লিওনেল মেসির হাতেই উঠেছে এবারের ব্যালন ডি’অর। যা তার ক্যারিয়ারের অষ্টমবারের মতো অর্জন। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মনে করেন, এ পুরস্কারটা এবারই শেষ জিতলেন তিনি।
বার্সেলোনা ও পিএসজির সাবেক এই ফরোয়ার্ডের মতো এত বেশিবার ফ্র্যান্স ফুটবলের দেওয়া মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটা আর কেউ জিতেনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে আছেন শুধু ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তিনি পাঁচবার জিতেছেন এই পুরস্কারটা।
এ বছর ব্যালন ডি’অর জেতার দৌড়ে মেসির প্রতিদ্বন্দি ছিলেন ম্যানচেষ্টার সিটির তারকা আর্লিং হলান্ড ও পিএসজিতে মেসির প্রাক্তন সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপে। তাদেরকে হারিয়েই পুরস্কারটা নিজের করে নিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।
তবে এবারের তালিকায় ছিলেন না রোনালদো। এই পর্তুগিজ অধিনায়ক ইউরোপ ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি আরবে। আল নাসরের হয়ে খেলছেন তিনি। মেসিও ইউরোপ ছেড়ে গিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে।
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মহাতারকার লড়াই দেখার জন্য কত রাত জাগা হয়েছে সমর্থকদের। এখন আর সেই উত্তাপ নেই। মেসিও মনে করেন এটি দুর্দান্ত এক লড়াই ছিল। দুজনের লড়াইটাকে ‘মহাযুদ্ধ’ বলে উল্লেখ করেছেন।
লেকিপের সঙ্গে আলাপাকলে মেসি বলেছেন, ‘এটা দুর্দান্ত একটা যুদ্ধ ছিল। আমাদের দুজনেই ছিলাম মাঠের দুর্দান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনিও সবসময় জিততে চেয়েছিলেন। আমাদের দুজনের সময়টা খুব দারুণ কেটেছে। যারা ফুটবল ভালোবাসেন তাদের জন্যও সেরা সময় ছিল। আমি মনে করি আমরা সত্যিই এতদিন শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য এবং সেটা বজায় রাখার জন্য যোগ্য। কারণ শীর্ষে পৌঁছানো সহজ। তবে সেটা ধরে রাখা কঠিন। আমরা ১০ থেকে ১৫ বছর শীর্ষে ছিলাম। সেটা খুবই কঠিন বলেই সবাই উপভোগ করেছেন। যারা আমাদের অনুসরণ করেছে তাদের জন্যও দুর্দান্ত স্মৃতি হয়ে থাকবে।’
নিজের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে অষ্টমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতলেও এটা নিয়ে অনেকদিন ভাবেননি মেসি। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি ব্যালন ডি’অর নিয়ে অনেক দিন ভাবিনি। এটা আমার জেতার জন্য কখনই অগ্রাধিকার ছিল না। এখন আমার ক্যারিয়ারে আমি যা অর্জন করেছি এবং যেসব মুহূর্ত পেয়েছি তার সঙ্গে তুলনা করার পরেও কম। আমি মনে করি এটা আমার শেষ ব্যালন ডি’অর। সর্বোচ্চ আটবার ব্যালন ডি’অর জয়ী ফুটবলার হতে পেরে আমি খুশি।’ তথ্য সূত্র আরটিভি নিউজ।