News update
  • Flight carrying Tarique, family lands in Dhaka     |     
  • Red bus with ‘Bangladesh first’ slogan ready at Dhaka airport for Tarique     |     
  • Flight carrying Tarique, family lands at Dhaka Airport     |     
  • Tarique’s Flight Lands in Sylhet; Crowds Build at 300 Feet     |     
  • Christmas in Bangladesh Thursday     |     

ইকুয়েডরকে হারিয়ে শেষ ষোলোতে সেনেগাল

গ্রীণওয়াচ ডেস্ক ফুটবল 2022-11-30, 10:01am




গ্রুপ-এ’র শেষ রাউন্ডের ম্যাচে আজ ইকুয়েডরকে ২-১ গোলে হারিয়ে কাতার বিশ্ব কাপের শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে সেনেগাল। বিশ্ব কাপের মঞ্চে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার গ্রুপ পর্ব পার করলো সেনেগাল।

এই গ্রুপ থেকে শেষ ষোলো নিশ্চিত করা অন্য দল নেদারল্যান্ডস। আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডস ২-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক কাতারকে।

গ্রুপ পর্বের ৩ খেলা শেষে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোর টিকিট পায় নেদারল্যান্ডস। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ ষোলোতে সেনেগাল। ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে  ইকুয়েডর। ৩ ম্যাচের ১টিতেও জিততে না পেরে খালি হাতে বিশ্ব কাপ শেষ করলো স্বাগতিক কাতার।

প্রথম দুই ম্যাচ থেকে ইকুয়েডর ৪ ও সেনেগাল ৩ পয়েন্ট পায়। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ যে দল জিতবে তারাই শেষ ষোলোতে খেলবে। যদি ড্র হয় পরের রাউন্ডের টিকিট পাবে ইকুয়েডর। এমন সমীকরন নিয়ে দোহার খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ইকুয়েডর ও সেনেগাল।

ম্যাচের প্রথম ১২ মিনিটে তিনটি আক্রমন করে সেনেগাল। ৩ মিনিটে মিডফিল্ডার ইদ্রিসা গুয়ের শট প্রতিপক্ষের বারের পাশ দিয়ে চলে যায়। ৮ মিনিটে স্ট্রাইকার বুলয়ালে ডিয়া শট প্রতিপক্ষের জাল খুঁজে পায়নি।

১২ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে ইকুয়েডরের বক্সের ভেতর থেকে গোলবারের উপর দিয়ে মারেন স্ট্রাইকার ইলিমান এডিয়ায়ে।

এরপর ২৪ ও ২৫ মিনিটে দু’টি আক্রমন করেও কোন গোল পায়নি  সেনেগাল। এরপর  ৩৬ মিনিটে পায়  ফ্রি কিক । ফ্রি কিক থেকে ডিফেন্ডার ইসমাইল জ্যাকবের নেওয়া  মিডফিল্ডার পাথে  সিসের হেড গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।

একের পর এক আক্রমন চালিয়ে ইকুয়েডরকে চাপে রেখেও ৪০ মিনিট পর্যন্ত গোল পায়নি সেনেগাল। অবশেষে ৪২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে নেয় তারা। দলের ডি বক্সের মধ্যে সেনেগালের স্ট্রাইকার ইসমাইলা সারকে ফাউল করেন ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার পিয়েরো হিনক্যাপি। পাওয়া  পেনাল্টি থেকে ইসমাইলা সার গোল করেন। সারের গোলেই এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে সেনেগাল(১-০)।

এূলত প্রথমাধে বল নিয়ে সেনেগালের বক্সের ভেতর ঢুকতেই পারেনি ইকুয়েডর। বল দখলেও পিছিয়ে ছিলো তারা। ৩৩ শতাংশ বল আয়ত্বে রাখতে পেরেছিলো ইকুয়েডর।

বিরতি থেকেই ফিরেই প্রথম আক্রমন করে ইকুয়েডর। ৪৯ মিনিটের ঐ আক্রমন থেকে গোলের দেখা পায়নি তারা। এই অর্ধের শুরুতেই আক্রমনাত্মক ছিলো ইকুয়েডর। এজন্য লিড ধরে রাখতে ডিফেন্সিভ হয়ে যায় সেনেগাল।

তারপরও আক্রমন অব্যাহত রেখে ৬৭ মিনিটে ম্যাচে সমতা আনে ইকুয়েডর। ডিফেন্ডার ফেলিক্স তোরেসের কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে সেনেগালের বক্সের ভেতর থেকে জোরালো শটে গোল করেন মিডফিল্ডার মোয়েসেস কেইসেডো।

সমতা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ইকুয়েডর। ৭০ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় সেনেগাল। বাঁ-প্রান্ত দিয়ে হওয়া আক্রমনে ইকুয়েডরের বক্সের ভেতর বল পেয়ে  ডিফেন্ডার কালিদু কুলিবালি  ডান পায়ের শটে গোল করলে   ২-১ গোলে এগিয়ে যায় সেনেগাল।

ম্যাচের বাকী সময়ে গোল পরিশোধের চেষ্টা করেও পারেনি ইকুয়েডর। রক্ষনাত্মক কৌশলে থেকে ইকুয়েডরের আক্রমনগুলো দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করে সেনেগালের ডিফেন্ডার ও মধ্যমাঠের খেলোয়াড়রা।

ইনজুরি সময়ের চতুর্থ মিনিটে ম্যাচের শেষ সুযোগ পায় ইকুয়েডর। মিডফিল্ডার জেরেমি সারমিনেটোর ক্রস বক্সের ভেতর থেকে হেড নেন ডিফেন্ডার জ্যাকসন পোরোজো। তবে তার হেড নেয়া বল বারের পাশ দিয়ে চলে যায়। সপ্তম মিনিটে ম্যাচে ইতি টানেন রেফারি। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে শেষ ষোলোতে উঠে সেনেগাল।

২০০২ সালের পর আবারও গ্রুপ পর্ব পার করলো সেনেগাল। ঐ আসরেই প্রথম গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে খেলেছিলো তারা। তথ্য সূত্র বাসস।