News update
  • Guterres Urges Leaders to Act as UNGA Week Begins     |     
  • BNP to go door to door for hearts and votes     |     
  • Chittagong port tariffs increased up to 50 per cent     |     
  • Rising Heat Cost Bangladesh $1.8 Billion in 2024     |     
  • Stocks extend gains; turnover drops in Dhaka, rises in Ctg     |     

আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলনের ঘোষণা মালয়েশিয়া গমনপ্রত্যাশীদের

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক প্রবাস 2025-01-22, 2:26pm

etewrewrw-2377cec0deccf0b8624d8fcb192301911737534399.jpg




সড়ক অবরোধ করে রাজধানীতে আন্দোলন করছেন কলিং ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীরা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে কারওয়ান বাজার মোড়ে দুই ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে রাখার পর পুলিশের বাধা পেয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন তারা।

এদিন বেলা দেড়টার পরও আন্দোলনকারীদের প্রবাসী কল্যাণ ভবনের সামনে রাস্তা অবরোধ করে রাখতে দেখা গেছে। তারা বলছেন, লাখ লাখ টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা মালয়েশিয়া যেতে না পারেননি। এমনকি রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থও ফেরত পাননি। কোন সুরাহা না পেয়ে দাবি আদায়ের জন্য এ পথ বেছে নিয়েছেন শ্রমিকরা। সরকারের কাছ থেকে আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থেকে সরবেন না তারা।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে ভুক্তভোগী মো. সাব্বির মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে টাকা দিয়ে বসে আছি, কিন্তু আমাদের মালয়েশিয়া পাঠানোর কোনো ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এজেন্সির কাছে গেলে তারা টালবাহানা করে। তাই, আমরা আজ রাস্তায় নেমেছি। আমরা সরকারের কাছে বলতে চাই, আমাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা না করলে আমরা আন্দোলন বন্ধ করব না। আমরা চাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের সঙ্গে কথা বলুক। আশ্বাস পেলে আমরা রাস্তা ছেড়ে চলে যাব। তা না হলে, আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এ সময় সরকারের কাছে চার দফা দাবি উপস্থাপন করা হয় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে। দাবিগুলো হলো :

১। গত ২০২৪ সালের ৩১ মে সিন্ডিকেটের কারণে যারা মালয়েশিয়া যেতে পারেনি, সংখ্যা যতই হোক ২০ হাজার কিংবা ৩০ হাজার সবাইকে মালয়েশিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

২। যাদের ই-ভিসা হয়েছে ম্যান পাওয়ার হয়নি, যাদের সব হয়েছে উভয়েই ভুক্তভোগী। সবাই ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা দিয়েছে। অতএব সবাইকে নিয়ে যেতে হবে।

৩। ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে আটকে পড়া সকল কর্মীদের নিয়ে যেতে হবে।

৪। সরকার থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আটকে পড়া কর্মীদের মালোশিয়া নিয়ে যাওয়ার দিন তারিখ নির্ধারণ না করে দেবে ততক্ষণ আমরা রাস্তা থেকে উঠবো না।

এর আগে, সকাল ৯টা থেকে কারওয়ান বাজার মোড়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কাফনের কাপড় পরে সড়কে শুয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বিভিন্ন দিক থেকে আসা যানবাহন কারওয়ান বাজার মোড়ে আটকা পড়ে। এভাবে দুই ঘণ্টা তারা কারওয়ান বাজার মোড় অবরোধ করে রাখলে এক পর্যায়ে পুলিশ সরিয়ে দেয় তাদের।

এ সময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া মাঈন উদ্দীন বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম উপদেষ্টারা এসে আমাদের দাবি শুনুক, আমাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করুক। কিন্তু, পুলিশকে বারবার বোঝানোর পরেও তারা আমাদেরকে ধাক্কা দিয়ে এক পাশে সরিয়ে দেয়। আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে এসেছি। আমরা এখন মিছিল নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘেরাও করবো।

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি মোহাম্মদ ইবনে মিজান বলেন, আন্দোলনকারীরা সকাল নয়টা থেকে কারওয়ান বাজার মোড়ে অবস্থান নিয়েছিল। আমরা আধাঘণ্টা আগে তাদেরকে অনুরোধ করেছিলাম, তারা যেন রাস্তাটি ছেড়ে দেয়। এখানে অনেক হাসপাতাল, ক্লিনিক আছে, অনেক রোগী যাতায়াত করে। তাদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছিল। তারা আমাদেরকে বলেছিল, আলোচনা করে আমাদেরকে জানাবে। কিন্তু যেহেতু তারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি, তাই আমরা তাদেরকে অনুরোধ করে তাদের রাস্তার ধারে সরিয়ে দিয়েছি। আরটিভি