praises Bangladesh’s labour reforms, new milestones     |     
  • Depositors stranded as Sammilito Islami Bank is in liquidity crisis     |     
  • BNP faces uphill task to reach seat-sharing deal with allies     |     

লিবিয়ায় অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, চাঁদপুর থেকে দুই সহযোগী আটক

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2024-06-07, 5:58pm

tretrtw-6961dcb8f7422099c3fbebefa502eb7a1717761490.jpg




লিবিয়ায় পাবনার এক প্রবাসী যুবককে অপহরণ করে নির্যাতন। নির্যাতনের সেই ভিডিও দেখিয়ে বাংলাদেশে ভিকটিমের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর থেকে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলার পশ্চিম দিঘলদি এলাকার হাবিবুর রহমান সুমন (৩০) এবং একই এলাকার রবিউল আওয়াল রবি (২৮)।

পুলিশ সুপার বলেন, মো. মাসুদ (৪০) নামে পাবনার এক ব্যক্তি চার বছর ধরে লিবিয়ার সিটি খলিফা নামক স্থানে দরজির দোকান নিয়ে ব্যবসা করে আসছিলেন। গত ১৪ মে সকাল ৮টায় অপরিচিত ইমো নম্বর থেকে ভিকটিমের স্ত্রীর ইমো নম্বরে ফোন করে বলে তার স্বামীকে অপহর করা হয়েছে। জীবিত ফেরত চাইলে ১০ লাখ  টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না দিলে তাঁকে মেরে ফেলবে। এরপর অপহরণকারীরা বাংলাদেশি বিকাশ নম্বর দেয় এবং টাকা পাঠাতে বলে। ভিকটিমের বাবা ধার-দেনা করে অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ১০ লাখ টাকা পাঠান। সেই টাকা পাওয়ার পর ২০ মে অপহরণকারীরা আবারও ইমো নম্বরে ফোন করে আরও ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং ভিকটিমকে মারধরের ভিডিও পাঠায়।

পুলিশ সুপার বলেন, ‘ভিকটিম মাসুদের মা মলিনা খাতুন সদর থানায় অভিযোগ দিলে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে ডিবি টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও অনুসন্ধানী নানান কৌশল অবলম্বন করে অভিযুক্তদের শনাক্ত এবং চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে লিবিয়ায় থাকা অপহরণকারীদের পূর্ব পরিচয় আছে। অপহরণকারীরা ভিকটিমের পরিবারের পাঠানো টাকা দেশে থাকা সুমন ও রবির মাধ্যমে লেনদেন করত। লিবিয়ায় থাকা অপহরণকারীদেরও পরিচয় জানা গেছে। তবে এই মুহূর্তে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করছি না। আমরা অপহৃতকে উদ্ধারে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’ এনটিভি