News update
  • First freight train leaves Mongla carrying molasses     |     
  • 2 dead, six hurt in Sherpur micro-autorickshaw-motorbike crash     |     
  • One killed over loud music row at wedding party in Natore     |     
  • Fire breaks out at jacket factory in Chattogram     |     
  • Dhaka, Delhi agree to bring down border killings to zero     |     

মার্কিন স্বপ্নে বিভোর ভারতীয়দের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ভিসা নিয়ে অনিশ্চয়তা

বিবিসি নিউজ প্রবাস 2025-01-25, 12:50pm

ertertert-8d3707975628bf503a1cf408ee0f637b1737787846.jpg




যুক্তরাষ্ট্রে এমবিএ করার স্বপ্ন নিয়ে ঘুরছেন আশিস চৌহান (ছদ্ম নাম)। আগামী বছর মার্কিন কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান তিনি। এই লক্ষ্য তার 'মাথায় গেঁথে আছে' বলে জানান মি. চৌহান। আর্থিক ব্যবস্থাপনা খাতে কর্মরত ২৯ বছর বয়সী এই ভারতীয় এমবিএ'র পাঠ চুকিয়ে যুক্তরাষ্ট্রেই চাকরি করতে চান। কিন্তু বর্তমানে তিনি দ্বিধায় আছেন।

এই দ্বিধার কারণ সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন ভিসা নীতিকে ঘিরে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনা।

এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচির আওতায় দক্ষ বিদেশি কর্মীরা যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। এই কর্মসূচি একদিকে যেমন মার্কিন কর্মীদের 'বাদ দিয়ে' বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য সমালোচিত হয়ে থাকে, তেমনই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিভাবানদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রশংসিতও হয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সময় এইচ-ওয়ানবি ভিসা কর্মসূচির সমালোচক হলেও বর্তমানে তিনি এই ৩৪ বছরের পুরানো কর্মসূচিকে সমর্থন করেন।

অন্যদিকে, ধনকুবের ইলন মাস্কও এই কর্মসূচির সমর্থক। তার মতে প্রতিভাবান ইঞ্জিনিয়ারদের খুঁজে আনতে হলে এটাই তার চাবিকাঠি।

এ পর্যন্ত যারা এইচ-ওয়ানবি ভিসা পেয়েছেন তাদের মধ্যে ৭২ শতাংশই ভারতীয় নাগরিক। তালিকায় ভারতের পরেই রয়েছে চীন, তাদের অনুপাত ১২ শতাংশ।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা দরকার, ২০২৩ সাল নাগাদ এইচ-ওয়ানবি ভিসা পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়া মানুষের বেশিরভাগই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গণিত বা ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে কর্মরত। কম্পিউটার সম্পর্কিত ক্ষেত্রে চাকরি পেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আসা মানুষের সংখ্যা ৬৫ শতাংশ। এদের বার্ষিক বেতনের গড় এক লাখ ১৮ হাজার ডলার।

এইচ-ওয়ানবি ভিসা উদ্বেগ কিন্তু বৃহত্তর অভিবাসন বিতর্কের সঙ্গে সম্পর্কিত।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনমত জরিপ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'পিউ রিসার্চ সেন্টারের' রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন বেড়েছে ১৬ লাখ। গত ২০ বছরেরও বেশি সময়ে অভিবাসনের ক্ষেত্রে এত বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি দেখা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশেরও বেশি মানুষ অভিবাসী, ১৯১০ সালের পর থেকে এটাই রেকর্ড পরিমাণ অভিবাসন।

মার্কিন দেশে মেক্সিকানদের পরেই ভারতীয়রা দ্বিতীয় বৃহত্তম অভিবাসী গোষ্ঠী। অনেক মার্কিন নাগরিক আশঙ্কা করছেন যে অভিবাসনের ক্ষেত্রে এই বিপুল পরিমাণ বৃদ্ধি চাকরির সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

আন্তর্জাতিক শিক্ষাগত বিনিময় সম্পর্কে 'ওপেন ডোরস'-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের শীর্ষস্থানীয় উৎসস্থল হিসেবে চীনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে ভারত (তিন লাখ ৩১ হাজার ৬০২ জন)।

এদের মধ্যে বেশিরভাগই ঋণের ওপর নির্ভর করে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে এসেছে এবং যেকোনো ভাবে ভিসা আটকে গেলে তাদের পরিবার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

সাম্প্রতিক পরিস্থিতির প্রসঙ্গে মি. চৌহান বলেছেন, "আমার আশঙ্কা হচ্ছে, এর ফলে সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের প্রতি বিদ্বেষ ছড়াতে পারে। কিন্তু তাই বলে আমি আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষায় রাশ টানতে পারি না, জীবনকে থামিয়ে রাখতে পারি না বা অস্থিরতা কমার জন্য অপেক্ষাও করতে পারি না।"

"কারণ এটা বছরের পর বছর ধরে এভাবেই চলছে।"

প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে এইচ-ওয়ানবি ভিসা কর্মসূচিকে সীমাবদ্ধ করার প্রচেষ্টা শীর্ষে পৌঁছেছিল। ক্ষমতায় আসার পর ২০১৭ সালে তিনি আবেদন যাচাই এবং জালিয়াতি শনাক্তকরণ বাড়ানোর জন্য একটা আদেশে শিলমোহর দিয়েছিলেন।

এর ফলে, ২০১৮ সালে প্রত্যাখ্যানের হার এসে পৌঁছায় ২৪ শতাংশে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে এই হার ছিল পাঁচ থেকে আট শতাংশ এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সময় এই হার থেকেছে দুই থেকে চার শতাংশ।

জো বাইডেনের অধীনে অনুমোদিত এইচ-ওয়ানবি আবেদনকারীর মোট সংখ্যা ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের মতোই রয়ে গিয়েছে।

মি. ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ভিসা নীতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি রয়েছে।

কর্নেল ল স্কুলের অভিবাসন বিষয়ক স্কলার স্টিফেন ইয়েল-লোহর বিবিসিকে বলেছেন, "ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদে এইচ- ওয়ানবি ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার বাড়ানো এবং প্রক্রিয়াকরণের সময়কে ধীরে করে দেওয়ার সময়মতো ভিসা পাওয়া কঠিন করে তুলেছিল।"

"ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় দফায় এমনটা আবার ঘটবে কি না তা স্পষ্ট নয়।"

নতুন প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মধ্যে সকলেই যে এই বিষয়ে একমত তেমনটা নয়। এইচ-ওয়ানবি ভিসাসহ অভিবাসন নীতি নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।

স্টিফেন ইয়েল-লোহর বলেছেন, "ইলন মাস্কের মতো কিছু ব্যক্তি এইচ- ওয়ানবি ভিসা সংরক্ষণ করতে চান। অন্যদিকে, নতুন প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা এইচ-ওয়ানবি ভিসাসহ সমস্ত রকমের অভিবাসন প্রক্রিয়া সীমাবদ্ধ করতে চান। কোন পক্ষ জয়ী হবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।"

এইচ-ওয়ানবি ভিসার সঙ্গে ভারতীয়দের সম্পর্ক কিন্তু দীর্ঘদিনের। যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়দের নিয়ে করা এক সমীক্ষা 'দ্য আদার ওয়ান পার্সেন্ট'-এর লেখকদের মতে, "যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয়দের সর্বাধিক শিক্ষিত এবং সর্বোচ্চ উপার্জনকারী গোষ্ঠীতে পরিণত হওয়ার কারণও কিন্তু এই কর্মসূচি।"

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষক সঞ্জয় চক্রবর্তী, দেবেশ কাপুর এবং নির্ভিকার সিংয়ের পর্যবেক্ষণ বলছে, আগের তুলনায় মার্কিন মুলুকে আসা নতুন ভারতীয় অভিবাসীরা ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় কথা বলেন এবং ভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দা।

হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষাভাষীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের মানুষ বৃহৎ পরিমাণে নিউ ইয়র্ক এবং মিশিগান থেকে ক্যালিফোর্নিয়া এবং নিউ জার্সিতে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

"ভারতীয়-আমেরিকানদের নতুন মানচিত্র" তৈরি করতে সাহায্য করেছে একটা দক্ষ ভিসা কর্মসূচি।

মি. চৌহানের মতে, এইচ-ওয়ানবি ভিসার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো উল্লেখযোগ্যভাবে উচ্চ বেতন উপার্জনের একটা সুযোগ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উচ্চতর বেতনের সুযোগ দেয়। একজন ব্যক্তি যিনি তার পরিবারের প্রথম সদস্য যার পেশাদারী যোগ্যতা রয়েছে, তার কাছে এই উপার্জন 'জীবন বদলে' দেওয়ার মতোই বিষয়।

তার কথায়, "এইচ-ওয়ানবি ভিসা নিয়ে এই আকর্ষণ তৈরি হওয়ার বিষয়টা ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একই পদে কর্মরতদের মধ্যে বেতনের তারতম্যের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত।"

তবে সবাই যে এই ভিসা কর্মসূচি পেয়েই খুশি, তেমনটা নয়। অনেকের কাছে এইচ-ওয়ানবি কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বা মার্কিন দেশে গ্রিন কার্ড পাওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষার পথে একটা ধাপ মাত্র।

এইচ-ওয়ানবি ভিসা সাময়িক হলেও ওই ভিসায় আসা ব্যক্তি ছয় বছর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে বাস করার ও কাজের অনুমতি পান।

এই সময়ে, অনেক এইচ-ওয়ানবি ভিসা প্রাপকই কর্মসংস্থান-ভিত্তিক অভিবাসন বিভাগের মাধ্যমে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করেন যা সাধারণত তাদের নিয়োগকর্তারা স্পনসর করে। তবে এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ।

বর্তমানে কর্মসংস্থান-ভিত্তিক বিভাগের আওতায় আবেদন জানানো দশ লাখেরও (নির্ভরশীল ব্যক্তিসহ) বেশি ভারতীয় গ্রিন কার্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন।

"এর অর্থ, গ্রিন কার্ড পেতে ২০-৩০ বছর ধরে অন্তহীন অপেক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকা," বলেছেন অটল আগরওয়াল। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে শিক্ষা এবং চাকরির জন্য বিশ্বব্যাপী ভিসা বিকল্প খুঁজে পেতে সহায়তা করতে এমন একটা সংস্থা চালান তিনি।

মি. আগরওয়াল ২০১৭ সালে স্নাতক হওয়ার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। একটা সফটওয়্যার সংস্থায় কয়েক বছর কাজ করেছেন।

তিনি জানিয়েছেন এইচ-ওয়ানবি ভিসা পাওয়া মোটামুটি সহজ ছিল। কিন্তু একটা সময় তার মনে হতে থাকে যে 'শেষ প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছেন' তিনি। তারপর ভারতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন।

তার কথায়, "এই পরিস্থিতিটা কিন্তু অস্থিতিশীল। নিয়োগকর্তাকে আপনাকে স্পনসর করতে হবে এবং যেহেতু গ্রিন কার্ড পাওয়ার পথটা সুদীর্ঘ তাই তাদের (ওই কোম্পানির) সঙ্গেই আপনাকে বাঁধা পড়ে থাকতে হবে।"

"যদি আপনার চাকরি হারান, তাহলে নতুন চাকরি খোঁজার জন্য মাত্র ৬০ দিন সময় পাবেন। যারাই মেধার ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিচ্ছেন, তাদের প্রত্যেকের জন্য তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে গ্রিন কার্ড পাওয়ার একটা পথ থাকা উচিত।"

এটা অভিবাসনের সঙ্গে ভিসা কর্মসূচি জড়িয়ে পড়ার একটা কারণ হতে পারে।

বিষয়টাকে ব্যাখ্যা করেছেন ভারতীয় প্রযুক্তি শিল্প বাণিজ্য গ্রুপ ন্যাসকম-এর গ্লোবাল ট্রেড ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবেন্দ্র সিং।

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, "এইচ-১বি ভিসা উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন ওয়ার্কার মোবিলিটি ভিসা। এটা ইমিগ্রেশন ভিসা নয়। কিন্তু এটা অভিবাসন ও অবৈধ অভিবাসনের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়ে একটা স্পর্শকাতর ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।"

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনেকেই মনে করেন এইচ-ওয়ানবি ভিসা কর্মসূচিটি ত্রুটিপূর্ণ। এই প্রসঙ্গে মূলত ভারতীয় আইটি সংস্থার দ্বারা এর অপব্যবহার এবং জালিয়াতির কথা উল্লেখ করেন তারা। এইচ-ওয়ানবি ভিসার শীর্ষ প্রাপক এই সংস্থাগুলোই।

গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন আদালত আইটি কোম্পানি কগনিজেন্টকে ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি অ-ভারতীয় কর্মচারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেছে। যদিও এই সংস্থা আবার আপিল জানানোর পরিকল্পনা করেছে।

গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে ফারাহ স্টকম্যান লিখেছেন, "এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রযুক্তি শিল্পে কর্মরত মার্কিনকর্মীদের পরিকল্পিতভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে এবং পরিবর্তে সস্তা এইচ-ওয়ানবি ভিসাপ্রাপকদের নিয়োগ করা হয়েছে।

ন্যাসকমের তরফে মি. সিং যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করেছেন যে এইচ-ওয়ানবি ভিসায় আসা কর্মীদের কম বেতন দেওয়া হয় না। কারণ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে মার্কিন কর্মীদের জন্য প্রচলিত বা প্রকৃত মজুরির চেয়ে বেশি বেতন দিতে হবে তাদের নিয়োগকর্তাদের।

শুধু তাই নয়, ব্যয়বহুল ভিসার জন্য কোম্পানিগুলো আইনি ও সরকারি ফি বাবদ হাজার হাজার ডলার বিনিয়োগ করে।

বিষয়টা কিন্তু একতরফা নয়। মি. সিং জানিয়েছেন, ভারতীয় টেক জায়ান্টরা প্রায় ছয় লাখ মার্কিনকর্মীকে নিয়োগ ও সমর্থন করেছে এবং ১৩০টা মার্কিন কলেজের প্রায় তিন লাখ শিক্ষার্থীকে দক্ষ করে তুলতে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয় করেছে।

তার মতে, ভারতীয় প্রযুক্তি শিল্প সংস্থাগুলো মার্কিন কর্মীদের নিয়োগকে অগ্রাধিকার দেয়। তখনই এইচ-ওয়ানবি ভিসায় কর্মচারীদের নিয়ে আসে যখন তারা সংশ্লিষ্ট দক্ষতাযুক্ত স্থানীয় কর্মীদের পায় না।

ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরও এইচ-ওয়ানবি ভিসা কর্মসূচি যাতে সুরক্ষিত থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ভারত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের বলেন, "আমাদের মধ্যে শক্তিশালী এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং এই সম্পর্কের একটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো দক্ষ পেশাদারদের গতিশীলতা।"

এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির জন্য আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কী করা উচিত?

এর উত্তরে মি. ইয়েল-লোহের বলেন, "যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো অভিবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো পরিবর্তন বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের পছন্দ অনুযায়ী সেরা কলেজ বেছে নেওয়া, সেটা যেখানেই হোক না কেন। ভালো ইমিগ্রেশন কাউন্সেল পেলে তারা বুঝতে পারবে এরপর কী করতে হবে।"

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও আপাতত এইচ-ওয়ানবি ভিসার প্রতি ভারতীয়দের আগ্রহ অটুট রয়েছে। মার্কিন মুলুকে নিজেদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা কিন্তু দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।